দিন দিন সাইবার অপরাধ বেড়েই চলেছে। এই নিয়ে লেখা লেখিও হচ্ছে, তবে ঘটিত অপরাধের সাথে তুলনামূলক বিচারে অত্যন্ত নগণ্য। আর তার চাইতেও ধীরগতিতে চলছে এর বিরুদ্ধে প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা।
বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের মধ্যে ইদানিং বেশী ঘটছে হুমকি প্রদান, মানহানিমূলক বার্তা-চিত্র-ভিডিও প্রদর্শন, ধর্মীয় সহ বিভিন্ন ইস্যুতে অরাজকতা সৃষ্টিতে উস্কানি প্রদান, ব্ল্যাকমেইলিং…ইত্যাদি ইত্যাদি।
অতি সম্প্রতি একটি ঘটনা শুনলাম এক পরিচিত বন্ধুর মাধ্যমে। সংক্ষেপে ঘটনাটি হচ্ছে,
স্বামী কার্যসূত্রে থাকেন দেশের বাইরে, আর স্ত্রী' থাকেন দেশে। স্বামীর অবর্তমানে স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে এক স্থানীয় পুরুষের। এক পর্যায়ে স্ত্রী'টি স্বামীকে চাপ প্রয়োগ শুরু করে তাকে তালাক দেয়ার জন্য। কিন্তু স্বামী জানায় দেশে এসে সে এই বিষয়ে কথা বলেবে। কিন্তু স্ত্রীর দাবী বিদেশে অবস্থান করা অবস্থায়ই সব সমাধা করতে হবে। এতে স্বামী রাজী না হওয়াতে, এক পর্যায়ে তার স্ত্রী এবং ঐ পুরুষটি মিলে ছদ্মনামে বিদেশে অবস্থানরত স্বামীকে ফেসবুকের মাধ্যমে হুমকি প্রদান শুরু করে। হুমকির বিষয় বস্তুর সারমর্ম হচ্ছে এই, ছেলেটি যেন দেশে আসার চেষ্টা না করে, আর যদি আসে তাহলে তাকে র্যাব দিয়ে হেনস্থা করা হবে।
এতে কাজ না হওয়াতে, এক পর্যায়ে ওরা দু'জন মিলে ছদ্মনামে হুমকি দেয় যে, দেশে অবস্থানরত তার বাবাকে র্যাব দিয়ে ধরে নিয়ে আসবে এবং তার বোনকে গণ ধর্ষণ করা হবে। ফেসবুকে এই মেসেজ পাওয়ার পর বিদেশে অবস্থানরত ছেলেটি তার বাবা'কে ঘটনাটি খুলে বলে এবং থানায় একটি জিডি করে রাখতে বলে।
এই ঘটনা শোনার পরপরই ছেলেটির বাবা হার্ট এটাক করে মারা যান, তার আর জিডি করা হয়ে ওঠে না।
এই মৃত্যুর কারণটি কি সাইবার অপরাধের আওতায় পড়ে?
আসুন আমরা আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনি, সাইবার অপরাধ রোধে এগিয়ে আসি।