এরবিলের পুরনো অংশে `এরবিল সিটাডেল' বা `এরবিল দুর্গ' অবস্থিত। স্থানীয় ভাষায় `ক্কালা হাওলিয়ার'। এরবিল এর আদি এবং স্থানীয় নাম হাওলিয়ার আর ক্কালা হচ্ছে দুর্গ, আমরা যাকে কেল্লা বলে থাকি। পুরনো নিদর্শন গুলো থেকে বোঝা যায় যে এই দুর্গের বয়স কমপক্ষে ৮,০০০ বছর। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে সিটাডেলের অভ্যন্তরে তিনটি মসজিদ, দুটি মাদ্রাসা, এবং একটি হামাম খানা (গোসল খানা) ছিল। এ ছাড়াও দুটি `তাকিয়া' (সম্মেলন কেন্দ্র) ছিল, যেখানে সুফী, দরবেশ, ধর্মপ্রান মুসলমানরা ধর্মীয় আচার অনুশীলন করতেন। `সামা খানা' বা `শামা খানা' বলে একটা হল রুমের অস্তিত্ব পাওয়া যায় যেখানে সুফী দরবেশগন `থিকির' (ধর্মীয় শ্লোক, আমরা যাকে জিকির বলে থাকি) আবৃত্তির সঙ্গে নাচের আসর বসাতেন।
সেই সময় সিটাডেলএ দুই ধরনের তাকিয়া লক্ষ্য করা যায় – সবচেয়ে প্রাচীন তাকিয়াটির অধিকারী ছিলেন শেখ শরিফ, যাঁদেরকে কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী বলে মানা হয়। এঁরা প্রতি সোম এবং শুক্রবার এঁদের ধর্মীয় আচার পালন করতেন। আর দ্বিতীয় তাকিয়াটির অধিকারী ছিলেন মুল্লা খিদির আল-তেলাফারী ইনিও কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী। এই দুইটি তাকিয়াই এখন বিলীন হয়ে গেছে, যা শুধু বিংশ শতাব্দিতে আঁকা কিছু চিত্রকর্মে ছাদের উপর গম্বুজ দেখে চিন্হীত করা যায়।
এরবিল । কুর্দিস্তান । ইরাক