মাসখানেক আগে, আওয়ামী লীগের অগস্থ্যযাত্রা নিয়ে একটা লেখা অর্ধেক লিখেও শেষ করিনি, দুটো কারণে-
১)আমরা যে আওয়ামী লীগকে চিনি বা জানি, এই দল সেটা না!
২) শত্রু খুঁজতে থাকা- এই দলটি যে কাউকে শত্রু ভেবে তার উপর চড়াও হতে পারে।
প্রথম কারণটির বিষয়ে- আমার তেমন কোন ভাবাবেগ নেই। কারণ আমি ধরেই নিয়েছি, এই দলটি অগস্ত্যযাত্রায় আছে এবং একে সেই যাত্রাপথ থেকে ফেরানো আর সম্ভব না। এরও কারণ আছে দুটো-
ক) এই দলটি নিজেই চায় না যে, সেই উপযাজক হয়ে এইপথ থেকে ফিরে আসুক।
খ) এই দলের যারা মাথা, তাদের মধ্যখানে থাকা শক্তিশালী একটা গ্রুপ চাচ্ছে- এই দলকে তারা এইপথে রাখবেই।
এই 'ক' আর 'খ' কারণ দুটোর মধ্যে আবার আমার 'ক' এর প্রতি কোন আগ্রহ নেই। এক্ষেত্রে আমার মোটিবেশন হচ্ছে, "আরে, দলটি অগস্ত্যযাত্রায় যাচ্ছে; যাক না!" কিন্তু 'খ' কারণটিতে আমার কিছু আগ্রহ আছেই। এই আগ্রহের মধ্যে লুকিয়ে আছে আমার সেই কিউরিয়াস মন, যে কিনা বঙ্গবন্ধু আর মোশতাককে না দেখতে না পাবার শোক ও ক্ষোভ, হাল আমলের রেপ্লিকাগুলো দেখে জানতে ও বুঝতে চাচ্ছে।
এই পোস্টে আমি ডিটেইলসে যাবো না। তবে সেই পোস্টটা না লেখার দ্বিতীয় কারণে বলবো- আমি মূলত ভয়ে সেটা লিখিনি। বলতে পারেন, আমি নিজে থেকেই সেলফ সেন্সরড হয়েছি।
কেন হয়েছি, তারও কিছু নমুনা হিসেবে দুটো নাম লিখে দিচ্ছি-
ক) প্রবীর শিকদার।
খ) শ্যামল কান্তি ভক্ত।
এই দুই নামের বিষয়েও আমি ডিটেইলস যাবো না; কারণ আমি সেলফ সেন্সরড। এবং আপনাদের সুবিধার্থে কোন খবরের লিঙ্কও দেবো না, যাতে করে আপনারাও বেশি জেনে ফেলেন। সেক্ষেত্রে সারাক্ষণ শত্রু খুঁজতে থাকা মানুষের খপ্পরের আপনিও পড়ে যেতে পারেন?
এটা নিশ্চয়ই জানেন, যারা শত্রু খুঁজে ফেরে- তারা একসময় আর কোন শত্রু খুঁজে না পেয়ে নিজের ছায়াকে শত্রু ভেবে বসে!
এবং তখনই তাদের অগস্থ্যযাত্রার সমাপ্তি ঘটে >>>
২৪/০৫/২০১৭