সাঈদীর আদি রসালাপ এক নারীর সাথে-১

শেখ মেহেদী মির্জা
Published : 11 Jan 2013, 07:15 AM
Updated : 11 Jan 2013, 07:15 AM

নারীকণ্ঠ : হ্যলো। স্লামুলাইকুম।
সাঈদী : ওয়ালাইকুম সালাম, খাওয়া দাওয়া হইছে।
নারীকণ্ঠ :না, খাই নাই।
সাঈদী : এখনো খাও নাও।
নারীকণ্ঠ : আপনি আসবেন বলছেন যে।
সাঈদী : ওহ, কি রান্না করছো।
নারীকণ্ঠ : হুম
সাঈদী : কি রান্না করছো।
নারীকণ্ঠ : লইট্টা ফিশ।
সাঈদী : কি
নারীকণ্ঠ : লইট্টা ফিশ।
সাঈদী : লইট্টা ফিশ, খুব ভালা।

নারীকণ্ঠ : দাদু।
সাঈদী : হুম, বলো।
নারীকণ্ঠ : কাজ শেষ করছেন।
সাঈদী : হুম করছি। তবে কেউ আসলে আমি হঠাত করেই বন্ধ করে দিব।
নারীকণ্ঠ : কেন?
সাঈদী : কেউ আসলে। এখন আমি একা আছি বলো।
নারীকণ্ঠ : তাই
সাঈদী : নামাজ পড়ছো এশা, এশা পড়ছো।
নারীকণ্ঠ : না পড়ি নাই।
সাঈদী : এরে আল্লাহ, এখনো এশার পড় নাই। কাপড় নষ্ট হয়ে যাবে তো।
নারীকণ্ঠ : হুম
সাঈদী : এখনো এশার পড়ো নাই তো, কাপড় নষ্ট হয়ে যাবে।
নারীকণ্ঠ : এতোক্ষন এশার নামাজ না পড়ে থাকে
সাঈদী : হ্যাঁ, তাই বলো।
নারীকণ্ঠ : এখানে যদি নামাজের সময় নামাজটা না পড়ি, এখন আর কোন কাজ হবে।
সাঈদী : তা তো ঠিকই।
নারীকণ্ঠ :হ্যালো
সাঈদী : হ্যালো।
নারীকণ্ঠ : দাদু
সাঈদী : শুনতাছি
নারীকণ্ঠ : শুনতাছেন।
সাঈদী : শুনতেছ তো
নারীকণ্ঠ : বারবার একই জবাব দিচ্ছেন। একেকবার একেক রকম দিতে পারেন না।
সাঈদী : সোনা পাখি,
নারীকণ্ঠ : জি
সাঈদী : ময়না টিয়া পাখি। কি করতাছো এখন।
নারীকণ্ঠ : কি করতাছি মানে, আজকে আমার নানুর বাসায় গেছি।
নারীকণ্ঠ : আমার নানুর বাসায় একটা পেপারে আপনার ছবি আছে।
সাঈদী : আচ্ছা।
নারীকণ্ঠ : ঐ ছবিটা আনতে গেছি।
সাঈদী : কি রকম ছবি ঐটা
নারীকণ্ঠ : আপনার হাফ ছবি।
সাঈদী : আচ্ছা, কবের কথা
নারীকণ্ঠ : ২০০৬, তারিখটা তো দেখি নাই। কালকে দেখে আনবে।
সাঈদী : এটা কি পত্রিকা।
নারীকণ্ঠ : তাও দেখি নাই। পেপারটা দেওয়ালে দিছে তো ঐখানে। ঐখান থেকে ছিড়ে নিয়ে আসছি।
নারীকণ্ঠ : দাদু।
সাঈদী : ময়না পাখি
নারীকণ্ঠ : জ্বি।
সাঈদী : সোনা পাখি, ডানা কাটা পরী।
নারীকণ্ঠ : আজকে আপনার ছবি পেয়ে গেছি। জি
সাঈদী : সোনার হরিণ
নারীকণ্ঠ : জি
সাঈদী : উড়ে আয়, উড়ে আসবি।
নারীকণ্ঠ : হুম
সাঈদী : উড়ে আয়
নারীকণ্ঠ : আপনি তো আমাকে…..যাচ্ছি না তো। ঐখানে ভাগাভাগিতো
সাঈদী : আলাদা রুমে নিয়ে নিব।
নারীকণ্ঠ : আলাদা রুমে তো নিবেন। তা আপনি যদি আমার কাছে আসেন, আরেকদিন আরেকজনের কাছে যেতে হবে।
সাঈদী : এখন কোথায় কি করতাছো তুমি।
নারীকণ্ঠ : আমি বাইরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আপনার সাথে কথা বলতাছি।
সাঈদী : ওহ, ঘরে টেবিল আছে না।
নারীকণ্ঠ : হ্যাঁ, আছে তো।
সাঈদী : ঘরের দরজা বন্ধ করে টেবিলের উপর শুয়ে পড়ো।
নারীকণ্ঠ : টেবিলের উপর কেন?
সাঈদী : টেবিলের উপর পা ঝুলায় দিয়ে তার পরে শুয়ে পড়ো। ………আরেক স্টাইল।
নারীকণ্ঠ : আরেক স্টাইল, তারপর আচ্ছা।
সাঈদী : টেবিলের উপর শুয়ে পা দুইটা ঝুলিয়ে রাইখা।
নারীকণ্ঠ : তারপর,
সাঈদী : তারপর, দুই পার মাঝখানো দাড়ানো।
নারীকণ্ঠ : দুই পায়ের মাঝখানে আপনি দাড়াবেন।
সাঈদী : দাড়িয়ে মেশিন চলবে।
নারীকণ্ঠ : মেশিন চলবে। হুম, ও তাই।
নারীকণ্ঠ : আপনি যে আমাকে বেশিক্ষন সময় দেন না।
সাঈদী : হাত দুটো থাকবে বুকের উপরে। আর পা দুটো ফাক করা থাকবে টেবিলের শোয়া।
নারীকণ্ঠ : আপনি দাড়িয়ে দাড়িয়ে
সাঈদী : হুম।
নারীকণ্ঠ : কোমর ওতো লম্বা, লম্বা হবে কোমর।
সাঈদী : হুম চলবে।
নারীকণ্ঠ : মনে হয় প্র্যাকটিক্যালি।
সাঈদী : হুম, আমি তো ছয় ফিট লম্বা।
নারীকণ্ঠ : তাই।
সাঈদী : হুম
নারীকণ্ঠ : আপনি যখন লম্ব আপনার জিনিসটাও লম্বা হবে।তাই না,
সাঈদী : ঐটা লম্বা আছে, সাড়ে সাত ইঞ্চি।
নারীকণ্ঠ : তাহলে তো কম না।
সাঈদী : আর মোটা আছে ওয়ান এন্ড হাফ।
নারীকণ্ঠ : তাই, ওহ এজন্য তো আমার দাদা বেশি সন্তুষ্ট করতে পারে।
সাঈদী : একটু পান খেয়ে নিই। আপনার সাথে পড়ে কথা বলি হ্যা।
নারীকণ্ঠ : কেন? পান খেতে চান?