এই প্রশ্নগুলোর উত্তর অনেকদিন যাবৎ খুজতাছিলাম ,অবশেষে ব্লগার সন্ন্যাসী পাঠক এর সৌজন্যে উত্তর খুইজা পেলুম।
প্রশ্নগুলো ছিল এরকমঃ
(১) ইসলামের বড় পন্ডিত হিসেবে স্বঘোষিত দাবিদার গোলাম আজম ৭১ এ ইসলামে ঘৃন্যত নাজায়েজ কর্ম নারী ধর্ষনের মূল হোতা রাজাকার বাহিনীরে নেতৃত্ব দিয়েছিল কেন?
(২) গোলাম আজম কেন ৭১ সালে শান্তি বাহিনী গঠন গঠন করেছিল?
(৩) ৭১ সালে কেন পূর্ববাংলার মেয়েদের ধর্ষনে পাকসেনাদের সাহায্য করেছিল স্বঘোষিত ঈমানদার দাবিদার শান্তি কমিটি ও ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা?
এইবার সবচেয়ে দামি প্রশ্নখানঃ
(৪) এত বড় ইসলামী পন্ডিত গোলাম আযম পাকি ও রাজাকার বাহিনীর নারী ধর্ষনের সময় ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী ৭১ সালে পাকি ও রাজাকার বাহিনীর প্রতি ঘৃণা,প্রতিবাদ ,প্রতিরোধ না করে এদেরকে সাপোর্ট ও নেতৃত্ব দিয়েছিল কেন?
উত্তর ঃ এ প্রসঙ্গে মাওলানা আবু আলা মওদুদীর বানী উল্লেখ করার মত। মাওলানা অধ্যাপক গোলাম আযম তার শিষ্য তো। আর শিষ্যরা গুরুকে অনুসরন করবে এটাই সত্য। তারা তখন ফতো দিয়েছিলেন দেশে যুদ্ধ চলছে আর নারীরা গনীমতের মাল।
যুদ্ধবন্দী মহিলাদের ব্যাপারে মওদুদীর মতামত দেখুন:
"এমনকি বর্তমান যুগেও যুদ্ধবন্দী মহিলাদের সৈনিকদের মধে বন্টন করে দেয়া উচিৎ এবং সৈন্যদেরকে তাদের (মহিলাদের) ভোগ করার অনুমতি দেয়া উচিৎ।"
-তাহফীমুল কুরআন, পঞ্চম খন্ড, পৃষ্ঠা: ৫৭১
অথচ পবিত্র কুরআনে এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া আছে। আল্লাহ বলেন:
"অবশেষে যখন তাদেরকে (কাফিরদের) পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও (এবং মুক্তি দাও) ।"
– সূরা মুহাম্মদ, আয়াত ৪