এক চান্নি পসর রাতে

শরফ উদ্দিন আহমদ
Published : 4 August 2012, 03:49 PM
Updated : 4 August 2012, 03:49 PM

এক চান্নি পসর রাতে, গিয়েছিলাম চান্নি দেখতে, এক শাখা নদীতে। নাম তার চেঙ্গের খাল, হয়তোবা কোন বড় নদীর ডাল, তবুও কী অপরূপ তার তাল।
এর আগে অবশ্য ওদিকটায় রাতে কখনো যাওয়া হয়নি। আমাদের বাসা থেকেও জায়গাটি খানিক দূরে বটে।

কী সুন্দর ঝকঝকে চান্দের আলো! দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। রাতের ঝলমলে আকাশ দেখতে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লাম। ওমা! ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি- ফরিদ, জুনেদ এবং শামীমও চন্দ্রিমা রাতের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে বাইরে বেরিয়েছে। আমাকে দেখে ওরা বলল, চল আমরা একসাথে এই চান্দের আলোয় সারারাত ঘুরে বেড়াই। আমি বললাম, সারারাত থাকতে পারবো না, তবে যতক্ষণ আমার মন চাইবে ততক্ষণই তোমাদের সাথে থাকতে পারবো। সারারাত নির্ঘুম থাকলে শরীর খারাপ করতে পারে। জুনেদ বলল, আচ্ছা ঠিক আছে।

আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে যখন এসব কথাবার্তা বলছি ঠিক তখনই আমাদের পাশে এসে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থামল। গাড়ির ভেতর থেকে একজন আমাদেরকে বললেন, চল আমরা আজ নদীর পাড়ে গিয়ে চন্দ্রিমা উদযাপন করি। তাকিয়ে দেখি- সেই লোকটি আমাদের পাড়ার মসজিদের মৌলভী সাহেব। আমি অবাক দৃষ্টিতে ঐ মৌলভী সাহেবের দিকে তাকালাম। আর মনে মনে বললাম, দ্যাখো ব্যাটার শখ কত! আমাদের মতো ছেলে-ছোকড়ার সাথে চন্দ্রিমা উদযাপন করবে, তাও আবার নদীর পাড়ে!

বাকীরা সবাই উনাকে সালাম দিল। কিন্তু আমি সালাম দিতে বেমালুম ভুলেই গেলাম। মৌলভী সাহেব মনে হয় ব্যাপারটি টের পেয়েছেন। তাইতো তিনি নিজে থেকেই হাত বাড়িয়ে আমার সাথে করমর্দন করে নিলেন। ব্যাপারটি দেখে ফরিদ, জুনেদ এবং শামীম মনে হয় কিছুটা অবাক হলো। কেননা, মৌলভী সাহেব তো তাদের সাথে করমর্দন করলেন না, কারণ কি?

মৌলভী সাহেব ফরিদকে বললেন, চল আজ আমরা নদীর পাড়ে হাঁটবো আর সুযোগ পেলে মাছও শিকার করবো। শামীম সেটি শুনে বলল, আইডিয়াটি মন্দ নয়। আমরা চাইলে মাছ শিকার করতে পারি। রাতে মাছ শিকারের আনন্দটাই আলাদা। আজ চন্দ্রিমা রাত, আজকে আরো বেশী আনন্দ পাওয়া যাবে। ফরিদ ঘড়িতে তাকিয়ে দেখল রাত তখন সাড়ে দশটা। সে গাড়ি থেকে নেমে পড়ল। আমি ফরিদকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি গাড়ি থেকে নেমে পড়লে কেন? আমরা তো আজ সারারাত চান্দের আলোয় ঘুরে বেড়াবো।

ফরিদ বলল, হ্যাঁ, সবই ঠিক আছে, আমরা সারারাত ঘুরে বেড়াবো, সঙ্গে মাছও শিকার করবো, সেজন্যে আমি মাছ শিকারের যন্ত্রপাতি যোগাড় করতে যাচ্ছি।

মিনিট দশেক পর ফরিদ ফিরে এলো। হাতে লম্বা দু-তিনটা টর্চ লাইট এবং মাছ শিকার করার জন্য আরো আনুষাঙ্গিক জিনিষ। গাড়িতে উঠেই সে বলল, চল এবার আমরা রওয়ানা হই।

