আমাদের সরকারপ্রধান তাঁর কাজের সহযোগিতা করার জন্য অনেক মন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে থাকেন।সাধারণত যারা দীর্ঘদিন রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে দীর্ঘ কষ্টকর পথ পাড়ি দিয়ে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন তারাই মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।এরা এক একজন এক বা একাধিক মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পান।দীর্ঘ দিন রাজনীতি করার কারণে জনগনের সাথে এদের এক ধরনের সখ্যতা গড়ে উঠে যার কারনে এ ধরনের বেশীরভাগ মন্ত্রী জনগনের জন্য তথা দেশের জন্য কিছু একটা করার ইচ্ছা সব সময় পোষন করে।এর বাইরে সংসদ সদস্য না হয়েও ২/১ জন মন্ত্রী হন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানী ও দক্ষ হওয়ার কারণে।কিন্তু আমাদের দেশের এমন কয়েকজন সংসদ সদস্য আছেন যারা রাজপথের আন্দোলনে দূরে থাক আদৌ "রাজনীতি" শব্দটার সাথে পরিচিত ছিল কি না সন্দেহ আছে।এমন একজন আমাদের শ্রম ও প্রবাসী মন্ত্রী।দেশের শ্রমিকদের জন্য কি করেছেন তিনিই জানেন।তবে কিছুদিন পরপর শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে যানজট সৃষ্টি করে পুলিশের সাথে মারামারি করে জানিয়ে দেয় মন্ত্রী সাহেব তাদের জন্য কত কিছু করেন। মধ্যপ্রাচ্য,মালয়শিয়া সহ বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজার বন্ধ করে দিয়ে তিনি এই খাতেও তার দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। অবশ্য এ ধরনের মন্ত্রীদের যোগ্যতা অন্য কিছু রাজনীতি বা মেধা নয়।
এতো গেলো পরাক্রমশালী মন্ত্রীদের কথা। সাংসদও নয় মন্ত্রীও নয় কিন্তু মহাপরাক্রমশালী কিছু ব্যক্তি আছেন, পর্দার আড়ালে থাকেন।পদ্মা সেতুর অর্থ কিভাবে বিশ্বব্যাংক থেকে না নিয়ে মালয়শিয়া থেকে নিয়ে টু পাইস কামানো যায়,কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ দিয়ে কিভাবে জনগনের ভোগান্তি বাড়ানো যায় সব কিছু এনাদের নখদর্পণে। জনগন তো দূরের কথা, সরকার, মন্ত্রী সাংসদ কারও কাছে জবাবদিহি করার বালাই এদের নেই। দেশ জাহান্নামে যাক, দল গোল্লায় যাক,তারা সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকেন। যত দুর্নীতিই করুক না তারা আবুল হোসেন হন না। তাহাদের নাম উপদেষ্টা।