যার বাবা-ভাই ৭১'এ শহীদ হয়েছে, যার মা-বোন ধর্ষিত হয়েছে; তারা বিশ্বাস করেনা, "ক্ষমাই মহত্বের লক্ষণ"।
দেশটা আমাদের, ঠিক আছে । কিন্তু যার বাবা এই দেশের জন্য শহীদ হয়েছে, দেশটা তার বাবার। যার মা এই দেশের জন্য ধর্ষিত হয়েছে, দেশটা তার মায়ের।
আমরা কি চাইলাম, তা কিছুই গুরুত্ব রাখেনা। সেই শহীদ পরিবারের সন্তানেরা চায় যুদ্ধাপরাধীর বিচার হোক।
তাদের কাছে এদের কোন ছাড় নেই, কোন ক্ষমা নেই।
এই প্রজন্মের যারা এখন বুক উচিয়ে দাবী করে বলে, ৭১ এ যদি থাকতাম-তবে দেশমাতৃকার জন্য যুদ্ধ করতাম, এই মায়ের ইজ্জতের জন্য জীবন দিতাম ।
এই প্রজন্মের জন্য এখন সবচেয়ে বড় মুক্তিযুদ্ধ হল, আমার দেশমাতৃকার সন্তানদের হত্যাকারীদের বিচার করা, নির্মূল করা ।
যদিও কাজটা এখন কঠিন। কেননা, ৭১ সালেও এত রাজাকার ছিল না, এখন নতুন প্রজন্মের শত শত তরুণ রাজাকার আদর্শে দীক্ষিত হয়ে স্বাধীনতার বিরোধীতা ও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ অবলম্বন করছে । এখন, আপনজন সেজে এই শত্রুরাই আমাদের মাঝে অবস্থান করছে। তাই, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আরো কিছু রক্ত দিতে হতে পারে এই প্রজন্মের সন্তানদের ।
দুশ্চিন্তার কিছু নেই। জয় আমাদের সুনিশ্চিত। কেননা, ৭১'এ ও প্রায় সারা পৃথিবী আমাদের বিরুদ্ধে ছিল, আমাদের বিজয় ছিনিয়ে নিতে পারেনি ।
জয় বাঙলা
যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই
জামাত-শিবির নিপাত যাক।