জামায়াত শিবিরের মাঝে দেশপ্রেমিক খোঁজার ব্যারাম

সবাক
Published : 2 Jan 2011, 09:47 AM
Updated : 2 Jan 2011, 09:47 AM

ছাত্রশিবিরের সাম্প্রদায়িক জংগীবাদিতা কিংবা জামায়াত ইসলামের ধর্মব্যবসাসহ হাবিজাবি বিষয়াদি নিয়ে কিছু বলতে গেলেই কিছু মানুষ শুরু করে কোমরের আড়মোড় ভাঙা। এপাশ ওপাশ করে আস্তে শুনিয়ে দিবে "তবুও দেখুন শিবিরের পোলাগুলো কি ভদ্র আর বিণয়ী" "জামায়াত হয়তো একাত্তরে ভুল করেছে, কিন্তু এখন এদেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে তাদের অবস্থানের কথা চিন্তা করেছেন! জামায়াত দেশে কত কর্ম সংস্থান সৃষ্টি করেছে!"

উদাস কানে নিথর চাহনিতে কথাগুলো গ্রহণ করতে হয়। চুপচাপ চিন্তা করি "এটা আসলে একটা ব্যারাম"! সাকা চৌধুরী গ্রেফতার হবার প্রচুর মানুষ ভলতেয়ার ভলতেয়ার বলে চিৎকার শুরু করেছে। শুরু হয়ে বাক স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা নিয়ে তর্জমা তাফসীর। সাকার শার্টে লেগে থাকা বৌয়ের লিপস্টিকের দাগ, মতান্তরে রক্তের দাগ দেখেই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের যত মানবতাবোধ গিয়ে সাকার গায়ের আশেপাশে ভিড় জমানো শুরু করেছে। বাঘা বাঘা সব পেটী বুদ্ধিজীবী লিখতে শুরু করেছেন আওয়ামী নির্যাতন নামা।

এমনিতে আওয়ামীলীগ অনেক ভালো। বিএনপি আর আওয়ামীলীগতো বন্ধুবান্ধবের মতো। ২৮ হাজার ২৮ হাজার বর্গমাইল করে দু দুল ভাগ করে নিয়েছে। আর বাদবাকি খুচরা অংশটা ম্যাংগো পাবলিকের। নব্বই স্বৈচারারের পতনের পর এ হিস্যা নিরবে জনগনও মেনে নিয়েছে। তাই দেশের পাবলিক একবার নৌকা নৌকা, আরেকবার শীষ শীষ বলে মিছিল করে। অনেক ডিসিপ্লিনড এ দেশের মানুষ।

কিন্তু যখনই যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে সরকার কিছুটা ব্যস্ত হতে শুরু করেছে, তখনই আওয়ামীলীগ খারাপ হয়েছে। সচরাচর একটি সরকারের তিনবছর শেষ হবার আগে বিরোধী ঘরানার বুদ্ধিজীবীরা কলম ধরে না। কিন্তু এবার তার উল্টোটা হয়েছে প্রথম ছয়মাস পর থেকেই শুরু হয়েছে লম্পজম্প। এখন আর আমজনতার বেইল নাই। আওমীলীগ চলতেছে ক্ষমতার বলে বিএনপি চলতেছে অতীতে লুট করা টাকার বলে।

সরকার বিরোধী বুদ্ধিজীবীরা সরকারের বিরোধীতা করতে গিয়ে এমনভাবে ন্যাংটা হচ্ছে, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে লজ্জা পাই "দেশবিরোধী এসব মানুষ এ দেশে বসবাস করার মতো মানসিক বল পায় কোথা থেকে!"

নাহ! এভাবে চলবে না। চলুন জামায়াত এবং জামায়াতবান্ধব গোষ্ঠী থেকে বের করে আনি দেশের শীর্ষ দেশপ্রেমিক, মহৎ,বিখ্যাত সব ব্যক্তিরা। যেকোন ভাবেই হোক, শিবির হবে দেশের সবচেয়ে আপন বালকের দল, জামায়াত হবে শ্বেত শুভ্র মুরুব্বীদের মিছিল, আর যুদ্ধাপরাধীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি হবে আমজনতার প্রতিনিধি এবং শফিক রেহমানের মতো বুদ্ধিজীবীরা হবেন একজন বস্তির রানী সুরিয়ার পাইক পেয়াদা, নেতা পাতিনেতার চোখের জল ফেলার পাইপলাইন।

জয় বাংলা, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।