শিরোনামহীন ব্লগ

শুভাশীষ চৌধুরী
Published : 26 July 2012, 02:42 PM
Updated : 26 July 2012, 02:42 PM

হুমায়ন মানুষটিকে আমি খুবই ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। শাওনকে বিয়ে করার কথা শুনে আমিও ব্যথিত হয়েছিলাম তার পরিবারবর্গের জন্য । কিছুদিন তার বই থেকে দুরেও থাকা হয়। কিন্তু সময় পরিক্রমায় সব ভুলে যাই। অভিমান দূরে সরে যায় এবং শাওনসহ নির্মিত চলচিত্র, নাটক ইত্যাদি দেখতে থাকি। এরমধ্যে হুমায়ুন এর অসুস্থতার আগ পর্যন্ত তার পূর্ববর্তী পরিবারের কথা তেমন লাইম লাইটে আসেনি। পাঠকসমাজ অতটা মাথাও ঘামায়নি এসব নিয়ে। কিন্তু লাশ হয়ে ফিরে আসা হুমায়ুন এর সন্তানদের দেখে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত দু:খ যেনো মনে তেতে উঠে। চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি তাদেরকে দেখেও। হুমায়ন আহমেদ এর বই পড়ে আমরা সবাই কমবেশী তার পরিবারের সাথে পরিচিত ছিলাম। তার পরিবারের মানুষও ছিলো নিজের আপনজন এর মতো । আজ যখন শুনতে পাচ্ছি যে, টাকার অভাব ছিলো চিকিত্সার সময় তখন মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। রাগে দু:খে ফেটে যেতে চায় মন । আমাদের প্রিয় লেখক মারা যাবে অবহেলায়, অর্থের অভাবে? একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। উনার পরিবারের মতো আমাদের মনেও দু:খ, ক্ষোভ বিরাজ করছে। কিভাবে ক্ষমা করবে শীলা-নূহাশরা? যে জীবদ্দশায় তাদেরকে দুই দুইবার মারলো । তবে উনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আমরা যত কম আলোচনা করবো ততই মঙ্গল। শাওন এর দোষত্রুটি যদি থাকে তাহলে অবশ্যই এর তদন্ত হওয়া উচিত। সবার আগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত দুই দেশের দুই এয়ারপোর্টে দাফন স্থান সম্পর্কে দুই রকম কথা কেনো বলল সে ? আর নূহাশ পল্লী কে আমরা কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চাই না।