সিলেটে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ক্লিন ইমেজের “আসাদ উদ্দিন আহমদ”

সুমন দে
Published : 27 May 2016, 07:13 AM
Updated : 27 May 2016, 07:13 AM

সিলেটে রাজনীতির মধ্যে আলাদা কিছু আছে! বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী হিসেবে সিলেট সুপরিচিত। ১৯৭১ সাল হতে দেশের সরকার গঠনের জন্য, সিলেট-১ আসনে যিনি যে দলের নির্বাচিত হয়েছেন সেই দলই সরকার গঠন করে আসছে আজ অবধি।  সিলেটে যে কোন সমস্যায় সুদীর্ঘ  ইতিহাস বলে, সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এক সাথে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করেন। সেই ধারাবাহিকতা আজও বিরাজমান রয়েছে। এককালে ছিলেন সিলেট ছাত্রলীগের সভাপতি। নগরীর মিরবক্সটোলার মরহুম আব্বাস আলী ও নূরুজ্জাহান আব্বাসের চতুর্থ পুত্র । পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সিলেটে যাদের সুনাম রয়েছে, তিনি তাদের একজন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ।

কথা  হয় তাঁর সাথে । একান্ত  সাদা-সিদে ভাবে বিভিন্ন প্রশ্ন-উত্তর এর মাধ্যমে  আমি সুমন দে পেয়ে যাই একটি সংক্ষিপ্ত আত্মজীবনি, রাজনীতি এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ । গল্পের ফাঁকে ওঠে আসে কীভাবে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ ও লালন করছেন তাঁর রাজনৈতিক জীবনে। সিলেটের রাজনীতির অনেক বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন। 

আসাদ উদ্দিন আহমদের শিক্ষা জীবনের শুরু হয় সিলেট সরকারি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে। এখান থেকে এসএসসি পাস করার পর এইচএসসি ও স্নাতক ডিগ্রি (বি.কম) পাস করেন মদনমোহন কলেজ থেকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শের শিক্ষা প্রাথমিকভাবে তাঁর পরিবারের কাছ থেকেই লাভ করেন। তাঁর পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বড় তিন ভাই দেশকে ভালোবাসার শিক্ষা দিয়েছেন তাঁকে। যে শিক্ষা তাঁর সারা জীবন পথ চলার পাথেয় হয়ে থাকবে। সেই শিক্ষা একজন প্রকৃত দেশপ্রেমী হওয়ার শিক্ষা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাঁচিয়ে রাখার শিক্ষা।

সুমন দেঃ  আপনি যে ক্লিন ইমেজ হিসেবে পরিচিত তা ধারণ করে বা ধরে রাখতে কোন বাঁধা পেয়েছেন কি?

আসাদ উদ্দিন আহমদঃ মিষ্টি হেঁসে বলেলন, আসলে এসবই পারিবারিক শিক্ষা। জীবনে যে কেউ পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতি পেতে পারেণ। বিবেক বোধ সম্পন্ন কোন ব্যক্তি বা রাজনীতিবিদ আলোকিত। সেটা নির্ভর করে আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক মতধারার চর্চার কাছে।

সুমন দেঃ আপনি কি ভাবে রাজনীতিতে আসলেন সে সম্পর্কে জানতে চাই ?

আসাদ উদ্দিন আহমদঃ পারিবারিকভাইে রাজনীতিতে আসেন। বড় তিন ভাই ছাত্রলীগের রাজনীতি করে, পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। একজন হলেন বড় ভাই আতাউর রহমান। দ্বিতীয় ভাই মাসুক উদ্দিন ও তৃতীয় ভাই বদর উদ্দিন আহমদ তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। তাঁদের আদর্শই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়াতে আমাকে অনুপ্রাণিত করে। ১৯৭৭ সালে মদনমোহন কলেজে ভর্তি হওয়ার পর সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি। তৎকালীন সময়ে ৪বার ভিপি ও জিএস পদে নির্বচিত হই। পরবর্তীকালে কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে অংশ নেই। ছাত্র-ছাত্রীদের ভোটে ১৯৭৮ সালে প্রথমেই খেলাধুলা সম্পাদক, ১৯৭৯ সালে ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক, ১৯৮০ সালে সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৮২ সালে সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হই। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ছাত্রসংসদের অন্যতম নেতা হিসেবে আমার ওপর কারণে-অকারণে ১৯টি মামলা দেওয়া হয়। ১৯৮৬ সালে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হই।

সুমন দেঃ আপনার ছাত্র জীবনে কোন স্মরণিয় রাজনৈতিক কার্য আছে কি ? পরবর্তিতে কি ভাবে বর্তমান মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলেন ?

