ইলুমিনাতি: বিশ্ব যাদের নিয়ন্ত্রণে

সৈয়দ আশরাফ মহি-উদ্-দ্বীন
Published : 18 July 2016, 12:17 PM
Updated : 18 July 2016, 12:17 PM

`I am not bound to win, but I am bound to be true. I am not bound to succeed, but I am bound to live by the light that I have. I must stand with anybody that stands right, and stand with him while he is right, and part with him when he goes wrong'. – Abraham Lincoln

পূর্ব কথা :

এই রচনাটি এডওয়ার্ড আলরিচ এর লেখা `A Summary of the Secret Society the `Illuminati', Drawn from the Works of Henry Makow' ইংরেজি নিবন্ধ থেকে অনূদিত সংক্ষিপ্ত রূপ। এডওয়ার্ড আলরিচ তাঁর এই নিবন্ধে যে তথ্য সমূহ তুলে ধরেছেন তা হেনরী ম্যাকাও এর বই ` "Illuminati: The Cult that Hijacked the World" এবং এর সিকুয়াল "Illuminati 2: Deceit and Seduction" থেকে নেয়া।

ইলুমিনাতি কী?

`ইলুমিনাতি' একটি রহস্যপূর্ণ গোপন সংগঠন যার সদস্যবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন বিশ্বের ক্ষমতাধর ব্যাংকার, রাজনীতিবিদ এবং বিশ্ব মিডিয়ার রাঘব বোয়ালগন।  ইলুমিনাতি একটি গুপ্তসভা যা বিশ্বের সকল দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ক্রমবর্ধমান শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দেশে দেশে অত্যাচারী সরকার ব্যবস্থা কায়েম করে দেশ ও জাতি নির্বিশেষে মানুষের ধর্মীয়, মানবিক, সামাজিক এমনকি ব্যক্তিগত অস্তিত্বের উপর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করা।

ইলুমিনাতি মূলত বিভিন্ন শক্তিশালী ধর্মীয় সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন এবং সরকার ব্যবস্থার মধ্যে অনুপ্রবেশ করে এবং মিডিয়া ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সমূহের মালিকানা এবং কর্তৃত্ব গ্রহণ করে বিশ্বকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টায় লিপ্ত থাকে।  তাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিশ্বের প্রায় প্রধান প্রধান যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে এবং সম্ভবত ভবিষ্যতে আরও হবে। বিশ্বের নানা ধরণের বিপ্লব, অর্থনৈতিক মন্দার জন্য মূলত এরাই দায়ী।  এমনকি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ৯/১১ এর জন্যও এদেরকে দায়ী করা হয়।  চলমান `সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ'ও দেশে দেশে পুলিশি রাষ্ট্র কায়েমের জন্য তাদের একটি অজুহাত মাত্র।

`কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্টেল স্ক্রিপ্ট' হচ্ছে ঐতিহাসিক এবং সংস্কৃতিগত ভাবে এদের একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।  এদের মূল অস্ত্র হচ্ছে যুদ্ধ, যা তারা তাদের বিত্ত এবং ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাথা খাটিয়ে বাধিয়ে থাকে।  যুদ্ধ করার জন্য এরা প্রথমে প্রচুর পরিমাণে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ধান্দা করে এবং পরে পুনর্গঠনের নামে আবারো সমৃদ্ধ করে তাদের অর্থের ভান্ডার।

ইলুমিনাতি `গণতন্ত্র' এবং চার্চকে সম্পূর্ণ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বংশগত ভাবে অভিজাত শ্রেণীর ক্ষমতা এবং তাদের অর্থের ক্ষমতার মাধ্যমে।  রাজনীতি এবং চার্চ এখন তাদের সম্পূর্ণ দখলে।

