১০১ পুলিশের বিচার হবে: গোপন তথ্য ফাঁসকারীদের কি হবে?

মোঃ আব্দুর রাজ্জাক
Published : 27 March 2014, 05:44 AM
Updated : 27 March 2014, 05:44 AM

শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা পৃথিবীতেই সম্ভবত একটি মাত্র সংগঠন আছে, যাদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে তাই বলা যায়, লিখা যায়, করা যায় এমনকি করানোও যায়। না এটা কোন বেসরকারি বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নয়, এটা হল কোন দেশের পুলিশ বিভাগ। পুলিশ আগাগোড়াই একটি সরকারি সংগঠন। বেসরকারি হওয়ার কোন সুযোগ এই সংঠনটির নেই। কারণ, এই সংগঠনটি হল সরকারের অস্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ; এটি হল সরকারের বৈধ শক্তি ও ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রাথমিক ও চূড়ান্ত হাতিয়ার।

দুর্নীতি পুলিশ বিভাগের সৃষ্টি লগ্ন থেকেই আছে। আদিতে ছিল, মধ্যতে ছিল, আধুনিকে আছে, উত্তরাধুনিকে থাকবে এবং অদূর ও দূর ভবিষ্যতেও পুলিশে দুর্নীতি থাকবে। তবে এর সাথে এও বলতে হয়, দুর্নীতি নেই, এমন কোন সংগঠন কি কোথাও আছে? যদি থেকেও থাকে, তারা কি পুলিশের মতো আইনী ক্ষমতার পাশাপাশি আইনের অনুপস্থিতিতে স্বকীয় বিবেচনায় কাজ করতে পারে? তারা কি পুলিশের সর্বনিম্ন পদের কনস্টেবলটির মতো নাগরিকদের জীবন-মরণ নির্ধারণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে? তারা কি পারে পুলিশের প্রতিটি সদস্যের মতো বিনা পরোয়ানায় যে কোন নাগরিককে সন্দেহ বসত গ্রেফতার করতে? তাদের কি কাজ করার পাশাপাশি কাজ না করার স্বাধীনতা আছে, যেমনটি আছে পুলিশের রাত্রিকালীন টহল পার্টির হেডকনস্টেবলটির?

গ্রেফতার বাণিজ্য নিয়ে প্রতি বছরই মৌসুমী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় খবরের কাগজগুলোতে। ঈদ, পূজা, কোন জাতীয় অনুষ্ঠান, কোন বড় ধরনের দেশি-বিদেশি অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির চলাচল-আগমন-প্রস্থান ইত্যাদির ক্ষেত্রে পুলিশকে তৎপর হতে দেখা যায়। কোন বিষয়ে যখনই বাড়তি নিরাপত্তার প্রশ্ন আসে, তখনই পুলিশকে বাড়তি তৎপরতা দেখাতে হয়। পুলিশের তৎপরতা বা কাজের মূল্যায়নের অন্যতম মাপকাঠি হল গ্রেফতার। গ্রেফতারের ক্ষেত্রে পুলিশ যতটা না স্বপ্রণোদিত, তার চেয়েও অনেক বেশি ঘটনা-তাড়িত। পূজা-পার্বণে মানুষের চলাচল বাড়ে, অর্থের লেনদেন বাড়ে সাথে সাথে অপরাধীদের কর্মতৎপরতাও বাড়ে। যদি মানুষ সর্বক্ষণ ঘরে বসে থাকত, তাহলে পুলিশের কাজটা অতি সহজ হত। কিন্তু তাতে কি আর দেশ-সমাজ-সংসার চলত? এটা হত জুতা আবিষ্কারের কাহিনীর মতো। এতে সবার মনে সন্দেহ জাগত ঠিক হবুচ্চন্দ্র রাজার মতোঃ
সে কথা বড় খাঁটি
তবে মোর মনে হতেছে সন্দ,
মাটির ভয়ে রাজ্য হবে মাটি
দিবস-রাতি রহিলে আমি বন্ধ।

