আমাদের টাকা চাই। জনগনও চায়, সরকারও চায়।জনগন চায় সরকারের কাছে,সরকার চায় দাতাদের কাছে,বিশ্ব ব্যংকের কাছে।ভিক্ষা অথবা ধার। না পেলে আমাদের সেতু হয় না নূতন রাস্তা ঘাট হয়না।পুরোনো রাস্তা ঘাট মেরামত হয় না।বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারিনা। কিন্তু এখন নাকি টাকা আছে ।পদ্মা সেতু হবে আমাদের নিজের টাকায়। তাহলে এত দিনেও আমাদের প্রধান সমস্যা বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হলো না কেন?সভ্যতার প্রথম শর্ত বিদ্যুৎ,উন্নয়নের প্রধান শর্ত বিদ্যুৎ।একটি পদ্মা সেতু দেশের উন্নয়নে যতটুকু ভূমিকা রাখবে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ তার চেয়ে লক্ষগুণ বেশী উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।
আজব কান্ড।শেয়ার বাজার থেকে সংশ্লিষ্ট অতি উৎসাহী কর্তাব্যক্তিরা পদ্মা সেতুর জন্য টাকা উঠানোর অকল্পনীয় ও অবাস্তব স্বপ্ন দেখান্। অথচ নিঃস্ব বিনিয়োগকারীদের সহায়তা দানে তাদের এই উৎসাহটা দেখা য়ায় না।
বাস্তবতা হলো বিদ্যুৎ কোম্পানীর মিটার রিডারদের ধরে যদি একটি বছরের জন্য জেলে ঢোকানো যায় এই এক বছরে যে টাকা সাশ্রয় হবে তা দিয়ে দুইটা পদ্মা সেতু হয়ে যাবে সাথে যদি কর্মকর্তাদের ঢোকানো যায় তাহলে ঢাকা চট্রগ্রাম চার লেনের সড়কটাও হয়ে যাবে। শেয়ার বাজারের টাকাও লাগবে না বিশ্বব্যংকের টাকাও লাগবে না।
রাজনৈতিক দলের পোষ্যদের যদি ঠিকাদারি ব্যবসা থেকে সরানো যায় তাহলে ঢাকা শহরের মধ্যে মেট্রো রেল করার জন্য টাকার অভাব পূরণ হয়ে ২/৪টা ফ্লাইওভারও করা যাবে।
ওয়াসার মিটার রিডারদেরকে যদি সুয়ারেজ লাইনের পানির মধ্যে ঘন্টা খানেক ঠেসে ধরে রাখা যায় তাহলে বৃষ্টি হলেও ঢাকা শহরের রাস্তায় পানি জমার কোন সম্ভাবনা থাকবেনা।
শ্রেণী নির্বিশেষে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা কে কত বেতন পায় কার কতটা বাড়ী -গাড়ী আছে তা বের করতে পারলে পুরো বাংলাদেশ ফকফকা।
এসব যদি না করা যায় তবু আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পারবে।
বাঁশ দিয়ে।