কঠোর হতে বাধ্য করবেন না

সুমন দে
Published : 7 Nov 2016, 01:52 AM
Updated : 7 Nov 2016, 01:52 AM

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অসাম্প্রাদায়িকতার যতটা পথ পেরিয়ে এসেছে…। সাম্প্রতিক দেশের প্রথম নাসিরনগরে তারপর হতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যে নির্যাতন চলছে। দেশব্যাপী তাতে সরব; সাম্প্রদায়িকতার বীজ উপরে ফেলার করণিয় ব্যবস্থার নানান কৌশলে। প্রতিবাদ, মানববন্ধন, পদত্যাগ দাবি ইত্যাদি। 

দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি যখন মানুষসহ জ্বালাও-পুড়াও অন্দোলনে অরাজগতায় বিপন্ন করেছিল জনজীবন। ঠিক এর রাজনৈতিক ভাবে প্রতিহত করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে। ১৯৭৫ সালের পরবর্তি সময় হতে এখন পর্যন্ত দেশের অসংখ্য সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন কিছু দিন পর-পরই ঘটছে।

আ.লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যেই স্ববিরোধী বক্তব্য আসছে নানা ভাবে। রোববার (৬ নভেস্বর) ১৪ দলীয় মূখপাত্র আ.লীগের নেতা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বললেন, "ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি কঠোর হওয়ার আহবান জানানে, সেখানে হামলা রোধে প্রশাসনের যারা ব্যর্থ হয়েছে, তাদের দ্রুত সরিয়ে দিতে হবে।" এখানে প্রমানিত যে, জনপ্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। 

"এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রোববার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে কাউকে 'মালাউন' বলেছেন এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারলে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন মৎস্য, প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক। তিনি বক্তব্যে বলেন, "প্রশাসন কোন ভাবেই ব্যর্থ হয় নি।" – এই উক্তি ক্ষমতাসীন দলের ও সরকারের জন্য স্ববিরোধী নয় কি?

বাংলাদেশে অসাম্প্রদিয়কতার জন্য কোন উল্লেখযোগ্য পদক থাকলে হয়ত; বহিঃবিশ্বের মত নিগেশিয়েটর বাংলাদেশের বিভিন্ন ভাবে পদক পেতেন টিভিতে টক-শো কারীদের সহজ সমাধানে। এসব টক-শোবাজরা তাৎক্ষনিক পর্যালোচনা করে পক্ষে এবং বিপক্ষে অবস্থান নিতে দেখা যায় !  যা মানুষের আস্থা হারায় (নির্যতিত গুষ্ঠি)। অন্যদিকে যে বা যারা করেছে তারা উৎসাহিত হচ্ছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি অতি সারাধারণ হিন্দুধর্মালস্বি একজন এই দেশের সন্তান হিসেবে আবেদন, কেনো টুইট করে সুষমা স্বরাজ জানাবেন ভারত এসব ঘটনায় উদ্বেগিত? এই বিষয়টা সম্পূর্ণ আমাদের স্বাধীনদেশের অভ্যন্তরিণ। যে বা যারা সাম্প্রদায়িকতার জন্য এরূপ ঘৃন্য কাজ করে যাচ্ছে। এদের পিছনে ইন্দন যোগাচ্ছে। তাদের আইনের আওতায় এনে যুদ্ধাপরাধীর মত দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। সেই সাথে জাতির উদ্দেশ্যে একবার দয়া করে বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ২০১৬ এর আজ পর্যন্ত অনেক হয়েছে, এই মুহুর্ত থেকে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না।

আমাদের হিন্দুধর্মালম্বিদের শেষ আশ্রয়ের জায়গাটা বঙ্গবন্ধু কন্যার কছে। জাতির পিতা আমাদের অসাম্প্রদায়িক একটি দেশ স্বাধীন করে দিয়ে ছিলেন। সেই স্বাধীনতাযুদ্ধে কোন সাম্প্রদায়িক মনভাব নিয়ে কেউই যুদ্ধ করেনি; ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর মহাপ্রয়ানের পর সেই অশুভশক্তি ও কিছু স্বার্থাপর মহল আজও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে চিরতরে বিলুপ্ত করার চেষ্টা করছে! চেষ্টা করছে আ. লীগ এর দেশ পরিচালনার সফলতা দেশ-বিদেশে ক্ষুণ্ন করার। এদের চিহ্নিত করে সাম্প্রদায়িকতার সমূলে উৎখাতের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।