ডিজিটাল বাংলাদেশের দূরদৃষ্টিতা- প্রধানমন্ত্রী সমীপেষু (পর্ব-২)

সুমন দে
Published : 10 March 2017, 05:35 PM
Updated : 10 March 2017, 05:35 PM

প্রত্যক্ষ ভাবে বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পদক্ষেপ গুলো সত্যি ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য সরকারি ভাবে দেখভাল করার জন্য কিছু সরকারি কর্মকর্তা সংশ্লীষ্ঠ কাজের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। সেই ব্যবস্থা চলে আসছে অনেক আগে থেকে। ডিজিটাল মাধ্যমে প্রত্যেকটি উন্নয়ন প্রকল্পে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করে সংশ্লীষ্ঠ কর্তাব্যক্তি প্রত্যেক দিন সেই ফুটেজ অবলোকন করে সংশ্লীষ্ঠ মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন আকারে প্রদর্শিত হলে, সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হলে কোন প্রকার দুর্ণীতি হবে না। সেটা বাস্তবায়নে আরো বিভিন্ন পন্থা সরকার কর্তৃক গ্রহনে ডিজিটাল ভিজ্যুয়ালেশন উন্নয়ন ঘটবে এবং কাজের মান উন্নত হবে।

ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বিবর্তনঃ প্রথমে ইন্টারনেট, মোবাইল এপস্ এর মাধ্যমে আমরা নানাবিধ সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকি। প্রতি দিন বাজারে আসছে নতুন কিছু সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিদেশি বিবিন্ন জাতি মোবাইল।

গণমাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে সারা বিশ্বে। কমে এসেছে প্রিন্ট সং¯করণ। সবাই ঘটনা ঘটার সাথে সাথে খবর পেয়ে যাচ্ছে মোঠফোনে অনলাইন নিউজপোর্টাল গুলো। একটা সময় ২০১০ সাল পর্যন্ত আলোচনা ছিল অনলাইন গণ মাধ্যম প্রিন্ট সংস্করণের জন্য হুমকি বা বিকল্প ধারা! সত্যি অনলাইন গনমাধ্যম বিশ্বব্যাপি বিকল্প ধারার পরিবর্তন এনেছে। কমেছে কাগজের ব্যবহার।

এবার সব মিলিয়ে ডিজিটাল মাধ্যম বিশ্বের কাছে আরেকটি বিবর্তনের পথ প্রদর্শক। অনলাইন টেলিভিশন, অনলাইন রেডিও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যানে মানুষ মোবাইল বা টেবের মাধ্যমে ইন্টারনেটের ব্যবহার শিখেছে সকল শ্রেনীর বাংলাদেশের আম জনতা। সেই সব অনলাইন ভিত্তিক ক্রমবর্ধমান বিবর্তনে ডিডিটাল মাধ্যম মানষু যে মাধ্যমে অনুধাবন করুক তাই ডিজিটাল ডিভাইস। মোবাইল বাংলাদেশের এখন প্রায় ৮০% ভাগ মানুষ ব্যবহার করছে। গুগোল এনড্রয়েড প্রতি ঘন্টায় বিশ্ব বাজারে এপস নিয়ে আসছে ফ্রি সেবা দিতে। সেই সব অনলাইন ভিত্তিক ক্রমবর্ধমান বিবর্তনে ডিডিটাল প্রদর্শিত ও সহজ লভ্য একমাত্র মাধ্যম মোবাইল। এখন বাংলাদেশে রেকর্ড কৃত কোন ঘটনা অপেক্ষা লাইভ টেলিকাস্ট বা সামাজিক মাধ্যমে শুধু মোবাইল ফোন থাকলেই সরাসরি সম্প্রচারই ডিজিটাল মাধ্যমের অবলম্বন হয়ে ওঠছে।

অনলাইন ভিত্তিক সকল কাজেই ডিজিটাল ডিভাইস মোবাইল এখন গুরুত্ব বহন করছে। অন্য দিকে আবারো সেই বিজ্ঞানী নিউটনের গতি সুত্রের তৃতীয়টি স্মরন করিয়ে দেয়, মোবাইলই আবার বিভিন্ন অপকর্মের ভিডিও ধারণ থেকে শুরু করে লাইভ দেখানোর জন্যে জাতিগত বিভেদ, দাঙ্গা ইত্যাদি ঘটার মতন সম্ভাবনার সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশের গণমাধ্যমে নীতিমালা প্রনয়ন হলেও ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নে শুধু মোবাইল অপরাধ কি কি হতে পারে; সেটা কতটা ক্ষতিকর তা কতটা আইন প্রনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন ও সেসকল বিষয়ে আইন করা প্রয়োজন। শুধু ৫৭ ধারার আইন দিয়ে ডিজিটাল ক্রমাগত ভবিষ্যত নিয়ন্ত্রণ করা কতটা যুক্তিযুক্ত ?

চলবে…