পুলিশের উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টরদের তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি ও ইন্সপেক্টরদের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা অন্যতম। পুলিশ বিভাগ সরকারের এই উদ্যোগকে নানা কারণে মনে রাখবে।
নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে গত ৩০ জুলাই, ২০১২ তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্বারক নং স্বঃমঃ পুঃ-২/উন্নীতকরণ/১/২০০৮/৬২৪ তারিখ-৩০/০৭/২০১২ মূলে সার্জেন্ট/ সাব-ইন্সপেক্টরদের তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং স্বারক নং- স্বঃমঃ পুঃ-২/উন্নীতকরণ/১-২০০৮/৬২৫ তারিখ-৩০/০৭/২০১২ মূলে পুলিশ ইন্সপেক্টরদের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে উন্নীত করা হয়।
উল্লেখ্য পুলিশ-পাবলিক সম্পর্ক সব সময় দ্বিমুখী। পুলিশের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিই এই সার্ভিসের গুণগত মান উন্নয়নের জন্য যথেষ্ঠ নয়। আমাদের পুলিশ নানা কারণে আত্মসম্মানহীন হয়ে পড়ছে। বৃটিশ সরকারের সময়ও একজন এসআইকে বিএ পাশ করতে হত। বাংলাদেশে সরকারি চাকুরির ক্যাডার পদে প্রবেশের যোগ্যতার সাথে একজন সাব-ইন্সপেক্টরের যোগ্যতার কোনই পার্থক্য নেই। সামান্য কিছু টেকনিক্যাল/প্রফেশনাল পদের ব্যতীক্রমী ক্ষেত্র ছাড়া বাংলাদেশের তৃতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে একমাত্র পুলিশের সার্জেন্ট/সাব-ইন্সপেক্টর পদের প্রবেশের যোগ্যতা হল কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি। তবে ইদানীং কালে এই পদে যোগদানকারী অফিসারদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী।
দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রবেশদ্বার হল পুলিশ বিভাগ। পুলিশ সদস্যরা ফৌজদারি বিচার-ব্যবস্থার দ্বাররক্ষক। সংসদ পাশকৃত আইনের মাধ্যমে অপরাধের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে। কিন্তু মানুষের কোন আচরণটি অপরাধ আর কোনটি নয়, তার প্রাথমিক সত্যতা নির্ধারণ করে পুলিশ। অন্যদিকে,পুলিশের মেরুদণ্ড হল সাব-ইন্সপেক্টরগণ। এরা হল ফৌজদারি অপরাধের তদন্তকারী কর্মকর্তা। বিচার চেয়ে যে এজাহারগুলো পুলিশের কাছে কিংবা কোর্টের কাছে করা হয়, সেগুলোর একটি বড় অংশের সমাপ্তি ঘটে পুলিশের তদন্তের মাধ্যমে। আবার যে মামলাগুলো বিচারের জন্য আদালতে পাঠানো হয় সেগুলোর পরবর্তী কর্মপন্থা আদালত পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমেই নির্ধারণ করেন।
ব্যতীক্রম ক্ষেত্রভিন্ন পুলিশের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করেই আদালত কোন অপরাধের বিচার কার্য পরিচালনা করেন। কোন বিচারক যদি কোন ব্যক্তিকে অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেন, তবে সেই মৃত্যুদণ্ডের আদেশের পথসূচনা করে পুলিশের সাবইন্সপেক্টর বা তদন্তকারী কর্মকর্তাগণই।
ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় একজন সাব-ইন্সপেক্টরের গুরুত্ব বিবেচনা করেই তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারিত হয়েছিল কমপক্ষে স্নাতক। কিন্তু, কালের পরিক্রমায় বিভিন্ন শক্তির টানাপোড়েনে সাব-ইন্সপেক্টরদের পদমর্যাদা উন্নীত করা হয় নাই। এত দিন যে আমরা এই কাজটি করি নাই, সেটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয় বটে। বর্তমান সরকার জাতীর সেই লজ্জা দূর করেছে।
বলাবাহুল্য, যখন কোন লোকালয়ে থানা ভিন্ন অন্য কোন সরকারি স্থাপনা ছিল না, তখনও সেই থানার দারোগাগণ ছিলেন তৃতীয় শ্রেণির সরকাররি কর্মকর্তা। ইন্সপেক্টরগণ ছিলেন দ্বিতীয় শ্রেণির। এখন একটি লোকালয়ে থানার বাইরেও উপজেলা হয়েছে। উপজেলায় মাঠ প্রশাসনের প্রায় সকল অফিসেরই শাখা বা নিম্নতম ইউনিটি রয়েছে। মাঠ প্রশাসনের অন্যান্য সকল অফিসের প্রধানগণ বিসিএস ক্যাডারভূক্ত না হলেও প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা। কিন্তু থানা চলত দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার নেতৃত্বে। উপজেলার একদা অস্তিত্বহীন বিভাগের কর্মকর্তাগণ অস্তিত্ব পেয়েই প্রথম শ্রেণি হয়েছেন কিংবা দ্রুততম সময়ে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় হয়ে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণির সাব-রেজিস্ট্রারগণ প্রথম শ্রেণি হয়েছেন। এমনকি শ্রেণিহীন নার্সগণও প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছেন। কিন্ত বৃটিশ আমলের ইন্সপেক্টরগণের শ্রেণির উন্নয়ন হয় নাই।
উপজেলার বিভিন্ন ধরণের মিটিং, কনফারেন্স, সমন্বয় সভায় উপস্থিত সরকারী কর্মকর্তাদের প্রায় সকলই প্রথম শ্রেণির। কিন্তু একমাত্র পুলিশের ইন্সপেক্টর বা থানার অফিসার-ইন-চার্জগণই ছিলেন দ্বিতীয় শ্রেণির। একটি উপজেলার সাধারণ প্রশাসনের প্রধান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অন্যদিকে, থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার একটা সিংহভাগই নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনা করেন থানার অফিসার-ইন-চার্জ। অন্তর্নিহিত গুরুত্বের কারণেই উপজেলার সরকারী প্রশাসনের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে থানার অফিসার-ইন-চার্জ জনসাধারণের কাছে পরিচিত। অথচ স্টাটাসের দিক দিয়ে তাকে রাখা হয়েছিল দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা করে। বিষয়টি শুধু দৃষ্টিকটূই ছিল না, এটা ছিল রীতিমত বিব্রতকর । বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রে কিছু কিছু ব্যবহারিক সমস্যার জন্মও দিত। তাই পুলিশ ইন্সপেক্টরদের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করার ফলে এই সব অবস্থার অবসান ঘটেছে।
পুলিশ জনগণের সাথে সৌহার্দ্রপূর্ণ আচরণ করে না বলে জনগণের মধ্যে ব্যাপক বিশ্বাস রয়েছে। কিন্তু যে পুলিশের কাছ থেকে আমরা সম্মান চাই, সেই পুলিশ নিজেরা কতটুকু সম্মান পায়, তাও বিবেচনায় আনতে হবে। পুলিশকে মর্যাদা দিব না, অথচ পুলিশের কাছ থেকে মর্যাদা চাইব — এটা উৎকৃষ্ট মানের স্ববিরোধীতা নয় কি? মান-সম্মান, শ্রদ্ধা-ভালবাসা কি এক তরফা হয় কখনো? আমার যা নাই, আমি আপনাকে তা কিভাবে দিব? আমার নিজেরই যখন সম্মান নাই, তখন আমার কাছ থেকে আপনি কিভাবে সম্মান আশা করেন?
