তোরাও তো কম করিস না!-রাশিদা বিনতি ইসমাইল (মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্টে বাংলাদেশিদের হয়রানি-২)

মহিব
Published : 21 April 2011, 05:18 PM
Updated : 21 April 2011, 05:18 PM

মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্টে বাংলাদেশীদের হয়রানির আমার আগের রিপোর্টের ২য় পর্ব।

কাজে আছি।এমন সময় নজরে আসল ম্যাডাম রাশিদা আসছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের অ্যাটাচি। উনি সাবে মালয়েশিয়া এসেছেন।উনাকে বললাম যে, মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্টে বাংলাদেশীদের হয়রানির কথা।উনি মানলেন আর দু:খ পেলেন।আর জাতি হিসেবে আমাকে শরমে ফেললেন।বললেন,"তোরাও তো কম করিস না!—-, আমার স্বামি তোদের দেশে যাবে।এর জন্য তোদের হাইকমিশন এই লাগবে, সেই লাগবে বলে কম হয়রানি করেনি।আর আমাকে তোদের দেশের এয়ারপোর্টে জিজ্ঞাসা করে কোথায় যাব? কি করি? এর পর অফিসার কড়া করে তাকিয়ে ঠাস করে আমার পাসপোর্ট মেলে মারে। আমি তো সব কাগজ ঠিক থাকলে তোদের ভিসা দিয়ে দেই।আটকাই না।এক বার এক লোককে ফিরিয়ে দিল।আমি নিজে তাকে চিঠি লিখে দেই মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্টে যেন তাকে আবার ফেরত পাঠানো না হয়।আর তোদের ওখানে গেলে তোরা কি করিস?"

কেউ কি এর কোন উত্তর দিতে পারেন? এসব ঘুষখোর আমলাদের কারনে কি ঘটনা ঘটে? এক জন বিদেশী মেহমান আমাদের দেশের হাইকমিশন থেকে শুরু করে দেশের ভিতরে ঢোকা পর ও কি ভাবে হয়রানির শিকার? আমাদেরকে হয়রানি হতে হয় ঠিক আছে কিনতু মেহমানের সাথে এমনটা করা কি ঠিক?

আমি ভাষা হারিয়ে ফেললাম আর বললাম,পরে যদি এমন হয় তো ধরে কষে একটা থাপ্পর দিবেন………………….এটাই তাদের এক মাত্র ওষুধ।