ছন্নছাড়ার অদ্ভুত পাতা-২

সকাল রয়
Published : 16 June 2015, 06:36 PM
Updated : 16 June 2015, 06:36 PM

২০১৪ তে বিশেষ কিছু লিখিনি অন্তত ছাপা হরফে প্রকাশ হবার মতো তো নয়ই। ২০১৫ বইমেলাতে "মুক্তগদ্য" ছাড়া আর কোথাও নেই আমি। না থাকার অন্যতম একটা কারণ হলো বিষণ্নতা। দেয়ালে সেঁটে গেছিল আমার সব ইচ্ছে গুলো, যেন কেউ পেরেক দিয়ে গেঁথে দিয়েছিল।

সন্ধ্যেয় স্থানীয় কবি লোকান্ত শাওন পরপর তিনবার আমার "বনসাই প্রেম" লেখাটি শুনলেন তিনি বিস্ময় একে দিলেন আমার চোখে, মুখে তিনি বললেন এরপরও তবে কেন আমি আড়ালেই থাকি। আমি আড়ালেই থাকতে চাই, কেননা এমন লেখা সাম্প্রতিক সময়ে হাজার হাজার রচিত হচ্ছে আর সেখানে আমি কোন ছাড়…

সৃষ্টিতেই আনন্দ আমার! এর'চে বেশি কিছু ভাবতে পারিনা আর চাইও না। দিনকে দিন লেখাগুলো বেহায়া হয়ে যাচ্ছে আমার পকেট ক্যামেরার মতো যেখানেই জিপার খুলি সেখানেই প্রকৃতি!

একটা অভ্যেস আছে কারো উপর কখনো অভিমান হলে তার উপর সেটা প্রয়োগ না করে নিজের উপর করা। নিজের যৎসামান্য সৃষ্টি গুলোকে পুড়িয়ে দেই তাতে সাময়িক শান্তি পাই আর দীর্ঘস্থায়ী অবসান হয় শব্দ যন্ত্রনা থেকে। ছিঃ ছিঃ করবার মতো লোকের সংখ্যা বাড়াতে চাইনা। একজন বললো কটা লোক পড়ে আপনার কবিতা? আমি বললাম কেন পড়বে? পড়ার মতো হলেই না হয় পড়বে! আমি নিশ্চয়ই কারো চোখে শব্দ যন্ত্রনা চাপিয়ে দিতে পারিনা।

শুনেছি নদী ও নারী দুজন দুজনার সতীন। আমার তো কোনটাই নেই, না নারী। না সতীন। তারপরও অভিমান। ছন্নছাড়ার অদ্ভুত পাতা যদি কেউ পড়ে কিংবা পড়তে থাকে তাহলে খানিকটা বিরক্ত সে হবেই কেননা এতে কিছু নেই কিছু ছিন্ন ঘটনার কথকতা ছাড়া। এক সাক্ষাতকারের কবি বলছেন তরুনরা কবিতার নামে যা লিখছে তা ছিন্ন ভাবনা আর আবেগের সমষ্টি। ছোট গল্পে চলছে দুর্দিন!
কতিপয় ব্যক্তিবর্গ একদিন কবি হয়ে গেলে পড়ে শুধু দাপাদাপি আর কিলিকবাজী করার অপেক্ষা গুলোকে বোতাম বানিয়ে কিংবা চশমার ফ্রেমের কাঁচ বানিয়ে ঘুড়ে। তবুও ভাবতে ভালো লাগে কবিরা কিছু বলছে।