আমাদের দেশ। জটের দেশ। সরকারে মহাজট। বিরোধী দলে মাত্র চারটি জট, ইজ্জতের সওয়াল তাই মহামহাজট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। সেশনজট, যানজট নিয়ে পাবলিক এখন আর ভাবে না,তবে বৃস্টি এলে সুয়ারেজ লাইনের জট নিয়ে ভাবতেই হয়।বিরোধী দল জনগনের সেবা করার জন্য প্রায়ই তাদের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রাস্তা বন্ধ করে সভা করেন। তাদের সময়জ্ঞানও দারুন। ঠিক যখন স্কুল-কলেজ,অফিস-আদালত ছুটি হয় তখন তাদের শুরু।
আমার হলো শুরু,তোমার হলো সারা।ফলাফল, মহাযানজট। জনসেবা বলে কথা!
এদিকে যোগাযোগ মন্ত্রি সাহেবের মাথায় জট। রেল না রাস্তা। সারা দেশের রাস্তায় বড় বড় সব গর্ত। রেলওয়তে সব বড় বড় দুর্নীতি। গর্ত ভরাবে, না দুর্নীতি সরাবে ভেবে পাচ্ছেন না।তাই জট, মহাজট।
অর্থমন্ত্রী মহোদয়ও জটের কবলে।পূর্ববর্তী সরকারদের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যুবক আর ডেসটিনির জটের ভিতর মাথা ঢুকিয়ে দিয়ে ইউনিপে একেবারে জটাজটি কান্ড করে ছাড়লো।এদিকে মহাকাব্যিক ঘটনা ঘটিয়ে ফেললো আমাদের সোনালি ব্যংকের সোনার মানুষরা! বেশী না। চার হাজার কোটি টাকা মাত্র!সাথে নাকি কোন এক "উফদেশটা" আর সিকি মন্ত্রীও ছিলেন। অচল সিকির সচল কাণ্ড! কাকপক্ষীও টের পাওয়ার কথা নয় অথচ সাংবাদিকরা সব জট পাকিয়ে দিল।যাকে বলে মহাকাব্যিক মহাজট।
আজরাইল ফেরেস্তা জান কবজ করতে আসার সময় সৃষ্টি কর্তার দেওয়া জন্ম সনদ সাথে নিয়ে আসে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের জন্ম সনদের সাথে সৃষ্টি কর্তার জন্ম সনদের মিল না পেয়ে সেও হায়াত মউত নিয়ে জট পাকিয়ে ফেলে।
জটের ব্যপারে বিশেষজ্ঞ ছিলেন চার খলিফার একজন জনাব আ স ম আবদুর রব। তিনি একবার ৭৭ টি দল নিয়ে মহা জট পাকিয়ে ফেলেছিলেন। সম্ভবত আমাদের এরশাদ ভাইকে খুশী করার জন্য।
এদিকে আমাদের প্রবাসী মন্ত্রী,বাংলাদেশ এসোসিয়েশান অব ইন্টারন্যাশানাল রিক্রুটিং এজেন্সি ওরফে "বায়রার" সাথে জট পাকিয়ে বসেছেন।তিনি নাকি তিরিশ হাজার টাকার বিনিময়ে বিদেশে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক পাঠাবেন বলে গত প্রায় চার বছর যাবত পাবলিকের নাকের আগায় মুলা ঝুলিয়ে রেখেছেন কিন্তু এক পিস্ও পাঠাতে পারেন নি উল্টো মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় দেশ শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। একেবারে মুলাঝুলা মহাজট।
চার বছরের জট কি এক বছরে খুলবে ? আসলে জট কোথাও নেই।সব জট পাবলিকের মাথায়! কারও মাথায় মহাজট, কারও মাথায় মহা মহাজট। সব মিলে ভজঘট।