আসাদ উদ্দিন আহমদঃ ১৯৭৯ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি খন্দকার মোশতাক সিলেটে একটি জনসভা করে। ওই জনসভার মঞ্চ, আমার নেতৃত্বে ভেঙ্গে ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে ওই সভাস্থলে আমারই পরিচালনায় ছাত্রসংসদ প্রতিবাদ সমাবেশ করে। পরে মোশতাক পুলিশ ও বিডিআরের পাহারায় সিলেট ছাড়তে বাধ্য হয়। এভাবেই আওয়ামী লীগের দায়িত্বে আসি। ১৯৯১ সালে প্রথম জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, ২০০৩ সালে মহানগর গঠনের পরই মহানগর আওয়ামী লীগের ১ম যুগ্ম সম্পাদক এবং ২০১১ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই।

সুমন দেঃ আপনার পারিবারিক  আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক চর্চার কথা বলেন।

আসাদ উদ্দিন আহমদঃ আমার বড় ভাই আতাউর রহমান স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকারে মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজীর এপিএস ছিলেন। এর আগে তিনি ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেন। ১৯৭৫ সালের পর তিনি বিদেশি একটি কোম্পানিতে চাকরিতে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি আমেরিকায় অবসর জীবন কাটাচ্ছেন। দ্বিতীয় ভাই মাসুক উদ্দিন আহমদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর ছেলে তামিম আহমদ অমি যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সভাপতি। তৃতীয় ভাই বদর উদ্দিন আহমদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এক সৈনিক। তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে যুক্তরাজ্য প্রবাসী তিনি। আমাদের একমাত্র বোন শাহেদা আক্তার সবার ছোট। সে পরিবার পরিজন নিয়ে যুক্তরাজ্য বসবাস করছে।

সুমন দেঃ বর্তমানে ছাত্রসংগঠনগুলো থেকে নেতৃত্ব সৃষ্টি না হওয়ার কারণ কি ?

আসাদ উদ্দিন আহমদঃ এর দুটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো, নেতৃত্ব সৃষ্টি হতে হলে নির্দিষ্ট ইস্যুর প্রয়োজন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে নেতৃত্ব বেরিয়ে এসেছিল। তারা দেশের জন্য আন্দোলন করে নেতা হয়েছিলেন। এরশাদের শাসনকালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময়ও নেতৃত্ব বেরিয়ে আসে। বর্তমানে দেশ শান্ত; আন্দোলনের সুযোগ নেই; তাই নেতৃত্বও বেরিয়ে আসছে না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আমরা যখন ছাত্ররাজনীতি করি, তখন অনেক কষ্ট করে ভোটের মাধ্যমে ছাত্রনেতার খ্যাতি পেয়েছি। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিজের ভালো ইমেজ তুলে ধরেছি। এরপর ছাত্রসংসদ নির্বাচনে আমাদেরকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে। আর এখন ভোটাভোটি নেই; নেতা হতে কোনো প্রতিযোগিতার প্রয়োজন হয় না। ছাত্রনেতারা বিনাপরিশ্রমে নেতা হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে তারা নিজেদের পদের মর্যাদা দিতে পারছেন না। যদি নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রদের ভোটে তারা ছাত্রনেতা হতেন, তাহলে অবশ্যই নিজের পদের মূল্যায়ন করতে পারতেন। ছাত্ররাজনীতি সুন্দর ও গণতান্ত্রিকভাবে চালাতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই। কষ্টে অর্জিত ধন; সব সময় মূল্যবান হয়।

সুমন দেঃ বর্তমানে ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগের কারণ কি ?

আসাদ উদ্দিন আহমদঃ এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, তারা পদ পাওয়ার পর পদের মূল্যায়ন করতে পারে না; দিকভ্রষ্ট হয়ে যায়। সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পদকে পূঁজি না করে ছাত্রনেতাদের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তাদেরকে সঠিক পথে আনার একমাত্র উপায় হচ্ছে, কলেজ, জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌরসভা পর্যায়ে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্বে আনা। কারো ভোট পেতে হলে তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে ভোট আনতে হয়; ভালো ব্যবহার করতে হয়। ভালো ব্যবহার ও কাজ করলে তখনই হৃদয়ে ভালো কিছু করতে ইচ্ছাশক্তি জাগ্রত হয়। সংগঠনের প্রতি আন্তরিক হলে এসব করা সম্ভব।

সুমন দেঃ  বর্তমানে সিলেটে রাজনীতিতে একটি পরিবর্তনের হাওয়া বইছে, সব রাজনৈতিক  ব্যক্তির জনপ্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছে থাকে, তেমটি আপনার কোন ইচ্ছে আছে  কি ? 