ইলুমিনাতি ব্যাংকারগণ ক্রমবর্ধমান ভাবে দখলে নিয়েছে বিশ্বের সকল দেশের ঋণ ব্যবস্থাকে।  একটি সর্বগ্রাসী বিশ্ব সরকার বা `দ্য নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার' কায়েমের লক্ষ্যে এবং তাদের নিজস্ব ঋণ সমূহকে নিরাপদ রাখতে ও সুদমুক্ত বা বিনামূল্যে ঋণ পেতে তারা  রাষ্ট্রগুলোকে খেলাপী করে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

বিশ্বের অধিকাংশ নেতা আন্তর্জাতিক এই সংগঠনের কনিষ্ঠ সদস্য। এই সকল সদস্যকে ব্ল্যাকমেইলিং, অবৈধ যৌন আনন্দ প্রদান, অর্থনৈতিক সুবিধা কিংবা শোষণ, নির্যাতন এমনকি হত্যার হুমকি দিয়ে সংগঠনভুক্ত করা হয়।

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ছিল সপ্তদশ শতাব্দী থেকে ইলুমিনাতির বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতার একটি ছদ্মরূপ। একই কারণে, উনিশ শতকে জার্মানি গড়ে ওঠার পর তারা দু'দুটো বিশ্বযুদ্ধ মঞ্চায়ন করে, তারপর আরও একটি লাভজনক স্নায়ু যুদ্ধের সূচনা করে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহার করে।  আর এখন তাদের লক্ষ্য, আমেরিকার ঘাড়ে পা দিয়ে সকল ক্ষমতা তথাকথিত বিশ্ব সরকার ব্যবস্থার কাছে হস্তান্তর করা যা কিনা পুরোটাই তাদের নিয়ন্ত্রণে।

ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে থাকে, কারণ এটা একটি পূর্বলিখিত স্ক্রিপ্ট অনুসরণ করে চলে। দুইশ বছরেরও বেশি সময় ধরে `রথসচাইল্ড ব্যাংকিং সিন্ডিকেট' স্বৈর শাসনকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ইলুমিনাতিকে ব্যবহার করে আসছে যুদ্ধের মদদ দাতা হিসেবে। ইলুমিনাতি নিয়ন্ত্রণ করে সকল দিক।  আমরা সবাই দাবার গুটি হিসেবে নিয়ন্ত্রিত হই যা কিনা ইলুমিনাতি তৈরী করেছে আমাদের বর্তমান সভ্যতা ধ্বংস করতে এবং আমাদের ধ্বংসস্তূপের উপর তৈরী করতে চাইছে তাদের নতুন বিশ্ব স্বৈর ব্যবস্থা।

কিভাবে তৈরী হলো ইলুমিনাতি?

আধুনিক ইলুমিনাতির প্রতিষ্ঠাতা এমশেল মেয়ার রথসচাইল্ড

১৭৭০ সালে `এমশেল মেয়ার রথসচাইল্ড' এর নেতৃত্বে ইউরোপীয় ব্যাংকার সিন্ডিকেট প্রতিষ্ঠা করে ইলুমিনাতি নামের এই সংগঠনটির। ইলুমিনাতি প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল খ্রিষ্ট ধর্মের বিনাশ, রাজতন্ত্রের বিনাশ, বিশ্ব সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, পারিবারিক বন্ধন এবং বিবাহ ছিন্ন করা, উত্তরাধিকার এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার রদ করা এবং সর্বোপরি জাতিগত পরিচয় মুছে ফেলা।

১৭৭৩ সালে রথসচাইল্ড ১২ জন ইহুদি ক্যাবালিস্ট ব্যাংকারদের নিয়ে অর্থনৈতিক আধিপত্য বিষয়ে একটি পরিকল্পনা সভার আয়োজন করেন এবং ১৭৭৬ সালে এই দলটি এডাম ওয়াইশপট নামে ২২ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ইন্সট্রাক্টরকে নিয়োগ দেয় ইলুমিনাতিকে পুনর্গঠিত করতে।  এই এডাম ছিল একজন ইহুদি ধর্মযাজকের ছেলে কিন্তু সে নিজেকে পরিচয় দিত একজন ক্যাথলিক হিসেবে।  ১৭ থেকে ২০ শতকের মধ্যে যতগুলি বিপ্লব এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে তার পিছনে ছিল এই ক্যাবালিস্ট ব্যাংকারদের হাত।  এদের একচেটিয়া ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণ ছিল সরকারের ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে এবং এটা তারা ব্যবহার করেছে বিশ্ব জয় করার জন্য।

