সোনাপুরের লুবা নদী

সুকান্ত কুমার সাহা
Published : 17 Jan 2015, 06:02 PM
Updated : 17 Jan 2015, 06:02 PM

লুবা নদীর জলের রঙ দেখলে যে কেউই থমকে যাবে; ভাববে রঙটা নিশ্চয়ই আর্টিফিশিয়াল বা কোন ফ্যাক্টরির ফেলে দেওয়া বর্জ্যের দূষণে হয়েছে। যেমনটা হয়েছে আমাদের বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদীর জল। যদিও এদের জলের রঙ কালো ও দুর্গন্ধময় এবং তা লুবা নদীর জলের সাথে কোন তুলনাই চলে না।

আসলে বিষয়টা তা না; প্রতিবার শীতের মৌসুমেই এই নদীর জলের রঙ ন্যাচারালী নীলাভ-সবুজ হয় যার মূল কারণ আমি মনে করি; কোন খনিজ পদার্থ বা শেওলা। বর্ষায় যখন নদীটা জলে টইটম্বুর হয়ে যায় তখন এর রঙ থাকে স্বাভাবিক আর দশটা নদীর মতই।
এই নদীটাকে আমি আগেও দেখেছি কিন্তু তখন বাস থেকে নামতে পারিনি। এবার যখন সাথে জীপ আছে তাই সুযোগটা নিলাম। নেমে টপাটপ কয়টা ছবি তুললাম। নীচে নেমে জল পরীক্ষা করার ইচ্ছা ছিল কিন্তু নিজাম ভাইয়ের বাঁধায় তা সম্ভব হলো না। অগত্যা ছবিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো।

সড়কপথে আসাম থেকে মেঘালয়ের দিকে যেতে সোনাপুরে নদীটা স্পষ্ট দেখা যাবে; আবার ঠিক উল্টো পথেও থাকবে।

এই ব্লগে এটা নিয়ে পোষ্ট ছিল। এবার ছবি ব্লগে শেয়ার দিলাম।

তবে এটা বলে রাখি, শীতের দিনে সোনাপুরের লুবা নদী; না দেখলে মিস!

ঘটনা – জানুয়ারি ২০১৩ সালের। আপডেট: ১৭/০১/২০১৫ রাত:১০.৫০