ডিজিটাল বাংলাদেশের দূরদৃষ্টিতা- প্রধানমন্ত্রী সমীপেষু (পর্ব-৪)

সুমন দে
Published : 19 April 2017, 04:08 AM
Updated : 19 April 2017, 04:08 AM

বাংলাদেশে বর্তমানে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের প্রধান শরিক আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল ২০২১ সালের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা। কিন্তু গত এক বছরে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে এই 'ডিজিটাল বাংলাদেশ'- কথাটি সম্পর্কে ধারণা কতটা স্পষ্ট হয়েছে?

সরকারের ভেতরে-বাইরে যারা এই রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন- তারাই বা কি বোঝাতে চাইছেন এই শব্দগুচ্ছ দিয়ে? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তাঁর দল আওয়ামীলীগের ইশতেহারে ঘোষণা করেছিলেন, তারা ক্ষমতায় এলে তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক এক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন। সরকার এজন্য ভিশন- ২০২১ নামে ডিজিটাল বাংলাদেশের এক রূপকল্পও ঘোষণা করেছে।

দেশ আজ দৃঢ়প্রত্যয়ী যে, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। ভবিষ্যতে দেশটি উন্নত দেশসমূহের কাতারে উঠে আসতে পারে। দ্রুতগতিতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পথে বাংলাদেশের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ বা অন্তরায় রয়েছে তার সমাধানেই নিহিত আছে প্রযুক্তিনির্ভর জনকল্যাণকামী সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্নের বাস্তবায়ন।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মধ্য মেয়াদে বিনিয়োগের প্রসার ও প্রচেষ্টার গভীরায়ন, গ্যাস মওজুদের বস্তুনিষ্ঠ সম্ভাব্য ও নিশ্চিত মওজুদের পরিমাণ পরিমাপ, দিনাজপুর-রংপুরের ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় উন্নতমানের বিটুমিনাস কয়লাকে বিশেষজ্ঞ প্রত্যায়িত ৫০ বছরব্যাপী ২০০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে নিতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ক্ষয়ক্ষতিপূরণ মূল্যে ভূমি অধিগ্রহণ, কোলবাংলা কোম্পানিকে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের শেয়ার মালিকানা, তাদের সন্তান-সন্ততিদের কর্মসংস্থান, কার্যকরভাবে সন্তোষজনক স্থানান্তর, যথাসম্ভব ন্যূনতম পরিবেশ দূষণ নিশ্চিতকরণ।

ইডকল ও কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) প্রদর্শিত সফলতার পথে সৌরশক্তি ও বায়োগ্যাস বিদ্যুৎ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অন্তত ২০০০ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে আসবে। পাইপে সরবরাহ বন্ধ করে শুধুমাত্র সিলিন্ডারের মাধ্যমে গৃহস্থালি কাজে গ্যাসের ব্যবহার শুরু করা। অত্যন্ত অপচয়প্রবণ গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে শিল্প সম্প্রসারণে গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধি করা। ভারত, নেপাল ও মায়ানমার থেকে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদে বিদ্যুৎ কেনা এবং 'দিবে আর নিবে মিলাবে মিলিবে'র পারস্পরিক শক্তি সঞ্চয়কারী উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতায় জলবিদ্যুতে যৌথবিনিয়োগ, উৎপাদন ও সঞ্চালন বিপনন করে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে সমষ্টিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম জীবনীশক্তি বিদ্যুৎশক্তির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করে সমৃদ্ধির জোয়ারে নবতর শক্তি সঞ্চয় করা যায়। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ইতিমধ্যে একটি নতুন ব্যবস্থা প্রনয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রত্যেক মিটারের ছবি তুলে হিসাব শাখায় পাঠানো হবে। সেটা থেকে আরো উন্নত চিন্তা-চেতনার প্রযুক্তি নির্ভর হওয়া প্রয়োজন।

চলবে….