সানারপাড় এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে

সৈয়দ আনোয়ারুল হক
Published : 28 May 2016, 09:40 AM
Updated : 28 May 2016, 09:40 AM

বর্তমান সরকার বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য যে সকল পদক্ষেপ নিয়েছে তা প্রশংসার দাবিদার। পদ্মাসেতুসহ, ঢাকা-ময়মনসিংহ রুট, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুট আরও অগণিত রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার করে সরকার জনগণের মন জয় করেছে। অতীতের কথা মনে হলে এখনও খারাপ লাগে। গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ি পাড় হয়ে আসতে আমাদের সময় লাগতো ২ ঘন্টা। গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ি ফ্লাই ওভার (মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার) হওয়ার পর আমরা যাত্রাবাড়ি পার হই মাত্র ৫ মিনিটে। সানারপাড় আসি মাত্র ১৫ মিনিটে। ঢাকা শহরে আরও অনেক ফ্লাইওভার নির্মাণ হয়েছে এবং হচ্ছে।

যোগাযোগের আরও অকল্পনীয় উন্নতি এ সরকার করবে জানি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাস্তা (এশিয়ান হাইওয়ে) । যা ঢাকা-চট্টগ্রাম রুট। তার পাশেই সানারপাড় এলাকা। এলাকাটি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকার ডেমরার মধ্যে অবস্থিত। ৯০% এলাকা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডি,এন,ডি) বাঁধের ভিতরে হওয়ায় এলাকাটি অত্যন্ত নিচু। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুট (বিশ্বরোড) থেকে কমপক্ষে ২০ ফুট নিচু হবে। বৃষ্টি হলেই বিশ্বরোডের দুই পাশে পানি জমে যায়। রাস্তাগুলো যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ তখন চরমে পৌছে। আমি এ এলাকায় বসবাস করি ২০ বছর ধরে। এর মধ্যে লক্ষ্য করলাম অসংখ্য বহুতল বাড়ি তৈরি হচ্ছে। দুঃখের বিষয় হল ড্রেন এবং রাস্তার কোন উন্নতি হচ্ছেনা। এক-দুই বছর পর পর রাস্তা তৈরি বা মেরামত করা হলেও তা অল্প দিনেই অর্থাৎ এক বর্ষায় ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়।

সেলিনা হায়াৎ আইভী মেয়র হওয়ার পর যে সকল রাস্তা করেছেন সে রাস্তাগুলো ব্যতিক্রমধর্মী। আরসিসি রাস্তা আরসিসি ড্রেনসহ। বলতে গেলে লাইফ গ্যারেন্টি রাস্তা। সানারপাড় এলাকায় কয়েকটি এরকম রাস্তা করেছেন। যেমনঃ সানারপাড় শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও সানারপাড় রওশন আরা কলেজের সামনে দিয়ে ডেমরা মনোমিয়া মার্কেট পর্যন্ত একটি রাস্তা। এরপর সানারপাড় বাসস্ট্যান্ড থেকে সানারপাড় খাল পর্যন্ত আর একটি রাস্তা। এ ধরণের রাস্তা অত্যন্ত ব্য্যবহুল হলেও দীর্ঘস্থায়ী। এ ছাড়া অনেক রাস্তাই মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী নির্মাণ করেছেন এবং বর্তমানে করছেন।

আমি এখন যে রাস্তাটির করুণ অবস্থা বর্ণনা করব সেটি নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন মেয়র মহোদয়। মাদানী নগর মাদ্রাসা কালভার্ট থেকে নিমাইকাশারী বাজার হয়ে লন্ডন মার্কেটের ভিতর দিয়ে সানারপাড় খালের ব্রীজ পর্যন্ত। মাত্র রাস্তাটির ড্রেনের কাজ শুরু হয়েছে। পাঁচ ফুট প্রস্থ ও ৬ ফুট গভীর বিশাল ড্রেনের কাজ করায় রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে। রিক্সাসহ অন্য কোন যানবাহন না চলায় জনগণ ঘর হতে বের হতে পারছে না। আর যারা কাজের জন্য বের হয় তারা জুতা হাতে নিয়ে কাদার মধ্যেই বের হয়।

এলাকাবাসী চায় যোগাযোগ মন্ত্রণালয় অর্থাৎ সরকারের দায়িত্বে অতিরিক্ত বরাদ্ধ দিয়ে রাস্তার কাজটি অতি দ্রুত শেষ করা। মাদানীনগর বিশ্বরোড থেকে নিমাইকাশারী বাজার হয়ে লন্ডন মার্কেটের ভিতর দিয়ে সানারপাড় খালের ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তাটি অতিদ্রুত নির্মাণ করার জন্য এলাকাবাসীর দাবি।