যে প্রশ্নের উত্তর জানা নেই

সুকান্ত কুমার সাহা
Published : 25 June 2017, 02:52 AM
Updated : 25 June 2017, 02:52 AM

আমি মাঝে মাঝে অবাক হয়ে খেয়াল করি- কিছু মানুষের সবরকম যোগ্যতা থাকা সত্যেও তারা নির্মম দুর্ভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে আসে। অপরদিকে, কিছু মানুষ আছে যাদের কোন যোগ্যতাই নেই তারপরেও তারা নিয়ে আসে চরমতম সৌভাগ্য। না চাইতেই সবকিছু তারা পেয়ে যায়। এটা কেন ঘটে? একেই কী বলে ভাগ্য?

আমি একজনকে সেই ছোটবেলা থেকে চিনি যে সেই ছোট বয়স থেকে আজ পর্যন্ত আত্মীয়, বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে চলছে। তার জীবনের প্রতিটা বাঁকবদল ঘটেছে আত্নীয়-বন্ধুদের উপযাজক সাহ্যয্যে, অথচ সে নিজ থেকে ঘুম থেকে কোনদিন দুপুর ১২টার আগেও ওঠেনি। এমন অলস সে। কোন বড়লোক বাবার সন্তান না হয়েও সে তার শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে, নিজের পরীক্ষায় এক্সফেল হয়ে নামবদল, রাজনীতি, প্রেম, বিয়ে, টেণ্ডারসহ সবকিছুতে আছে আত্মীয়-বন্ধুদের সরাসরি সহযোগিতা ও সমর্থন। আবার সে তার সাহায্যকারী সবার সাথে চোখের পলকেই বেইমানী করতে পারে। আমি নিজে তার বাসা ভাড়ার টাকা দিয়েছি, দিয়েছি শিশু সন্তানের দুধ কেনার টাকাও। অথচ আমার দেওয়া হাওলাতি টাকাটাও মেরে দিয়েছে। এখন শুনি সে কয়েক কোটি টাকার মালিক। গাড়ী, বাড়ী, ফ্লাট, ব্যবসা নিয়ে সে এক হুলস্থুল অবস্থা এবং সেটাও শশুড়ের বদৌলতে। আর ডিটেলসে গেলাম না।

আবার এমনও দেখেছি, যার শিশুকাল থেকে শুরু করে, শিক্ষা হয়ে কর্মজীবনটাও বাবা নিজ হাতে গড়ে দিচ্ছেন। আমি এমন পরিবারের কথা জানি, যারা সপরিবারের সকালে গাড়ী নিয়ে একটা বহুজাতিক ব্যাংকে চাকুরী করতে আসে, আবার অফিস শেষে একসাথে বাসায় ফিরে যায়। বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে, মেয়ের জামাই একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে।

এগুলোকে কী ভাগ্য বলবো, না যোগ্যতা বলবো। এক পরিবারে এত যোগ্যতাধারীরা থাকে কিভাবে? নাকি বলবো এরাই সেই ভাগ্যবান যাদের ন্যাচার সর্বদা সাহায্য করে থাকে! তাহলে গরীব মানুষগুলো যাদের তেমন কোন রেফারেন্স নেই, তারা ন্যাচারের কী ক্ষতি করেছিল? যাতে করে তাদের ভাগ্য বদলে গেছে?

এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই? আপনার আছে কী?

২৪/০৬/২০১৭