২০১৩ সালের শেষ ও ২০১৪ সালের প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে অনেকটাই অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করেছিল। বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে সহিংস আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছিল জামাতের যুদ্ধাপরাধী নেতাদের ধোয়া তুলশী পাতা বানানোর জঙ্গি আন্দোলন। পুলিশকে আক্রমণ করে সরকারের প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার চিরায়ত কৌশলটি এই সময় যত প্রকট আকার ধারণ করেছিল, ততো বেশি বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনোই করেনি। আশির দশকের পুরোটাই এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে পুলিশ ছিল বড় বেকায়দায়। তখন আমরা ছিলাম ছাত্র। আমাদের নিত্য-নৈমিত্তিক কাজের একটি ছিল পুলিশকে ঢিল ছোঁড়া। ছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেস্ট জহুরুল হক হলে। সকালে যেতাম পলাশী মোড়ে নান্সবা করতে। নাস্তা সেরে হলে ফেরার আগে অদূরে দাঁড়ানো পুলিশ দলের উপর দু-একটি ইঁট ছোড়াকে পবিত্র দায়িত্ব মনে করতাম। শুধু আমি নই; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সময়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীই এমনটি মনে করত। এই সময় পলাশী মোড় থেকে তিন পুলিশকে ধরে দিগম্বর করে মারতে মারতে মধুর কেন্টিন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি। কিন্তু পুলিশকে হেস্তনেস্ত করলেও তাদের প্রাণে মেরে ফেলার কোন চেষ্টাই কেউ করত না। কিন্তু ২০১৩ সালে এসে আমরা পুলিশের মাথা থেঁতলে দেবার মতো চরম নৃশংসতা দেখেছি। একটি বছরে ১৫ জন পুলিশ সদস্যের হত্যা, ২৫০ পুলিশ সদস্যকে চিরতরে পঙ্গু করা ও হাজার হাজার পুলিশ সদস্যকে আহত করার ঘটনা কোন চাট্টিখানি কথা হল?

কুকুরের সমপর্যায়ের মুগুর খোঁজা সমাজের সাম্যের জন্যই প্রয়োজন; শৃঙ্খলার জন্য জরুরী। যেখানে একের পর এক পুলিশ সদস্য নিহত হচ্ছে, তখন পুলিশ প্রতিপক্ষের সাথে পিঠ চাপড়ানোর মতো আচরণ করবে তা নিশ্চয়ই কেউ প্রত্যাশা করেন না। তাই পুলিশকে কোমল আচরণের পরিবর্তে কঠোর হতেই হবে। যারা গজারী কাঠের লাঠি থেকে শুরু করে বোমা আর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিশের সামনে আসে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে যদি রাবার বলেটও ছুড়তে নিষেধ করা হয়, তাহলে পুলিশকে হতে হবে নিতান্তই রোব-কপ। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশ যেহেতু রোবকপ নয়, রক্ত মাংসের মানুষ তাই তাদেরও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল, নিতে হয় ও নিতে হবেই।

কিন্তু তা কোন দিনই আইনের বাইরে গিয়ে নয়। আইনের ভিতর থেকেই আইনকে রক্ষা করার শিক্ষাটি বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা তাদের মৌলিক প্রশিক্ষণেই পেয়ে থাকেন। এত কিছুর পরেও মাঠের পুলিশ সদস্যরা ছিলেন কাঙ্খিতমাত্রায় ধৈর্যশীল। সহকর্মীদের হত্যা বা আহত হওয়ার ঘটনায় তারা আবেগাপ্লুত হয়েছেন, অশ্রুবর্ষণ করেছেন, বুক চাপড়ে আহাজারিও করেছেন। কিন্তু আইনের বাইরে গিয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তারা আইন দিয়েই বেআইনী কর্মকে মোকাবেলা করেছেন।

