নিউটাউন, মেঘনাঘাটের বেহাল রাস্তা

সুকান্ত কুমার সাহা
Published : 5 July 2017, 10:49 AM
Updated : 5 July 2017, 10:49 AM

নারায়ণগঞ্জ জেলার আওতাধীন নিউটাউন, মেঘনাঘাট অঞ্চলে গড়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় শিল্পগোষ্ঠীগুলোর ভারী শিল্পগুলো। যেখানে উৎপন্ন হয়- কাগজ, সিমেন্ট, সয়াবিন তৈল, মসল্লা, আটা-ময়দা, চিনি, মিনারেল ওয়াটারসহ নিত্যপন্য দ্রব্যগুলো। যেগুলোর যোগান একদিন বন্ধ থাকলেই দেশে সেই পণ্যের দামে তার প্রভাব পড়ে। অথচ এই অঞ্চলের মূল রাস্তাটার ভঙ্গুর অবস্থা দেখলে মনে হয়- এটা যেন এক যুদ্ধবিদ্ধস্থ এলাকা।


এই অঞ্চলে থাকা বসুন্ধরা পেপার মিল, মাগুরা পেপার মিল, হোলসিম সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, ইগলু সুগার মিল, মেঘনা গ্রুপের শিল্পপার্ক থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার ট্রাক পণ্য নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। অনেক সময় দেখা যায় লোডেড ট্রাক ভাঙ্গা রাস্তায় ফেঁসে যাচ্ছে। ফলে পুরো রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘন্টা জ্যাম লেগে থাকছে। পাশাপাশি এই অঞ্চলে অনেক মানুষের বসবাস তাদেরও এই রাস্তায় চলচলে সমস্যা হচ্ছে।


এই রাস্তার মূল সমস্যাগুলো-

১) নিম্নমানের ম্যাটেরিয়াল দিয়ে রাস্তা তৈরী ও সংস্কারকরণ।

২) যেহেতু এই রাস্তায় অনেক ভারী যানবাহন চলে তাই এই রাস্তার লোডিং ক্যাপাসিটি হতে হবে অনেক বেশী। কিন্তু দেওয়া হচ্ছে অনেক কম। ফলে দ্রুত ভেঙ্গে যাচ্ছে।

৩) রাস্তার দুইপাশের কোনদিকেই ড্রেনেজ সিস্টেম নাই। ফলে বৃষ্টির জল রাস্তাতেই থেকে যায়। যার কারণে রাস্তা ভেঙ্গে তাতে খানাখন্দ তৈরী হচ্ছে।

সমাধানগুলো-

১) কমপক্ষে ৫০ মেট্রিক টন ক্যাপাসিটির গাড়ী যেন চলতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। আরসিসি'র ঢালাইয়ের উপর উন্নত মানের পিসের রাস্তা তৈরী করতে হবে।

২) রাস্তাটা কমপক্ষে ২-৩ ফুট উঁচু করতে হবে এবং মধ্য রাস্তা থেকে দুইদিকে ঢালু হতে হবে, যাতে করে বৃষ্টির জল জমতে না পারে।

৩) দুইদিকের রাস্তার পাশের ফাঁকা জায়গা নিয়ে রাস্তাটা আরও প্রশস্ত করা যেতে পারে।

৪) রাস্তার দুইদিকেই ড্রেনেজ সিস্টেম করতে হবে।

৫) নিয়মিত সংস্কার করতে হবে।

৬) শিল্পগ্রুপগুলোকে বোঝাতে হবে এইরাস্তা তাদেরই এবং নিজেরাই যৌথভাবে কিছু করতে পারে।

মাত্র এক কিলোমিটারের মত রাস্তার জন্য প্রতিদিন ভুগতে হচ্ছে- সেখান দিয়ে চলচলকারী হাজার হাজার ট্রাক ড্রাইভার, সাধারণ নাগরিক আর শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে। অন্যরাস্তাগুলোর থেকে এটার বিশেষত্ব হলো- এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল প্রতিদিনের শতকোটি টাকার দেশীয় ও রফতানী বানিজ্য।

তাই অতিশীঘ্রই যথাযথ বিভাগের উচিত এর সংস্কার ও উন্নয়ন করা।

https://www.youtube.com/watch?v=ZRjkq2ACgK8

০৫/০৭/২০১৭