পুলিশের মাঠ পর্যায়ের এই অফিসারদের শ্রেণিগত মর্যাদা বৃদ্ধির ফলে সরকারের আর্থিক ব্যয়ভারে তেমন কোন পরিবর্তন আসবে না। এর ফলে পুলিশের সামগ্রিক বাজেট থেকে মাত্র ১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে। পুলিশকে প্রদত্ব বাজেটের আকার হল প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ।(২০১১-১২ অর্থ বছরে ছিল ৪ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা )। পদমর্যাদা বৃদ্ধির ফলে মাঠ পর্যায়ে পুলিশের সিংহভাগ দায়িত্বপালনকারী এই সব অফিসারদের মধ্যে যে কর্মসন্তুষ্টি আসবে, সেই তুলনায় ১৩ কোটি টাকার ব্যয় বৃদ্ধি খুবই নগণ্য।
তবে এই পদক্ষেপের ফলে পুলিশকে বেশ কিছু গৃহকর্ম সম্পাদন করতে হবে। নন-গেজেটেড থেকে গেজেটেড ও দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করার ফলে এই দুই পদের নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন, শৃঙ্খলা, পুরস্কার, শাস্তি এবং বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বেশ কিছু বিধিবিধান পূনর্বিবেচনা করতে হবে। এই সব ক্ষেত্রেও বিভিন্ন টানাপোড়েন সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও বিধি বিধানের অভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই বিষয়ে আশু দৃষ্টি দিতে হবে।
অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ঘুষ, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিরপেক্ষতা, মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি ইত্যাকার নানা অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে করা যায়। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতায়, পুলিশের বিরুদ্ধে জনগণের সবচেয়ে বড় অভিযোগ হল, পুলিশ তাদের সাথে সঠিক আচরণ করে না। বর্তমান সরকারের মাধ্যমে পুলিশকে জনগণ সম্মান দিচ্ছেন। তাই, পুলিশের জন্য জনগণকে সম্মান করার গরজ তাত্ত্বিক ও নৈতিক উভয় দিক দিয়েই বেড়ে গেল। জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত সরকারের দেওয়া পদমর্যাদার ঋণ তাই জনগণকে মর্যাদা দিয়েই শোধ করতে হবে।(০১/০৮/২০১২)
সূত্র:
১।দৈনিক মানব জমিন, ৩১ জুলাই, ২০১২। নিম্নের ওয়েব লিংকে পাওয়া যাবে: http://mzamin.com/details.php?nid=MTYwMDI=&ty=MA==&s=MjU=&c=MQ==
২।দৈনিক যুগান্তর, ২৫ জুলাই, ২০১২। নিম্নের ওয়েব লিংকে পাওয়া যাবে:
http://jugantor.us/enews/issue/2012/07/25/news0929.htm
গাজী আল আমিন বলেছেনঃ
পৃলিশের পদ উন্নয়ন এর পাশাপাশি তাদের মান উন্নয়ন ও জরুরী।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
ধন্যবাদ, গাজী আল আমিন।
আপনার সাথে সম্পূর্ণ সহমত। পদমর্যাদা বৃদ্ধির সুফল পেতে হলে পুলিশকে কাঙ্খিতমাত্রায় পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করতে হবে। কিন্তু পেশাদার হতে গেলে দরকার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, কাজের পরিবেশ এবং বিভাগীয় সম্পদ যাকে সবাই বলেন লজিস্টিক। নেই এর যাতাকলে ফেলে দিয়ে যত প্রত্যাশাই করি না কেন সঠিক সেবা ও আচরণ পাওয়া মুসকিল। আমাদের প্রত্যাশার পুলিশ পেতে গেলে পুলিশের মানব সম্পদ উন্নয়ন করতে হবে।
গত ত্রিশ/পঁয়ত্রিশ বছরে আমরা পুলিশের বাহ্যিক দিকের যথেষ্ঠ পরিবর্তন ঘটিয়েছি। কিন্তু এর ভিতরের দিকটির পরিবর্তন আনতে পারিনি। এর জন্য শুধু সরকারকে দোষ দেওয়ার উপায় নেই। পুলিশের ভিতরের নেতৃত্বও এরজন বহুলাংশে দায়ি।
তাই সমগ্র পুলিশ সার্বিসের মান পরিবর্তন জরুরী।
বিন্দুবিসর্গ বলেছেনঃ