ইলুমিনাতি কখনোই নিজের নামে কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতো না বা করে না। এরা সবসময় নিজেদের পর্দার আড়ালে রাখে এবং অন্যের দ্বারা নিজেদের কাজ করিয়ে নিতে অভ্যস্ত। এ ব্যাপারে এডাম ওয়াইশপট তার লেখনীতে বলেছিলো যে, `আমাদের কর্মকান্ডের শক্তি হচ্ছে আমাদের লুকায়িত পরিচয়। একে উন্মোচিত করো না কখনো এবং কোথাও।  সকল কাজ অন্যের নামে এবং অন্যকে দিয়ে করিয়ে নাও'।

রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে যে কোনো ধর্মের ধর্মীয় নেতা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী তা সে যে কোনো দেশেরই হোক তাদের অনেকেই গোপনে এই সংগঠনের সদস্য যা হয়তো তার পরিবারের লোকও জানে না।  আপনার আমার আশে পাশেই হয়তো এমন অনেক প্রসিদ্ধ ব্যক্তিত্ব আছেন যাঁদের আমরা সম্মানের চোখে দেখি, তাঁরাও হয়তো এর সাথে কোন না কোন ভাবে যুক্ত ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায়। সাধারণত এই লোকগুলো রাষ্ট্রের প্রচন্ড ক্ষমতাধর এবং প্রভাবশালী হয়ে থাকেন।

ইলুমিনাতি যে সব মার্কিন প্রেসিডেন্ট হত্যার সাথে জড়িত:

২০০৫ সালে স্যামুয়েল চার্চিল তাঁর মৃত্যুশয্যায় `মার্ডি গ্রাস সিক্রেটস' নামে পরিচিত যে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন তাতে তিনি বলেন `ইলুমিনাতি এজেন্ট বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হেনরী হ্যারিসন এবং জ্যাকরী টেইলরকে হত্যা করে।  তারা ১৮৫৭ সালে জেমস বুকাননকেও বিষ প্রয়োগ করে কিন্তু তিনি ভাগ্যগুনে বেঁচে যান…'। এই তিনজনই বাধা দিয়েছিলেন ইলুমিনাতি-রথসচাইল্ড পরিকল্পিত ১৮৬০ থেকে ১৮৬৫ সালের মার্কিন গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনায়। একই ডকুমেন্ট উল্লেখ করে যে, প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন এবং সিনেটর হিউ লং হত্যাকাণ্ডেও ইলুমিনাতির হাত ছিল। এ ছাড়াও উক্ত ডকুমেন্ট থেকে জানা যায় যে, প্রেসিডেন্ট কেনেডি, গারফিল্ড, ম্যাককিনলে এবং ওয়ারেন হার্ডিংও নিহত হন ইলুমিনাতিৰ যোগ সাজোশে।

এমনকি হালের বিখ্যাত হলিউড অভিনেতা পল ওয়াকারের মৃত্যুকে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে যে, এটা নিছক দুর্ঘটনা ছিল না বরং এটা ছিল একটি পরিষ্কার হত্যাকাণ্ড এবং যার পিছনে সম্ভবত ইলুমিনাতির হাত রয়েছে। (সূত্র: Was Paul Walker Killed By The Illuminati?)

