ইবোলাঃ আমাদের বাঁচতে ও বাঁচাতে হবে

সুকান্ত কুমার সাহা
Published : 14 Oct 2014, 11:41 AM
Updated : 14 Oct 2014, 11:41 AM

এতদিনে এতটুকু বুঝেছি যে, ইবোলা যদি বাংলাদেশে একবার ঢোকে- তাহলে মহামারি নিশ্চিত! কারণ এর নেচার বা বিস্তার করার যে ভয়াবহ শক্তি তা এক নিমিষেই জন থেকে জনে ছড়িয়ে পড়বে! আমাদের জন ঘনবসতি একে আরও নাগালের বাইরে নিয়ে যাবে।

সবাইকে মনে রাখতে হবে যে, একজন আক্রান্ত মানুষ কিন্তু ২১ দিন পর্যন্ত বুঝতে পারবে না যে তার এই রোগ হয়েছে। ততদিন সে যাদের সাথে মিশেছে তাদের সবাই এর ঝুঁকিতে এবং তাদের মধ্যে যাদের সাথে তার শরীরের এক বিন্দু ঘাম বা তরল লেগেছে সেই এর দ্বারা আক্রান্ত হবে। কেউ হাতে হাত বা কোলাকুলি বা সিগারেট ভাগ করে খেলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা শতভাগ। আর যদি এর রোগে আক্রান্ত কেউ আমাদের লোকাল বাসে ওঠে তাহলে তো কথাই নেই একজন থেকে শতজনে ছড়াবে।

এই রোগ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে দেশ থেকে দেশে এবং ইতি মধ্যে চার হাজারের অধিক মানুষ মারা গেছে সরকারি বা বহুজাতিক হিসেবে, বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশী হবে!

এই বিষয়টাকে মাথায় রেখে আমি মনে করি, আমাদের এখনি এই বিষয়ে সতর্ক হবে হবে এবং ইবোলা আক্রান্ত দেশ বা এলাকা থেকে যেই দেশে ফিরুক তাকে বিমানে এবং এয়ারপোর্ট প্যাসেজে আলাদা ভাবে চলাচল করতে দেওয়া হোক এবং বিমানের যে সীটে সে বসবে বা যে বাথরুম সে ব্যবহার করবে তা অন্য কেউ ব্যবহার করার আগে কীটনাশক বা জারম ফ্রি করা হোক এবং সব শেষে সেই যাত্রীকে ২১ দিন বিশেষ ব্যবস্থায় আলাদা করে রাখা হোক।

ইবোলা থেকে বাঁচার বা তাকে বাংলাদেশে ঢোকা থেকে রোখার আর কোন বিকল্প নেই বলে মনে করি।

আপডেট ১৪/১০/২০১৪ বিকাল ৫.০৪

ইবোলা আক্রান্ত মানুষের মধ্যে মৃত্যুর হার ৭০ ভাগ। অতএব সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পেলে ৩০ ভাগ মানুষ বেঁচে যেতে পারে। তাই প্রয়োজন অতিদ্রুত আক্রান্ত মানুষকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা। এর জন্য অবশ্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন বিশেষায়িত হাসপাতালও প্রয়োজন, সাথে প্রয়োজন প্রয়োজনীয় ট্রেনিং প্রাপ্ত ডাক্তার, নার্স ও ল্যাব কর্মী। আশাকরি সরকার এর ব্যবস্থা করার চিন্তাভাবনা আগে থেকেই শুরু করবে। বিষম খাওয়ার অপেক্ষায় থাকবে না!

আবার জনগণকে, ইবোলা হয়েছে বা হবে এই চিন্তায় প্যানিক না হয়ে; যুক্তিসংগত আচরণ ও সতর্ক থাকতে হবে।

আপডেট ১৫/১০/২০১৪

ইবোলা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সামনের দিন গুলোতে এই রোগে প্রতি সপ্তাহে ১০ হাজার পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারে। যার মধ্যে ৭০ ভাগ মানুষই মারা যাবে- এটা ধরে নেওয়াই যায়। যা হবে ভয়ংকর ও দুঃখজনক ঘটনা।

আজ পর্যন্ত মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,৪৪৭ জন, সরকারি হিসেবে।

