হায় হাসান, হায় হোসেন।

শওকত আলি
Published : 8 Dec 2012, 04:11 AM
Updated : 8 Dec 2012, 04:11 AM

মাল দে হারামজাদা,না হয় পদ্মা সেতু খাবো—-
হাসান-হোসেন মিলে পদ্মা সেতু খেয়ে ফেলেছে!
আবুল হোসেন পদ্মা সেতুর দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কিন্ত তার বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না। বিশ্ব-ব্যাংকের মত আমরাও লা-জওয়াব। এরা কি এতই শক্তিশালী? অপরাধ করবে কিন্ত বিচার করা যাবে না!আইনের কতটা উর্ধে তাদের বসবাস? দুর্নীতি দমন কমিশন আসলেই কি দুর্নীতি"গোপন" কমিশন হয়ে উঠছে?
বিশ্ব-ব্যাংকের বিশেষজ্ঞ দলের প্রধানের কাছে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন"আমরা এয়ারপোর্ট যাচ্ছি"। তার মানে এই নয় কি? রাস্তা মাপেন।
মাত্র একজন মানুষের কাছে ১৫ কোটি মানুষের স্বপ্ন আজ জিম্মি।একটি দেশ জিম্মি।একটি দলের সমর্থকরা জিম্মি।
দুদকের চেয়ারম্যান বলেছেন আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা না করার বিধান কি দেশীয় আইনে আছে? তিনি আরও বলেছেন আবুল হোসেন "প্রত্যক্ষ" ভাবে দুর্নীতিতে জড়িত নয়,তার বিরুদ্ধে মামলা টিকবে না তার মানে দুদকের ভাষ্য অনুযায়ি আমাদের দেশের আইনে "পরোক্ষ" দুর্নীতি জায়েয!মামলা না টিকলে হোসেন সাহেবতো নির্দোষ তাহলে মামলায় সমস্যা কি?
তদন্ত হবে জল আরও ঘোলা হবে,বিচারও হয়তো হবে,শেষ পর্যন্ত অশ্বডিম্ব প্রসব হবে পদ্মা সেতু নয়।
হাসান- হোসেনরা অনেক আলোকবর্ষ দুরে থাকে।আইনের সাধ্য নেই সেখানে পৌছায়।