অবশেষে ধরা পড়ল আবু সুফিয়ান!!!

সোহেল মাহমুদ
Published : 3 May 2012, 09:40 AM
Updated : 3 May 2012, 09:40 AM

ফিউচারনিউজ ফোরটোয়েন্টি ডটকম
আপন প্রতিবেদক
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কুখ্যাত সাংবাদিক এবং কারেন্ট অ্যাকশন টিমের(CAT) বিরুদ্ধে অপপ্রচারের মূল হোতা আবু সুফিয়ান অবশেষে ধরা পড়েছে। আজ দুপুর ১২ নাগাদ তাকে পূর্ব ঢাকার একটি দূর্গম গুহা থেকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সুত্র। আবু সুফিয়ানকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে মাফিয়া নাসির বাহিনী। এ অভিযানে নেতৃত্ব প্রদান করেন মাফিয়া বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ নাসির ইব্রাহিম।
দুপুর একটায় কারেন্ট অ্যাকশন টিম এবং বটতলা মাফিয়া বাহিনীর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিযানে বর্ননা দেন মাফিয়া বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ নাসির ইব্রাহিম। তিনি বলেন, "অনেকদিন ধরেই আবু সুফিয়ানের প্রতি আমাদের সতর্ক দৃষ্টি ছিল।"
আজ সকালে এক গোপন সংবাদে জানা যায় সুফিয়ান পূর্ব ঢাকার এক দূর্গম গুহায় আত্মগোপন করে আছেন। এ সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রেফতারের পর সুফিয়ানকে তাৎক্ষনিকভাবে মহাখালীর একটি সুরক্ষিত ভবনে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে অপ্রচলিত পদ্ধতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।


প্রথমে আবু সুফিয়ানকে মানসিকভাবে তরতাজা রাখতে কিছু ফুল দেওয়া হয়। এতে তিনি উলটো হতাশ হয়ে পড়ায় তাৎক্ষনিক তাকে বার্থডে ট্রিটমেন্টে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। এ পর্যায়ে CAT এর সাইকোলজি বিভাগে দক্ষ একটি টিম তাকে একটি কেক ও মরচে পড়া ছুরি প্রদান করে। ধারনা করা হচ্ছিল, এই ছুরি প্রদানে তার আক্রমণাত্মক চিত্রটি ফুটে উঠবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ টিমের ধারনাকে সম্পুর্ন উলটে দিয়ে সুফিয়ান হাসিমুখে কেক কাটেন। CAT এর সাইকোলজি টিমটি কিছুটা বিভ্রান্ত হলেও তা সামলে নিয়ে তারা এরপর কিছু বেলুন ঝুলিয়ে এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে আলো-আধারী পরিবেশ তৈরী করেন। কিন্তু এ পর্যায়েও আবু সুফিয়ান তার কর্মকান্ড চালিয়ে যান এবং হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে থাকেন।
এ অবস্থায় কারেন্ট অ্যাকশন টিম তাকে আরো জোরালো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উত্তেজক কথাবার্তা বলতে থাকেন। জোরালো এ জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মুখ খোলেন আবু সুফিয়ান। তিনি হালকা স্বরে ক্রমাগত 'পপস' বলে আবৃত্তির ঢঙ্গে মাথা দোলাতে শুরু করেন।
CAT ধারনা করছে, পপস সুফিয়ানের কোন অঙ্গসংগঠন হয়ে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে তৃনমূল পর্যায়ে তদন্তের ভার প্রদান করা হয় অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকান্ডকর্তা আরিফ খায়ের সাঈদকে। পেট থেকে জিলাপীর প্যাচ খোলার দ্বায়িত্বে আছেন সুলতানা আইরিন এম কিউ চৌধুরানী। পাশাপাশি মানসিক পর্যবেক্ষনের দায়ভার নিয়েছেন এ কে জাহেদ রেহমান। তাকে সহায়তা করছেন মঞ্জুর অ্যাসরিক মোর্শেদ। ইন্টারোগেশান সমন্বয় করে চলেছেন শের এ কৌশিক।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, পপস একটি আন্ডারগ্রাউন্ড সংস্থা- যারা কিনা প্রতিযোগীতার মাধ্যমে বুদ্ধির তথা জিলাপীর প্যাচ নামক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সারা বিশ্ব থেকে এজেন্টদের মনোনয়োন দিয়ে থাকে।
তবে এই জিলাপী কি চিনির না গুড়ের তা প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে রাজি হননি CAT এর প্রেস উইঙ্গের কর্মকর্তা মাহবুব এ এলাহী। তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে তিনি কিছু বলতে রাজি নন বলে জানিয়েছেন।
"যারা ডিটার্জেন্ট পাউডারের মাধ্যমে আইন শৃংখলা বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে ধুলোবালিতে মৎস শিকারের পায়তারা করছে তাদের অবিলম্বে ক্যাচ করা হবে", যোগ করেন CAT এর প্রচার, প্রসার ও মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা এম যোয়াইল।