আসাদ উদ্দিন আহমদঃ  রাজনীতি করলে সবাই জনপ্রতিনিধি হতে চায়। আমার রাজনীতির মূল লক্ষ্য, মানুষের সেবা করা। মানুষের একদম পাশে থেকে সেবা করার সুযোগ পান জণপ্রতিনিধিরা। তবে রাজনীতি করলে অনেক সময় অনেক কিছু চাইলেও পাওয়া যায় না। অনেক সময় পরিস্থিতির উপর অনেক বিষয় নির্ভর করে। সময়ই বলে দেবে কখন কী করতে হবে।

সুমন দেঃ  সিলেটে  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সময় তৎকালীন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সাইবার সিটি ঘোষনা করেছিলেন । বর্তমান অর্থমন্ত্রী আলোকিত সিলেট হিসেবে ঘোষনা করেন, তা কতটা ফলপ্রসু হয়েছে ?

আসাদ উদ্দিন আহমদঃ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ম শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সিলেট প্রযুক্তিগত ভাবে সিলেট সাইবার সিটি এবং আলোকিত সিলেটের স্বপ্ন দ্রষ্টাদের প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে। ২০১৭ সালে বঙ্গব্ন্ধু সেটেলাইট বাংলার আকাশে স্থাপন করা হবে। দেশের সার্বিক ডিজিটাল প্রকল্পের সবই করতে সরকার আন্তরিক ভুমিকা রাখছে। সিলেটে ছাত্রছাত্রিরা আজ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে, আগামীতে যেন প্রতিযোগিতা মূলক প্রযুক্তিবিদ আরো গড়ে ওঠে সেই চিন্তা চেতনায় আমাদের বর্তমান অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী একযুগে কাজ করে যাচ্ছেন।

সুমন দেঃ  বর্তমানে সিলেটে রাজনীতিতে  আগামী প্রজন্ম সম্পর্কে আপনার দিক নির্দেশনা কি ?

আসাদ উদ্দিন আহমদঃ  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুন্দর সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন। যে বাংলাদেশে থাকবে না অশান্তি, অস্থিতিশীলতা, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস। চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি সোনার বাংলাদেশ। আর সেই বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ম শেখ হাসিনা। বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হচ্ছে। শিক্ষা থেকে শুরু করে সবদিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা কাঙ্খিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের পথেও এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ দেশ হবে এই প্রত্যাশা নিয়েই বঙ্গবন্ধু কন্যা দিনরাত কাজ করছেন। আগামী প্রজন্ম যেন সেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ সুনির্ভর, স্বাধীন সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষায় কাজ করে সেই সাথে পড়ালেখায় সুশিক্ষিত একটি জাতি হিসেবে পৃথিবীর কাছে বাঙালীর বীরত্ব গৌরবময় করতে পারে।

সুমন দেঃ  বর্তমানে ১৪ দলীয় মহাজোট  ডান এবং বাম পন্থি রাজনৈতিক দল নিয়ে চলছে সে সম্পর্কে আপনার অভিমত কি ?

আসাদ উদ্দিন আহমদঃ আওয়ামীলীগ সরকার ১৪ দলীয় মহাজোটে ডান-বাম নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রগতিশীল চেতনার, ধারার, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ধারণকারীদের নিয়ে মহাজোট পরিচালনা করছেন।

সুমন দেঃ  আপনার নিজের সম্পর্কে বলুন ?

আসাদ উদ্দিন আহমদঃ এক ছেলে ও এক কন্যাসন্তানের জনক আমি। বড় ছেলে রাসাদ উদ্দিন আহমদ বিবিএ পড়ছে। আর মেয়ে রেজওয়ানা আফরিন হৃদি এবার এসএসসি পরীক্ষায় (সম্প্রতি ফল প্রকাশ) জিপিএ-৫ (A+) পেয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে আমি একটি বেসরকারি বিমা কোম্পানিতে অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। একান্নবর্তি পরিবারে আছি। সংসারে যথেষ্ট সময় দেই। পরিবার থেকেই উৎসাহ পেয়ে থাকি, রাজনীতিতে সিলেটবাসীর কিছু করার প্রত্যয়ে।

সুমন দেঃ ধন্যবাদ আপনাকে, সুস্থ এবং আনন্দময় জীবন বাসনায় পূর্ণ হোক আপনার আগামীর পথ চলা।

আসাদ উদ্দিন আহমদঃ ধন্যবাদ তোমাকে ও অনলাইন পোর্টালের পাঠকসহ সিলেটেবাসীকে।