ভোলা চরফ্যাশনে পুলিশ-দস্যু বন্দুকযুদ্ধ: ৬ দস্যু নিহত, আশঙ্কাজনক ৩

মো:শাহরিয়ার সাকিল
Published : 29 May 2012, 12:43 PM
Updated : 29 May 2012, 12:43 PM

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুর্গম ভাসান চরে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ও দস্যুদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।

এসময় পালাতে গিয়ে জনতার হাতে গণপিটুনিতে ৬ জল দস্যু নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

এছাড়া আরও ৩ দস্যুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, দস্যুদের কাছ থেকে ২ শর্টগান, ৭টি পাইপগান, ২০ রাউন্ড গুলি, ২৫টি বগি দা ও ট্রলার উদ্ধার করা হয়েছে।

এবিষয়ে দক্ষিণ আইচা পুলিশ ফাঁড়ির ইন-চার্জ মাহবুবুর রহমান জানান, ৩৫ জনের একটি জলদস্যু বাহিনী মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ভাসান চরে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল এ খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

বন্দুকযুদ্ধের সময় ৩ দস্যু পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া করে গণপিটুনি দেন। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ দস্যু নিহত হয়।

পরে বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয় জনতা আরও ২ দস্যুকে পিটিয়ে হত্যা করে। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
বিকেল সোয়া ৪টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, মৎস্যজীবী মো. মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে মোবাইল ফোনে জানান, দস্যু নিহত হওয়ার খবরে ঢালচরের জেলেরা আনন্দ-উল্লাস করছেন।

তিনি জেলেদের বরাত দিয়ে আরও জানান, পুলিশি অভিযানে প্রায় ২ হাজার জেলে তাদের সহায়তা করছেন। পুলিশি অভিযানে দস্যুরা আরো গভীর জঙ্গলে পালিয়ে গেছে।

এবিষয়ে চরফ্যাশন থানার ওসি মো. রিয়াজ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, বিপুল সংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এখনও অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, ২ মাস আগে মনপুরার ভাষানচরে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জাকির বাহিনীর প্রধান জাকিরসহ ১১ জন দস্যু নিহত হয়।

এছাড়া গত ৬ মাসে জাকির, বাবুল, নিজাম ও কালাম ডাকাতসহ মোট ১৯ জন দস্যু নিহত হয়েছেন। এসময় গণপিটুনিতে ৩ দস্যু নিহত এবং ৭ দস্যুর চোখ উপড়ে ফেলেন জনতা।