বিশ মিনিট চলার পর আমরা গিয়ে পৌঁছলাম বাদাঘাট নামক স্থানে। চেঙ্গের খালের উপর দাঁড়িয়ে থাকা ব্রিজের উপর উঠতেই দূর আকাশে ছোট ছোট অসংখ্য তারার ঝিলমিল লক্ষ করলাম। অনেকগুলো তারা যেন একসাথে হয়েছে। বেশ সুন্দর লাগছে। একসাথে এতো তারা আগে কখনো দেখিনি। আর কেউ দেখেছে বলেও মনে হয় না। আমি ব্রিজে উঠার আগে থেকেই তারাগুলো দেখছিলাম, কিন্তু কাউকে বললাম না। অপেক্ষায় থাকলাম, অন্য কেউ দেখছে কিনা সেটা বোঝার জন্যে। হ্যাঁ, অন্য সবাই সেটা লক্ষ করছে। আর তাইতো ফরিদ বলে উঠল, এই দ্যাখো কী যেন ঝিলমিল করছে, খুব সুন্দর লাগছে। জুনেদ বলল, হ্যাঁ, একসাথে অনেক তারা। মৌলভী সাহেব মুচকী মুচকী হাঁসলেন আর বললেন, এগুলো তারা নয়, এগুলো বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলছে। মেঘালয় পাহাড়ের উপর যে বসতি আছে সেখানে বাতিগুলো জ্বলছে বলে এখান থেকে আমাদের কাছে তারার মতো মনে হচ্ছে। আমি বললাম, ও তাইতো বলি, এতগুলো তারা একসাথে হয় কীভাবে? তবে যেটিই হোক, দেখতে খুব অপূর্ব লাগছে। এদিকে চাঁদটাও যেন আমাদের মাথার ঠিক উপরে এসে গেছে। আলোয় একেবারে সবকিছুই ফর্সা লাগছে। চারদিকে যতটুকু দৃষ্টি যাচ্ছে ততটুকুই দেখা যাচ্ছে। চান্দের ঝলমলে আলোয় নদীর পানিও চিকচিক করছে। আজ নদীর পানি যেন রুপালী রং ধারণ করেছে। নদীর পানি যেন আমাদেরকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। মন চাইছে ঝাপ দিয়ে নদীতে গিয়ে সাতার কাঁটি। কিন্তু সেটা সম্ভব হচ্ছে না।

ব্রিজ পার হয়ে আমরা ওপাড়ে গিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিক্সাটি ছেড়ে দিলাম। গাড়ি থেকে নেমে নদীর পাড় দিয়ে বয়ে চলা পীচ ঢালা পথে আমরা হাঁটতে শুরু করলাম। চান্দের আলোয় নদীর পাড় দিয়ে গল্প করে করে হাঁটতে খুব ভালো লাগছে। একেকজন একেক কিসিমের গল্প শুনাচ্ছে। কেউ কেউ আবার চাপাবাজিও করছে। এরই মধ্যে ফরিদ এবং শামীম মাছ শিকারের যন্ত্রপাতি হাতে নিয়ে মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিল। এসময় মৌলভী সাহেব শামীমের হাত থেকে মাছ ধরার যন্ত্রপাতি কেড়ে নিয়ে বললেন, তিনি মাছ শিকার করবেন। কাজেই মাছ শিকার করবে ফরিদ এবং মৌলভী সাহেব আর আমরা নদীর পাড়ে হাঁটবো, খোলা ঝলমলে আকাশ দেখবো আর গল্প করবো।

মাছ শিকারের জন্যে নদীর একেবারে পাড়ে যেতে না যেতেই ফরিদ খুশীর ধ্বনিতে লাফালাফি শুরু করে দিল, কী মজা কী মজা! সে বলল, আজ বেশ মাছ পাবো বলে মনে হচ্ছে। আমি বললাম, কেন? ফরিদ বলল, এইমাত্র আমার সামনে দিয়ে একটা লম্বা সাপ দেখতে পেয়েছি। সাপটি একটি মাছ ধরে খাচ্ছে, তার মানে আশেপাশে প্রচুর মাছ আছে। বলেই সে হাঁসছে হি হি হি………..। ফরিদের কথা শুনে আমি ভীষণ ভয় পেয়ে গেলাম। কারণ আমি বরাবরই সাপ ভীষণ ভয় পাই। সেটা ফরিদও জানে। তাইতো এতোক্ষণ চান্দের আলোয় হাঁটলেও এখন শামীমের হাত থেকে একটি টর্চ লাইট আমার হাতে নিলাম। এদিক সেদিক তাকিয়ে তাকিয়ে এখন আমরা হাঁটছি আর গল্প শুনছি। আমরা লক্ষ রাখছি সাপ আমাদের পাশে আসে কিনা। হঠাৎ জুনেদ বলল, আমি আর হাঁটতে পারছি না। এবার বসে বিশ্রাম নেওয়া দরকার। শামীম সেটা শুনে বলল, আরে কী বল, এই সামান্যটুকু জায়গা হেটেই তুমি হাপিয়ে উঠলে। জানো, আমি একদিন টানা দু'ঘন্টা পায়ে হেটে সত্তর মাইল জায়গা অতিক্রম করে একটা জায়গায় পৌঁছেছি। জুনেদ সেটা বিশ্বাসই করতে চাইল না। এ নিয়ে যত তর্ক বিতর্ক হলো। আমিও সেটা বিশ্বাস করলাম না। কেননা চাপাবাজিরও একটা সীমা থাকে। কিন্তু শামীম এক্ষেত্রে সেটাকেও অতিক্রম করেছে। বিশ্বের দ্রুত গতির দৌড়বিদ ওসাইন বোল্টের পক্ষেও ঘন্টায় পয়ত্রিশ মাইল জায়গা দৌঁড়ে অতিক্রম করা সম্ভব নয়। যাক, শেষপর্যন্ত আমরা একটি কালভার্টের উপর গিয়ে খনিকক্ষণ বসলাম। ফরিদ এবং মৌলভী সাহেব এতক্ষণে শিকারের সন্ধানে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আর আমরা তাঁদের অনেক পেছনে রয়ে গেছি।