কিন্তু আইনের ভিতরে থেকে আইন প্রয়োগ করে নিজেদের রক্ষা করার কৌশলও এই দেশে সমালোচিত হয়। এই দেশে পুলিশের কোন কাজই যেন জনগণ অনুমোদন করতে চায় না। এই দেশে পুলিশকে মরিয়া প্রমাণ করতে হয় যে, মরিবার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। কোন পুলিশ সদস্য নিহত হয়নি, অথচ পুলিশ গুলি চালিয়েছে, জনগণ এটাকে যেন অনুমোদনই করতে চায় না। এটা যেন পানা পুকুরে লক্কায়িত ব্যাঙের প্রতি বালকদিগের প্রস্তর নিক্ষেপের মতো। কোন ব্যাঙ না মরলে বালক দিগের কোন দোষই কেউ দেখে না। বালক দিগের প্রস্তরের আঘাতে আঘাতে কত ব্যাঙ পানাপুকুরে যে কাতরায় তা তো কেউ দেখে না। হরতালকারী, চাঁদের দেশে সাঈদীর মুখ রক্ষাকারী, ধর্ম রক্ষাকারী, তত্ত্বাবধায়কের মিশনারীদের আঘাতে কত সহনহশীল পুরিশ সদস্য হাসপাতালের বেডে শুয়ে যে কাতরায়, কতটি পুলিশ পরিবার নিঃস্ব হয়, তার খবর অবশ্য কেউই রাখে না। পুলিশের সুখঃদুখের কাহিনী কোন পত্রিকার পাতায় সাধারণত স্থান পায় না। পুলিশ আলোচিত, সমালোচিত তবে সমবেদনার অংশীদার নয়।

যাহোক, কথা শুরু করেছিলাম গ্রেফতার বাণিজ্য নিয়ে। কোন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পুলিশের গ্রেফতারের সংখ্যা যে বেড়ে যায় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু পুলিশ যাদের গ্রেফতার করে তাদের সবাইকে কি জেল-হাজতে পাঠানো চলে? ধর্তব্য-অধর্তব্য, সাধারণ-গুরুতর, ইতিকথা-কানকথা, সন্দেহ-সংসয় ইত্যাদি কত প্রকারের কারণেই না মানুষ গ্রেফতার হয়ে থানায় আসতে পারে। থানা হাজতে যাদের দেখা যায় তাদের সবাইকে যে শুধু পুলিশেই গ্রেফতার করে তাও ঠিক নয়। আমাদের আইনে সাধারণ মানুষ কর্তৃক গ্রেফতারের ক্ষমতাও রয়েছে। কোন প্রকার আইনের জ্ঞান ছাড়াই সাধারণ মানুষ গ্রেফতার কাজটি সম্পন্ন করতে পারে। আবার সন্দেহ বসত গ্রেফতারের পুরোটাই যে পরবর্তী অনুসন্ধানে অপরাধকর্ম দ্বারা সমর্থিত হবে তাও নয়। তাই পুলিশ যাদের গ্রেফতার করে প্রাথমিক অনুসন্ধান ব্যতীত তাদের সবাইকে জেলহাজতে পাঠানোটা ঘোরতর অন্যায়। আপাতত দৃষ্টিতে গ্রেফতারযোগ্য মনে হলেও পরবর্তী অনুসান্ধানে যাদের বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে না, তাদের থানা থেকেই ছেড়ে দিতে হয়। এটাই আইনের গুঢ় কথা; এটাই আইনের স্পিরিট।

তবে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়াটা থানা ওসির খেয়াল-খুশির উপর নয়; আইনের নির্দেশনায় হয়ে থাকে। আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় যেখানে আদালতকে কোন ব্যক্তিকে জামিন দেবার নির্দেশনা, ক্ষমতা বা তাগিদ রয়েছে সেখানে থানার অফিসার-ইন-চার্জকেও জামিন দেবার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। সেটা হতে পারে জামিনযোগ্য মামলা বা অজামিনযোগ্য মামলায়। আর যখন কোন ব্যক্তির প্রতি অপরাধ প্রাথমিক অনুসন্ধানেই প্রমাণিত হয় না, যে ব্যক্তির প্রতি নিয়মিত মামলা রুজুর কোন কারণ নেই, অথচ যাকে কোন না কোন ভাবে গ্রেফতার হয়ে থানায় আসতে হয়েছে, সেই ব্যক্তিকে পুলিশ কোন যুক্তিতে মুচলেকায় বা বিনাম মুচলেকায় ছেড়ে না দিয়ে জেল হাজতে পাঠাবে? যে পুলিশের হাতে পড়লেই মানুষকে চৌদ্দশিকের ভিতর ঢুকতে হয়, যে পুলিশে ছুঁইলেই নাগরিকদের লালঘরের ভাত ক্ষেতে হয়, তাহলে সেই পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীও নয়, নাগরিকদের নিরাপত্তাদানকারী সরকারি কর্মচারীও নয়; সেই পুলিশ অত্যাচারী, আইন-ভঙ্গকারী কিংবা যন্ত্রের তৈরি রোবকপ।

কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে কোন ব্যক্তিকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হলেই পুলিশের বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে। এটা আমাদের দেশের মানুষের, বিশেষ করে পত্রিকাওয়ালাদের সাধারণ অভ্যাস। আর যারা ছাড়া পান, তারাও গর্ব করে বলেন, পুলিশকে ঘুষ দিয়েই তারা মুক্ত হয়েছেন। এই ঘুষ নেয়ার বিষয়টি যে আগাগোড়াই মিথ্যা আমি তা বলছি না। কিন্তু থানা থেকে জামিন বা ছাড়া পেলেই যে মানুষকে ঘুষ দিয়েই তার মুক্তি ক্রয় করতে হয় এমন কথা শুধু কুসংস্কারচ্ছন্নই নয়, বিদ্বেষ প্রসূতও বটে। পুলিশের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে স্বকীয় বিচার-বুদ্ধি তথা পুলিশ-প্রজ্ঞার ব্যবহারে যারা অসন্তুষ্ট তারাই এমন ধরনের ঢালাও অভিযোগ করে বসেন।

থানা পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত হতে পারে। সরকারের একাধিক সংস্থা রয়েছে যারা পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার বা উৎকোচ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন সংগ্রহ করতে পারে। কিন্তু একমাত্র পুলিশ ছাড়া অন্যান্য সংস্থার প্রতিবেদন নিতান্তই গোপনীয়। একমাত্র পুলিশই তদন্ত করে; অন্যরা অনুসন্ধান করে কিংবা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে। তদন্ত একটি প্রকাশ্য কর্ম। কিন্তু অনুসন্ধান অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গোপন বিষয়। আলোচিত অনেক বিষয়েরই বিচার বিভাগীয় কিংবা নির্বাহী অনুসন্ধান হয়। কিন্তু সব অনুসন্ধানের প্রতিবেদন সরকার প্রকাশ করে না। আর গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন তো সরকারের সর্বোচ্চ গোপন দলিল। তার বিষয়বস্তু বাইরে আসে কি করে?

আলোচিত প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসেছে। এর মাঝে এর খবর পত্রিকায় চলে এলো। কি তাজ্জব ব্যাপার! সরকারের গোপনীয়তা বলতে কি কিছু নেই? একটি গোপন প্রতিবেদনে কোন পুলিশ অফিসার কত টাকার গ্রেফতার বাণিজ্য করেছেন তার পুঙ্খানুপুঙ্খু বিবরণ না হলেও এই প্রতিবেদনে প্রায় পুরোটাই প্রকাশিত হয়েছে। যদি পত্রিকার কলেবরে কুলোত তা হলে প্রথম আলো হয়তো অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার মতো প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিবেদনটির পুরোটাই প্রকাশ করে দিত।

পুলিশকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখা সরকারের কর্তব্য। কিন্তু সাথে সাথে পুলিশকে সরকারের কর্তৃত্বের বাইরে যারা শৃঙ্খলিত করতে চায়, যারা পুলিশের বিরুদ্ধে মৌসুমী প্রতিবেদন তৈরি করে বা করতে ইন্ধন যোগায় কিংবা পুলিশকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সরকারি প্রতিবেদন সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেয়, তাদেরকে কি শৃঙ্খলার বাইরে রাখা হবে? যদি তা হয়, যদি সরকারের গোপন তথ্য ফাঁসকারীগণ ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন, তাহলে সমাজে আর শৃঙ্খলা আর থাকল কোথায়? একটি আমলাতন্ত্রের শক্তি তার গোপনীয়তার উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। সরকারের শ্রেণিবদ্ধ বা গোপনীয় দলিল যদি পত্রিকার অফিসের সাধারণ প্রতিবেদকের টেবিলে পাওয়া যায়, তাহলে সেই আমলাতন্ত্র নিতান্তই দুর্বল।