আপডেট ১৫/১০/২০১৪

ইবোলা ভাইরাস কি বিশ্ব সভ্যতাকে পিছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে? এই প্রশ্ন আমার নয়, এই আশংকা করেছেন জাতিসংঘের ইবোলা মিশন প্রধানের। তিনি আরও বলেছেন, এটা আমাদের চেয়েও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং জিতে যাচ্ছে।

ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওন, গিনি, নাইজেরিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং তা এখন আরও দ্রুত ছড়াচ্ছে। গত কয়দিনে এই ভাইরাস যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ফ্রান্স ও নরওয়েতেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই এইসব উন্নত দেশেও রুগীর দেহ থেকে নার্সদের শরীরেও তা ছড়িয়ে পড়ছে, কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না!

ভাবছি, আমাদের দেশে এটা আসলে কি হবে?

১৫/১০/২০১৪, ১.৪৫ বিকাল

কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট সর্বজন শ্রদ্ধেয় জনাব ফিডেল কাস্ত্রো যুক্তরাস্ত্রকে 'বিশ্বশান্তি' রক্ষায় ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধ কল্পে সহযোগীর প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, কিউবার চিকিৎসকগন বিশ্বের যেকোন জায়গায় বিশ্বশান্তির জন্য সেবা দিতে প্রস্তুত; যদিও তাদের জীবনও এতে ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।

কিউবা ইতিমধ্যেই ১৬৫ ডাক্তার ও নার্স সিয়েরা লিওয়নে পাঠিয়েছে এবং আরও ২৯৬ জন লাইয়াবেরিয়া ও গিনিতে প্রেরণের প্রক্রিয়াধীন রেখেছে।

ইবোলা কতটুকু ভয়ংকর তা জানতে লিংকটা পড়ুন!

আপডেট ১৯/১০/২০১৪ ২.২৮ বিকাল

বিদেশ থেকে বাংলাদেশ আগত ব্যক্তিদের মধ্যে ইবোলা ভাইরাস চিহ্নিত করতে দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও সীমান্ত এলাকায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

আজ সোমবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।

আপডেট ২০/১০/২০১৪ ১২.৩৫ দুপুর

আজকের আপডেট হবে সুখবর দিয়ে-

১) WHO নাইজেরিয়াকে 'ইবোলা ভাইরাস মুক্ত' বলে ঘোষণা করেছে।
২) স্পেনের নার্স ভাল হয়ে উঠছেন।

২১/১০২০১৪ রাত ১২.১৬

সন্দেহটা অনেক আগে থেকেই ছিল আফ্রিকার কালো মানুষদের মধ্যে, যে 'ইবোলা' তাদের ধ্বংস করার জন্য সাদা মানুষদের একটা চাল অর্থাৎ এই রোগ তাদের মেরে ফেলার জন্য ছড়ানো হয়েছে। এছাড়াও আরও একটা ধারনা তাদের ছিল, আর সেটা হল তারা যেন আর বন্য প্রাণী না খায় তাই এই রোগের গুজব ছড়ানো হয়েছে। সে জন্যই রাস্তা ঘাটে লাগানো হয়েছে, "Ebola is Real' লেখা সাইন বোর্ড।
অবশেষে একটা নিউজ সোর্স পেলাম যা বলছে, এই ইবোলা ভাইরাস দিয়ে অস্ত্র তৈরি করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ডঃ ব্যাসন নামক এক নাম করা জীব বিজ্ঞানীর তত্বাবধানে।
— সত্য মিথ্যা আমি জানি না। জাস্ট শেয়ার করলাম। বিস্তারিত আছে লিংকে

এদিকে শুনছি কানাডার বিজ্ঞানীরা এর ভ্যাকসিন প্রায় আবিষ্কার করে ফেলেছে যার পরীক্ষা মূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে।

আবার স্পেনের ইবোলায় আক্রান্ত নার্স, এই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়া একজন মানুষের রক্তের উপজাত নিয়ে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। তাকে ইবোলা ফ্রি ঘোষণা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। যাক এটা সুখবর!

আপডেট ২১/১০/২০১৪ রাত ১০.৩০