ফরিদ টর্চ লাইটের আলোয় আমাদেরকে ইশারা করল সামনে এগুনোর জন্য। আমরা আবারো হাঁটা শুরু করলাম। কাছাকছি যেতেই ফরিদ বলল, আজ মাছ শিকার করতে পারলাম না। চল ফিরে যাই। জুনেদ বলল, কিভাবে যাবো গাড়ি তো নেই। মৌলভী সাহেব বললেন, দেখি সামনের এই বাজারে গাড়ি পাওয়া যায় কিনা? আমরা আরো খানিক হেঁটে বাজারে পৌঁছলাম। বাজারের নাম পিঠারগঞ্জ বাজার। কী সুন্দর নাম! নাম দেখে মনে হচ্ছে এখানে নানা ধরণের বাহারি পিঠা পাওয়া যাবে। একটা রেষ্টুরেন্টে গিয়ে ঢুকলাম। রাত তখন দু'টা। রেষ্টুরেন্ট বন্ধ হওয়ার সময়। মৌলভী সাহেবের পরিচিত একজনকে ঐ রেষ্টুরেন্টে পেয়ে গেলাম। তিনি আমাদেরকে চা-বিস্কুট খাওয়ালেন। কিন্তু বাহারী কোন পিঠার সন্ধান পেলাম না। যাক, তবুও ঐ পরিচিত ভদ্র লোকের আতিথিয়েতায় আমরা সবাই বেশ মুগ্ধ হলাম। রেষ্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে ঐ ভদ্র লোকটিও চেষ্টা করলেন আমাদের জন্যে কোন গাড়ির ব্যবস্থা করা যায় কিনা। কিন্তু শেষপর্যন্ত তিনিও কোন গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারলেন না। আমরা হাঁটা শুরু করলাম। উদ্দেশ্য- কিছুটা হেঁটে সামনের মূল সড়ক পর্যন্ত পৌঁছা। সেখানে পৌঁছে হয়তো গাড়ি পাবো।

আমরা যথারীতি হাঁটছি। মৌলভী সাহেব একটু পেছনে রয়ে গেছেন। কেউ সেটা খেয়াল করিনি। আমরা তাকে আমাদের সঙ্গে দেখতে পাচ্ছি না। জুনেদ বলল, মৌলভী সাহেব হয়তো সামনে চলে গেছেন। আমরাও সেটা বিশ্বাস করে হাঁটতে থাকলাম। সামনে তাকিয়েও মৌলভী সাহেবকে দেখা যাচ্ছে না। শামীম আমাদেরকে জিজ্ঞেস করল, তাহলে তিনি গেলেন কোথায়?
জুনেদ বলল, ঐতো সামনের বাঁশ ঝাড়ের কাছেই সাদা পাঞ্জাবী পরিহিত একজনকে দেখা যাচ্ছে, তিনি নিশ্চয়ই আমাদের মৌলভী সাহেব। ফরিদ বলল, হ্যাঁ, তাইতো। দেখি, সামনে এগিয়ে যাই। বাঁশঝাড়ের কাছে আসতেই দেখা গেল ওখানে কেউ নেই। জুনেদ ভয় পেয়ে গেল। ভয়ের ছুটে সে পেছনের দিকে দৌঁড়াতে শুর করল। পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে একেবারে মৌলভী সাহেবের মুখোমুখি গিয়ে দাঁড়ালো। মৌলভী সাহেব জিজ্ঞেস করলেন, কি হয়েছে? জুনেদ বলল, ভূত ভূত! মৌলভী সাহেব বললেন, ভূত! সে আবার কোন শালার পূত। জুনেদ বলল, আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন? আমরা তো ভেবে ছিলাম, আপনি আমাদের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। মৌলভী সাহেব জানালেন, আমি ঐ ভদ্র লোকের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসতে দেরী হয়ে গেছে। মৌলভী সাহেব জুনেদের বুকে, কপালে ফুঁ দিলেন, তার ভয় কিছুটা কেটে গেল। আমরা আবারো সবাই একসাথে রওয়ানা দিলাম।

