একরাত ও একদিনের ভ্রমণ করা হলো ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরা রাজ্যের সাব্রুম শহরে। সাব্রুম শহরে দর্শনীয় স্থান বলতে কাছাকাছি রয়েছে কালাপানিয়া ন্যাচার পার্ক। পার্কটির ব্যবস্থাপনায় রয়েছে সাব্রুম ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি। যারা এই ভ্রমণটির উদ্যোগ নিয়েছিল, তারা হলেন চট্টগ্রামের WE TRAVEL INTERNATIONAL। এর উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, আকাশ আজিজ, রাহুল ওলো, মোহাম্মদ জোবায়ের সিদ্দিক, কুতুব উদ্দিন। আমরা চট্টগ্রামের একে খাঁন রোড থেকে যাত্রা শুরু করি। চট্টগ্রামের একে খাঁন রোড থেকে বাসে করে বারইয়ারহাট, সেখান থেকে যাই খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় পৌর সদর এলাকায়। সেখানে রাতে ক্যাম্পিং করা হয়। পরদিন সকাল বেলায় রামগড়ের ফেনী নদী পার হয়ে সাব্রুম শহরে পৌঁছাই। সেখান থেকে একটি পিকআপে করে আমরা রওনা হই কালাপানিয়া ন্যাচার পার্কের উদ্দ্যেশে। এ যাত্রায় সঙ্গী হযেছিল মোট ২৫জন। প্রায় ৩০ কি.মি পথ পাড়ি দিয়ে আমরা পৌঁছাই কালাপানিয়া ন্যাচার পার্কে। আমাদের প্রত্যেকের প্রবেশের জন্য দিতে হয় ৫০ রুপি। কালাপানিয়া ন্যাচার পার্ক সত্যিই প্রকৃতির এক অপরূপ বর্ণিল সাজে সুসজ্জিত। পরিসরের দিক থেকেও বেশ বিশাল। প্রবেশ গেট থেকে ভেতরের পরিবেশটা বেশ গুছানো। ভেতরে রয়েছে বিশালাকার মূর্তি! প্রকৃতির বিশাল বৃক্ষরাজির মাঝে বিশেষ করে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সুদৃশ্য সিড়ি ও ভেতরে বয়ে যাওয়া নালার উপরে ঝুলন্ত ব্রিজটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ওয়াচ টা্ওয়ার থেকে প্রকৃতি দেখার সুযোগটি কেউ হারাতে চান নি। ফেরার পথে মনু বাজারে হোটেল দীপা'র ঘরোয়া খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় আমাদের ফিরে আসার প্রস্তুতি।
এখানে একটি কথা বলে রাখা দরকার, আমরা বারুণী স্নানের দিন যাওয়ার কারণে বর্ডারে দুই দিক থেকেই বেশ শিথিলতা ছিল, এবং সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঐদিন বর্ডার প্রায় উন্মুক্তই থাকে। তাই আপনাকে এ পার্ক ও সাব্রুম শহর ভ্রমণের জন্য বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা লাগবে। বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া ভ্রমণ আইনত দন্ডনীয়। তাছাড়া সাব্রুম শহরে তথা সকল কাজেই আপনার ভারতীয় রুপি সাথে করে নিতে হবে।
যেভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সরাসরি রামগড় বা খাগড়াছড়ির বাসে করে রামগড় বাজারে নেমে নদী পার হলেই সাব্রুম শহর। তারপর ঐখান থেকে সিএনজি/ জীপ ভাড়া করেই যেতে পারেন কালাপানিয়া ন্যাচার পার্কে।
সুমিত বণিক,
(সাব্রুম থেকে ঘুরে এসে)
sumitbanikktd.guc@gmail.com