বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজওয়ান আব্দুল্লাহ
Published : 1 July 2016, 05:21 PM
Updated : 1 July 2016, 05:21 PM

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। কেননা, তিনিই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে 'বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তারেক রহমান এ কথা বলেন।

১৯৭১ সালের ৮ মার্চের দৈনিক ইত্তেফাক-এর সংবাদ শিরোনাম উদ্ধৃত করে তারেক রহমান বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে ছয় দফা বাস্তবায়নের জন্য হরতাল আহ্বানের ঘোষণা ছিল না। সেদিন শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি।

তারেক রহমান বলেন, ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছিল এপ্রিলে।

একথাটি এবার সত্যতা দিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রসপেক্টাসে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঐতিহ্যবাহি উচ্চ শিক্ষার এ প্রতিষ্ঠানের ৯৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রকাশিত স্মরণিকার এ তথ্য স্থান পেয়েছে। প্রসপেক্টাসটির ১৯ নম্বর পৃষ্ঠায় 'স্মৃতি অম্লান' শিরোনামে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর বর্ণনা দিতে গিয়ে জিয়াউর রহমান হলের পরিচয় দেওয়া হয় বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। পরিচিতিমূলক লেখাটি লেখেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান।

সেই সঙ্গে এর ১৩ নম্বর পৃষ্ঠায় জগন্নাথ হলের বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু তথা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সম্প্রদায় এবং উপজাতি ছাত্রদের জন্য এই হল প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের ইতিহাস বাংলাদেশের রাজনীতির মতই পরিবর্তনশীল। আসলে কোনটা সঠিক তানিয়ে আমরা সাধারন মানুষ বিভ্রান্ত। এসবের মূল কারন যারা রাজনীতি করেন তারা যার যেটা প্রাপ্য তাকে সেটা দিতে চান না। যেমন কেউ শেখ মজিবর রহমানের অবদানকে খাটো করে দেখে কেউ বা জিয়াউর রহমানের অবদান কে খাটো করে দেখে। যার জন্য আসল সত্য বের হয়ে আসে না । আমাদের দেশের মিডিয়াগুলোও রাজনীতির উপর অত্যাধিক নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় তারাও সত্য প্রকাশ করেনা। তারা সবসময় তাবেদারিই করে।

বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে বিতর্কের অবসান হওয়া উচিত। এর আগেও বিতর্ক হয়েছে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে। যার পক্ষে ও বিপক্ষে মত আছে। পৃথিবীর আর কোন দেশ তাদের ইতিহাস নিয়ে বির্তক জিইয়ে রাখে কি না আমার যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র কটাক্ষ করলেও আমরা চুপ করে থাকি। এসব আসলে রাজনৈতিক ভাবে দৈন্যতার লক্ষন। মনেহয় আমাদের রাজনীতিবিদরা এসব বিষয় এনজয় করেন।

দেশের রাজনীতিবিদদের কাছে অনুরোধ নিজের দলের স্বার্থ বাদ দিয়ে দেশের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানার সুযোগ করে দিন। ক্ষনে ক্ষনে আপনারা ইতিহাস পরিবর্তন করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করবেন না।