আলোর নিচে অন্ধকার!

সুমন দে
Published : 25 May 2017, 08:14 PM
Updated : 25 May 2017, 08:14 PM

আমাদের সামাজিকতায় পরিবারে মেয়েদের বয়ঃসন্ধি কালে কতটা শরিরিক গঠনের শিক্ষা দেয়া হয়? পরিবারের সদস্য দ্বারা প্রায় সময় মেয়েদের গায়ে হাত বোলানো হয়, আদরের ছলে। মেয়েদের বুঝে ওঠার আগেই ভিক্টিম হয় নিকট আত্মিয় দ্বারা। মেয়েটি যখন বুঝে নিজের দৈহিক গঠন সম্পর্কে তার অনেক আগেই কাজিন, চাচা, মামাসহ কাছের পুরুষ মানুষের হাত লাগে শরিরের বিভিন্ন জায়গায়।

পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনে মেয়েটি সহ্য করতে পারেনা আবার কাউকে বলতেও পারে না! পারিবারিক শিক্ষা ছেলে-মেয়েদের বয়ঃসন্ধি কালে মাতা-পিতার সাথে বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক না হলে, আলোর নিচে অন্ধকারে ডবে যায় মেয়ে দের প্রতিবাদের ভাষা। মেয়েদের বিশেষ করে এই সকল যৌন হয়রানি থেকে বেঁচে থাকতে পড়াশুনা ও ধর্মীয় শিক্ষার পাশা পাশি প্রয়োজন সচেতন করে গড়ে তোলা।

মেয়েদের এগিয়ে আসা থেকে বিরত না করে আর হিজাব পরিধানে আলোর নিচের অন্ধকার থেকে মুক্তি দেয়া সম্ভব না। মাতা-পিতার সে ক্ষেত্রে নিকট আত্মিয়দের কোন ভাবে ভরসা করা উচিৎ না। যৌথ পরিবারে বা শহরের বাসায় ভাই এর ছেলে একই বাসায় থেকে পড়াশুনা বা বিভিন্ন কারণে এক সাথে থাকে। সে ক্ষেত্রে মেয়ের জন্যে অন্যকে ত্যাগ করতে হবেনা বরং সজাগ থাকতে হবে যেন, কোন অবস্থাতেই মেয়েটির শারিরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকতে পারে।

প্রয়োজনে মা-বাবা এক সঙ্গে মেয়েদের ক্রমবর্ধমান শরিরের গঠন ও বিকাশের নিজেই নিরাপত্তা দিতে পারে তা আলোচনা করুন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে আলোচনায় মানসিক চাপ নিরসনের জন্যে বিভিন্ন আধুনিক ব্যবস্থার কথা উল্লেখ আছে। সেই ব্যবস্থার প্রয়োগে শিক্ষিত বাবা-মাই পারেন মেয়েকে সচেতন এবং প্রতিবাদি করে তোলতে সহায়তা করবে।