তার মৃত্যুতে পাহাড় হারিয়েছে সংস্কৃতির নিবেদিত প্রাণ আলোকবর্তিকা।
শত শত আহত মুক্তিযুদ্ধা, বীরাঙ্গনা আর শহীদ মুক্তিযুদ্ধার সন্তানেরা গত ৪১ বছর যাবত্ প্রতিটা রাত পার করেছে চোখের জল ফেলে ফেলে সেই কাঙ্খিত রাতটির জন্য ।
যে রাতে গোলাম অযম, নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী সহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর করা হবে, তার পরের দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে সমগ্র বাঙলাদেশের সকল স্বাধীনতাপ্রেমী মানুষ ফজরের নামাজ আদায় করে ধীর গতিতে খালি পায়ে একটা করে গোলাপ হাতে নিয়ে এগিয়ে যাবে ৩0 লাখ শহীদের স্মৃতির সমাধির পাণে ।
একজন একজন করে প্রতিটা বীরাঙ্গনার কষ্টের লোনা জল কপালে মেখে মেখে এরা ধন্য করবে নিজেদের ।
কত রক্তের বিনিময়ে এই অর্জিত স্বাধীনতা । কত প্রাণের বিনিময়ে এই ৫৬ হাজার বর্গমাইল জুড়ে বাঙলার লাল সবুজ পতাকা প্রতিদিন পত্ পত্ করে উড়ে যায় ।
কত মায়া এই স্বাধীনতায়…
কত প্রেম এই শুদ্ধতায় ।।