নেত্রকোনাবাসীর উচ্চ শিক্ষার দ্বার খুলে দিচ্ছে ‘শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়’

সৈয়দ আনোয়ারুল হক
Published : 12 June 2016, 08:27 PM
Updated : 12 June 2016, 08:27 PM

বাংলাদেশের ৩২টি সীমান্ত জেলার মধ্যে নেত্রকোণা জেলা অন্যতম। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত এ জেলা। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে এটি অবস্থিত। এ জেলাকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বলা যায়। জেলার দুটি উপজেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সজ্জিত। এগুলো হল কলমাকান্দা ও দূর্গাপুর। মেঘালয়ের পাহাড়ে ঘেরা, পাহাড়ি নদী, খাল, হাওড়-বাওড়ে সজ্জিত রূপসী বাংলার অন্যতম জেলা। লেখার মাধ্যমে বর্ণনা করে প্রকৃত সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয় না। বাস্তবে সেখানে ভ্রমণ করলে বোঝা যাবে তার রূপ।

এ দৃশ্যটি ডিঙ্গাপোতার হাওরের।

বাংলাদেশের গর্ব।

দূর্গাপুর সীমান্তের দৃশ্য।

এটি কলমাকান্দা সীমান্তের দৃশ্য।

নেত্রকোণা জেলার সীমান্ত জেলাগুলো হলঃ- ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও ভারতের মেঘালয়। ১০টি উপজেলা নিয়ে এ জেলা গঠিত। ১। নেত্রকোণা সদর ২। কলমাকান্দা ৩। দূর্গাপুর ৪। মোহনগঞ্জ ৫। বারহাট্টা ৬। কেন্দুয়া ৭। আটপাড়া ৮। মদন ৯। পূর্বধলা ১০। খালিয়াজুরি ।

আজ "বাংলানিউজলাইন ডটকম" অনলাইন পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম যে, নেত্রকোণায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আরো জানা যায় যে, "নেত্রকোণার হাওর, জীব বৈচিত্র্য, কৃষ্টি সভ্যতা, কৃষি ও মৎস্য অর্থনীতি বিষয়কে ধারণ করে বিশেষায়িত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করা হবে।"

এ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম "শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়" রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। নেত্রকোণা এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী ছিল একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের। বর্তমান শিক্ষানুরাগী সরকার নেত্রকোণাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী পূরণ করতে যাচ্ছে।

বর্তমান সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার একটি হল এটি। আমরা যারা নেত্রকোণাবাসী এবং যাদের জন্ম নেত্রকোণায় তাঁরা অত্যন্ত খুশি হয়েছি এবং সরকারকে অফুরন্ত ধন্যবাদ জানাচ্ছি।