চারদিকে শুনশান নিরবতা। রাস্তায় আমরা ছাড়া আর কেউ নেই। রাস্তার আশপাশের বাড়ির সবাই এতক্ষণে নিশ্চয়ই ঘুমিয়ে পড়েছে। খালি রাস্তায় আজ আমরাই রাজা। মিনিট পাঁচেক হাঁটার পরে আমি কার গানের আওয়াজ শুনতে পেলাম। পাশের কোন বাড়ি থেকে আওয়াজটা আসছে। মনের আনন্দে কোন মেয়ে হয়তো গান গাইছে। কন্ঠটা ভারী মিষ্টি। ইচ্ছে হচ্ছে দাঁড়িয়ে গান শুনি। কিন্তু সবসময় তো সব ইচ্ছা আর পূরণ হয় না। এসময় মনের অজান্তেই যেন আমার মুখ ফসকে নির্মলেন্দু গুণের সেই কবিতার লাইনগুলো বেরিয়ে পড়ল- স্নানে যাও যৌবতী কইন্যা/গাঙে আইছে বাণ/সঙ্গে নিতে ভুইলো না বন্ধু/সৌগন্ধী সাবান। এদিকে সেদিক তাকিয়ে দেখলাম কেউ সেটা শুনেছে কিনা। না, মনে হয় কেউ সেটা ঠিকমতো খেয়াল করেনি। তবে মৌলভী সাহেব মনে হয় খেয়াল করেছেন, সেজন্যে তিনি মুচকী মুচকী হাসছেন। যাক, আমি প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে বললাম, আমাদের একটু দ্রুত গতিতে হাঁটা দরকার, রাত অনেক হয়েছে, বাসায় ফিরতে হবে। আমরা দ্রুত গতিতে হাঁটতে হাঁটতে একসময় বাদাঘাটের ব্রিজের উপর চলে এলাম। কিছুক্ষণ ব্রিজের উপর বসে থাকলাম। বসে হিমেল বাতাসের পরশ নিলাম। ভীষণ ভালো লাগলো। মাঝেমধ্যে দু-একটা গাড়ি আসা যাওয়া করছে। আমরা গাড়ি থামানোর চেষ্টা করছি কিন্তু কেউ থামছে না। বিশ-পঁচিশ মিনিট ধরে চেষ্টা করে একটা গাড়িও থামাতে পারছি না। মনে হয় আমাদেরকে ডাকাত ভেবে সবাই ভয় পাচ্ছে। জুনেদের এসব আর সহ্য হলো না। সে একেবারে ব্রিজের মাঝখানে দাঁড়িয়ে গাড়ি থামানোর চেষ্টায় নেমে পড়লো। দূর থেকেই সে টর্চ লাইটের আলোয় ইশারা করতে থাকলো আর বলল, থামো থামো। শেষপর্যন্ত একটা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থামলো। থেমেই ড্রাইভার তার চৌদ্দ গোষ্ঠীর পরিচয় দিতে শুরু করে দিল, এমনকি গাড়ির মালিকের নামও সে বলল। আমরা বললাম, আমরা কি তোমার কাছে তোমার চৌদ্দ গোষ্ঠীর নাম জানতে চেয়েছি? তুমি আমাদেরকে বাসায় পৌঁছে দিতে পারবে কিনা, সেটা বলো। ড্রাইভার বলল, সে পারবে না। আমরা তাকে জোর করলাম না। ছেড়ে দিলাম। বেচারা এমনিতেই অনেক ভয় পেয়েছে। এরপর ফরিদ ইসমাইলকে ফোন করে জিজ্ঞেস করল, একটি গাড়ি নিয়ে আসতে পারবে কিনা। সে বলল, পারবে। আমরা আর কোন গাড়ি থামানোর চেষ্টা না করে ইসমাইলের অপেক্ষায় রইলাম। পনের-বিশ মিনটি পর ইসমাইল মটর সাইকেলে করে আসলো। কিন্তু মটর সাইকেলে কি পাঁচজন লোক যাওয়া যায়? ফরিদ অবশ্য ইসমাইলকে বলেছিল, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা নিয়ে আসতে। কিন্তু ইসমাইল সেটা আনতে পারলো না। কী আর করা, আমরা মৌলভী সাহেবকে ইসমাইলের মটর সাইকেলে করে যেতে বললাম। আর আমরা চারজন হাঁটা শুরু করলাম। দু-তিন মিনিট হাঁটার পর একটা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা আমাদের কাছে এসে থামলো। সেই গাড়িতে করে আমরা নিজ নিজ বাসায় ফিরে এলাম। সঙ্গে নিয়ে এলাম যত মধুর স্মৃতি। এই চান্নি পসর রাতের কথা আজও আমাদের মনে পড়ে।