স্যামুয়েল চার্চিল ছিলেন গুপ্ত নিউ অর্লিন্স মার্ডি গ্রাস সোসাইটির একজন উচ্চ পর্যায়ের সদস্য।  এই সংগঠনটি `The Mystick Crewe of Comus' নামেও পরিচিত।  এই সংগঠনটি ১৮৫৭ সালে মার্ডি গ্রাস উৎসবের পুনঃপ্রচলন করে যার একটি অংশ ছিল `স্কাল এন্ড বোন্স' নামে। চার্চিল বলেন ইলুমিনাতির রিং লিডার ছিলেন ক্যালেব কাশিং নামে একজন মার্কিন কূটনীতিক যিনি উইলিয়াম রাসেল নামে একজন আফিম চোরাকারবারিরও পার্টনার ছিলেন। এরাই মূলত ১৮৩২ সালে স্কাল এন্ড বোন্স সোসাইটি তৈরী করেন। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটানোই এই সংগঠনটির প্রধান কাজ। বিশেষত যারা ইলুমিনাতি কিংবা রথসচাইল্ডের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে থাকে তাদের হত্যা করে বিশ্বের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতা দখল করাই এদের মূল উদ্দেশ্য।

স্কাল এন্ড বোন্স সোসাইটির ক্ষমতাধর সদস্যবৃন্দ

'মার্ডি গ্রাস সিক্রেটস' এর মতে আমেরিকা যদি তার গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে চায় তবে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতে হবে। ঐতিহাসিক ভাবে `ইলুমিনাতি-রথসচাইল্ড' মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নির্দিষ্ট ছকের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। যাঁরা এই নিয়ন্ত্রণকে অস্বীকার করেন তাঁরা একটি ফ্যান্টাসির মধ্যে বসবাস করছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র `ইলুমিনাতি-রথসচাইল্ড' এর একটি ক্রাউন ফিনান্সিয়াল কলোনী মাত্র:

১৯০১ থেকে ১৯০৯ সালে টেডি রুজভেল্ট প্রশাসনের সময়ে মূলত ব্রিটিশ ব্যাংকারগণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি এবং ব্যবসায় বাণিজ্য অধিগ্রহণ করে।  সেই সময় জে. পি. মরগানকে সামনে রেখে রথসচাইল্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ ভাগ ব্যবসায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।  ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আসল পরিচয়কে আড়াল করে এর ছদ্মনাম দেওয়া হয় `ক্রাউন'।  ক্রাউন শব্দটি একটি প্রতীক হয়ে দাঁড়ায় আন্তর্জাতিক ফিনান্সিয়াল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে যার প্রধান কার্যালয় ছিল লন্ডনে।  ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কোনো নিয়ম এদের জন্য প্রযোজ্য ছিল না। এটা ছিল একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন বিশ্ব ক্ষমতার প্রতীক।

ব্রিটিশ, আমেরিকান, জার্মান, জাপানিজ এমনকি ইহুদি সাম্রাজ্যবাদ বলে আসলে কিছু নেই।  এরা সবাই এই একক রথসচাইল্ড সাম্রাজ্যবাদের পুতুল মাত্র যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইসরাইল সহ পুরো পৃথিবীকে একটি উপনিবেশ বানিয়ে রেখেছে। এবং এটাই হচ্ছে `দ্য নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার'।

শেষ কথা:

বাংলাদেশ কিংবা তৃতীয় বিশ্বতো কোন ছাড়, আমরা ডোনাল্ড ট্রাম্প বা হিলারী ক্লিনটনকে নিয়ে যতই গলা ফাটাই, ইলুমিনাতি যাকে চাইবে সেই হবে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। সুতরাং যুদ্ধের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, শোষনের বিরুদ্ধে যতই লেখালেখি, প্রতিবাদ আর সভা সেমিনার করেন, কিছুতেই কিছু হবে বলে মনে হয় না। সবই চলে ইলুমিনাতির সুতোর টানে।

—————–

বিঃ দ্রঃ- এই লেখাটি মূল ইংরেজি নিবন্ধের পূর্ণ অনুবাদ নয়।  এটা কেবলই মূল রচনার কিছু অংশের ভাবানুবাদ মাত্র।। যাঁরা ইলুমিনাতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান, নিচের লিংক থেকে দেখে নিতে পারেন।