পুন:নির্মিত এমসি কলেজের শহীদ শ্রীকান্ত ছাত্রাবাস

সুমন দে
Published : 20 April 2017, 02:16 AM
Updated : 20 April 2017, 02:16 AM

একবিংশ শতাব্দীর সিলেটে নেক্কারজনক ঘটনা শতবর্ষ পুরাতন (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাভুক্ত) মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাস পোড়ানো। ২০১২ সালে ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল যুবক। পুড়ে যায় গৌরবের এমসি কলেজ শহীদ শ্রীকান্ত ছাত্রাবাস, বন্ধ হয়ে যায় ছাত্রবাসটি।

এরপর শিক্ষামন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় ২০১৪ সালে ছাত্রাবাসটি পুনঃনির্মাণ করার হয়। ঘটনার পর শিক্ষামন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পুড়ে যাওয়া ছাত্রাবাসের স্থলে একই আদলে (ব্রিটিশ স্থাপত্যশৈলী 'সেমিপাকা আসাম' কাঠামো) নতুন করে ছাত্রাবাস নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর (১৯ অগ্রহায়ন, ১৪১৯ বঙ্গাব্দ) ছাত্রাবাস সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

ছাত্রাবাস পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার কাজে ব্যয় হয় প্রায় ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ছাত্রাবাসটির কাজ শেষ হলে ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয় ছাত্রাবাস। পুনঃনির্মিত ছাত্রাবাসের উদ্বোধন হওয়ার প্রায় ২০ মাস পেরিয়ে গেলেও ওঠানো হয়নি কোনো শিক্ষার্থী। ছাত্রাবাসের কাছে জালালাবাদ গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় গ্যাস সংযোগ প্রদান করেনি জলালাবাদ গ্যাস। সম্প্রতি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, সিলেট জালালাবাদের বকেয়া বিল পরিশোধ করায় ছাত্রাবাসটি খুলে দেয়ার পথ সুগম হয়।

নগরবাসী ও ছাত্রদের প্রশ্ন, সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ছাত্রাবাস পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার করা গেলেও জালালাবাদ গ্যাসের মাত্র ৯ লাখ টাকা বকেয়া বিল কেন এতো দেরিতে পরিশোধ করা হলো? কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই এই বকেয়া পরিশোধে বিলম্ব হয়েছে বলেও মন্তব্য তাদের। ছাত্রাবাসের ৬টি ব্লকে ২৪৪ জন ছাত্রের আবাসন ব্যবস্থা হয়েছে 'মেধার ভিত্তিতে'। কোনো ধরনের তদবির, প্রভাব এখানে কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেন এমসি কলেজের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ।

এমসি কলেজ অধ্যক্ষ আরো বলেন, গ্যাস সংযোগ না থাকায় ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থী ওঠানো সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি জালালাবাদ গ্যাসের বকেয়া বিল পরিশোধ করায় গ্যাস সংযোগ মিলছে। অধ্যক্ষ বলেন, ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থী ওঠানোর জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রাবাস বরাদ্দ করা হবে। বর্তমানে শিক্ষার্থী ছাত্রাবাসে স্থান পেয়েছে।