কিছুদিন আগে বিএনপি বলেছিল, চীনের প্রেসিডেন্ট তাদের ইশারা দিয়ে গেছেন! বাস্তবিক অর্থে সেই ইশারা আসলে কি ছিল তা আমাদের মত আমজনতার জানার কথা নয়! কেউ আমাদের উপযাজক হয়ে সেই ইশারার অর্থ জানাবে, এই বঙ্গদেশে তা আশাও করি না। তবে যেহেতু আমাদের কিউরিসিটির মাত্রা ব্যাপক তাই আমরা নানা কথা-কুকথা ধারণা করতে পারি। তয় বুকে হাত দেওয়ার ইশারা পর্যন্ত আর যাচ্ছি না! কারণ দরকারী সময়ে ব্লাউজের বোতাম খোলার ঝক্কি অনেক! তাছাড়া আইনও সবসময় তা পারমিট করে না!
ধুর! রাজনীতির ঘোড়েল প্যাঁচালের মধ্যে ঢোকার আশা নিয়ে আমি এই লেখা লিখতে বসিনি। বসেছি ইশারার নানা-রকমের ব্যবহার নিয়ে।
এই যেমন- আমরা যারা কর্পোরেট লাইনে কাজ করি, তারা প্রতিনিয়ত নানারকমের ইশারা পেয়ে থাকি। যার বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই থাকে প্রোমোশন, ডিমোশন আর চাকুরিচ্যুতির আশা-আশংকা।
আবার যারা প্রেম করে, তারা কিন্তু ইশারার সর্বোত্তম ব্যবহার করে থাকে। অতীতে দেখা গেছে- নিজ নিজ আড্ডায় ব্যস্ত থেকেও সবার অগোচরে প্রেমিক-প্রেমিকারা নিজেদের মধ্যে ইশারাতেই ডেট ফিক্সাপ থেকে শুরু করে ভাল-লাগা মন্দ-লাগার তথ্য আদান প্রদান করছে।
এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী'র মধ্যকার গোপন ইশারাগুলো আপাতত গোপনই থাক! তবে গ্রামবাংলায় একটা কথা প্রচলিত আছে, "গায়ে-বাছুরে মিল থাকলে তারা খেতের আইলে যেয়েও দুধ দেয়"! যা মূলত ঘটে ইশারাতেই!
গরু-বাছুরের দুধ খাওয়া-খাওয়ী নিয়েও আমার আসলে কোন আগ্রহ নেই। লেখার ইচ্ছা তো নাইই।
তবে কেন লিখছি?
ওহ! মনে পড়ছে! আমি আসলে সিটিসেলের ইশারা নিয়ে লিখতে বসেছিলাম!
আচ্ছা! আপনারা কী জানেন সিটিসেল আমাদের একটা ইশারা দিয়ে গেছে? ধরতে পেরেছেন কী সেই ইশারা? যদি ধরতে না পারেন তাহলে মনে করতে পারেন, এই সিটিসেল একদিন এক লক্ষ টাকায় একটা মোবাইল সেট বিক্রি করে প্রতিমিনিটে চৌদ্দ টাকা করে ফোনকলের বিল নিয়েছিল। পাশাপাশি ক্ষমতার সাহায্য নিয়ে এদেশে একচেটেয়া ব্যবসা করেছিল টানা পাঁচ বছর! আজ সে দেনার দায়ে বন্ধ!
একেই বলেই- "ক্ষমতার বড়াই আর তার পরিণতির ইশারা"!
বুঝলেন কিনা?
২৫/১০/২০১৬