বর্ণাঢ্য কোন জীবনের অধিকারী নই। নিতান্তই জীবনের তাগিদে ছুটে চলা এক মানুষ। জন্মটা হয়েছিলো ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের ২রা ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার এক বণিক পরিবারে। মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে বড় হওয়া। জন্মদিনের আনন্দ বলতে ঘটা করে জন্মদিন পালনের কোন স্মৃতিই মনে পড়ে না। তবে বোধ হওয়ার পর থেকে বড় কাকু রামকৃষ্ণ বণিকের উদ্যোগে ঘরোয়া পরিবেশে কেক ও মিস্টি খাওয়ার স্মৃতিগুলো আজো অমলিন। একটু বড় হওয়ার পর সমবয়সী ভাই-বোনদের মাঝে জন্মদিনের তারিখগুলো ডায়েরীতে লিখা থাকতো, দিন-ক্ষণ এলেই ফোনে বা এসএমএস বিনিময়ের মধ্য দিয়ে চলতো জন্মদিন উদযাপন। দুইভাই জমজ হওয়ার সুবাদে কিছু ক্ষেত্রে একসাথেও জন্মদিন পালন করা হয়েছে। এখন জীবিকার তাগিদে একজন থেকে অপরজন বহু দূরে। আর এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কাউকে আর কারো জন্মদিন মুখস্থ রাখতে হয় না, বরং সোশ্যাল মিডিয়ার সিস্টেমই মনে করিয়ে দেয় প্রিয়জন বা বন্ধুদের কার কবে জন্মদিন। আজও ঠিক এভাবেই দিন চলছিল, মনে মনে ছিল আগামীকাল আমার জন্মদিন কিন্তু উদযাপনের কোন প্রস্তুতি নেই বা ছিল না, হঠাৎ প্রিয় ছোট ভাই প্রমিত বণিক পিঠে হাত দিয়ে বলছে 'বড়দা শুভ জন্মদিন'। ফেসবুকে লগ ইন করে দেখি অসংখ্য শুভাকাঙ্খীদের জন্মদিনের শুভেচ্ছা সিক্ত হচ্ছি। মন্দ নয় জীবনের এই ভার্চুয়াল অনুভূতির। ভালবাসার বর্ণিল শব্দে মুগ্ধতার ছোয়া। এভাবেই কেটে যাক না জীবনের অনাগত দিনগুলো। এমনি করেই একদিন জীবনের অন্তিম খেলা সাঙ্গ হবে। অবশেষে সকল শুভাকাঙ্খীদের প্রতি নিরন্তর শুভকামনা ও বিনম্র শ্রদ্ধা। ভাল থাকুক সকল শুভাকাঙ্খী-বন্ধুরা।