আমি আপনার কোন এক পোষ্ট এ বলেছিলাম প্রয়োজনের কথা। যত নতুন আবিস্কার, পরিবর্তন সবই প্রয়োজনের তাগিদেই। এই আপগ্রেডেশনটা্ও প্রয়োজন ছিল বলেই হয়েছে। দেরিতে হলেও হয়েছে। এখন আমাদের চা্ওয়াটাও বেড়ে গেল। দেখার বিষয় কেমন করেন ইন্সপেক্টর এবং সাব ইন্সপেক্টর গন। লজিস্টিক নাই এইটা আমার কাছে কেমন পাশ কাটিয়ে চলে যাবার মত মনে হয়। যা আছে তারও যদি ইফিসিয়েন্ট ব্যবহার হয় তাতেও বর্তমান অবস্থার কিছুটা হলেও পরিবর্তন সম্ভব। গাড়ি নাই? থাকবে কি ভাবে সব গুলো তো এক জনেরই লাগে। সরকারী ২/৩ টা। ওসির টা। সার্কেলেরটা । সবই দখল করে রাখেন। অন্যরা পাবে কি করে। অফিসার হেটে অফিস যায় আর গাড়ি আমার শালী ব্যবহার করে। তবে স্বীকার করি প্রয়োজনের তুলনায় এখনও লজিস্টক কম। তবে যা পায় তা যদি ঠিকমত ব্যবহার হয় তাতেও চলে যায়। ধন্যবাদ পুলিশ সাহেব কে ।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
ধন্যবাদ, বিন্দুবিসর্গ।
আপনার সাথে সহমত। আমাদের বর্তমান সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করলে অনেক সীমাবদ্ধতাই দূর হবে।
অফিসার যদি হেটে হেটে অফিসে যেত, তাহলেও আপত্তি করতাম না। কিন্তু আপত্তিটা না করে পারি না, যখন অফিসার সরকারি গাড়িগুলো সরকারি কাজে না লাগিয়ে তার পরিবারের কাজে ব্যস্ত রাখে।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
রাজ্জাক ভাই,
পত্রিকায় খবরটি দেখেই ভাল লেগেছিল। আপনার পোস্টে স্বাভাবিকভাবেই আরও বিস্তারিত তথ্য পেলাম। পদমর্যাদা, আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির সাথে (আপনার ব্যানারে লিখার অনুকরণে বলতে চাই) আমাদের পুলিশ যেন হয়ে ওঠে “প্রত্যাশার পুলিশ; জনতার পুলিশ”। কিন্তু হতাশার যায়গাও খুব বড়। আজকের প্রথম আলোর রিপোর্টটিদেখেছেন আশা করি। খবরটি সত্যি হয়ে থাকলে সেটা কী ভয়ঙ্কর! (আগের এবং পরের সব খবর, বক্তব্য পড়ে কিন্তু আমার কাছে এটা সত্যি মনে হয়েছে)
অনেক শুভকামণা আপনার জন্য; আমাদের পুলিশ বাহিনীর জন্য।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
ধন্যবাদ, জাহেদ ভাই।
আপনার সাথে আমারও হতাশা জাগে। তবে, আজকে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে যা এসেছে যা নতুন কিছু নয়।
কোন পুলিশ অফিসারের ব্যক্তিগত বিচ্যূতিকে যদি প্রশ্রয় দেওয়া না হয়, তবে তা কখনোই ভয়ংকর রূপ নেবে না। এই ব্যাপরে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা ঐ পুলিশ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত বিচ্যূতি। এটাকে সাংগঠনিকভাবে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি। প্রথম দিকেই সিনিয়র পুলিশ অফিসারগণ সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদনসহ তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।
পাগল মন বলেছেনঃ
রাজ্জাক ভাই, মনটা খারাপ তবু বলছি, শুরু তো হল, একদিন সব দুর্নাম কেটে যাবে। হয়ত সময় লাগবে বেশ। আপনাদের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার অনেক আছে, চালিয়ে নিতে পারলে তাদেরকে হোস্টাইল কোন সময় মনে হয়নি। যা বিচ্যুতি তা হয়ত অভাব আর আর্থিক কারণে। রমজান মাসে ইফতারির সময় একহাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ আর অন্য হাতে মুড়ি খেয়ে রোজা ভাঙ্গে যে লোকটি তাঁর কোন ভুল ভ্রান্তি এবং অনিয়ম ধরতেও নিজেকে খুব অসহায় আর ছোট মনে হয়। ভাল থাকুন ভাই।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
ধন্যবাদ, পাগল মন।
যখন তখন ছোটখাট বিষয়ে জুনিয়রদের দোষ ধরার মানসিকতা কোন সিনিয়র অফিসারের হতে পারে না। শুধু দোষ ধরার জন্য সারাক্ষণ সুযোগ খুঁজতে থাকলে, তা পাওয়া খুবই সম্ভব। কিন্তু এই ব্যাপারে পিআরি এর ১৮৯ প্রবিধান কি বলে দেখি–
এবং