ব্রিটিশ আমলের জমিদারি নিয়ে বসেছেন শিক্ষা ভবনের সহকারি পরিচালকগণ

সৈয়দ আনোয়ারুল হক
Published : 22 July 2016, 05:21 PM
Updated : 22 July 2016, 05:21 PM

আমি শিক্ষা বিষয়ক অনেক লেখা লেখেছি। আমাকে এমন একটি বিষয় নিয়ে লিখতে হবে তা কখনও কল্পনা করিনি আজ 'দৈনিক শিক্ষা' অনলাইন পত্রিকা পড়তে গিয়ে অবাক হই একটি সংবাদ শিরোনাম দেখে। । সংবাদ শিরোনামটি ছিল, "চেয়ারে বসার অপরাধে শিক্ষা ভবনে দুই কর্মচারীকে বেধড়ক পিটুনি, ক্ষোভে উত্তাল।" রাজধানির সরকারি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের দুই কর্মচারি আসে শিক্ষা ভবনে সহকারি পরিচালক ডঃ আনোয়ার এর সাথে দেখা করতে। অনেক্ষণ অপেক্ষা করার পর এডি সাহেব বাহির থেকে এসে পরিচয় নিয়ে দেখেন এরা কলেজের কর্মচারি। এটাই ছিল তাদের অপরাধ। কেন তাঁরা কর্মচারি হয়ে এত বড় অফিসারের অফিসে চেয়ারে বসল এ অপরাধ ডঃ আনোয়ার সহ্য করতে না পেরে টেলিফোনে আরেক সহকারী পরিচালক এটিএম আল ফাত্তাহকে ডেকে এনে দু্ই কর্মচারীকে তাঁরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, বেধড়ক পিটুনি ও অপদস্ত করে।
এ ধরণের মেধা ও যোগ্যতা নিয়ে কীভাবে এসব শিক্ষকগণ সহকারি পরিচালক হয়ে শিক্ষা ভবনে আসেন তা ভেবে দেখার বিষয়। বাংলাদেশ সার্ভিস রুলে কী লেখা আছে যে, কর্মচারিগণ শিক্ষা ভবনে এসে চেয়ারে বসলে অকথ্য গালিগালাজ করতে হবে ও বেধড়ক পিটাতে হবে?
বৃটিশ জমিদাররা কিন্তু খাজনার জন্য এদেশের মানুষের সাথে এ ধরণের খারাপ ব্যবহার করত। এ স্বাধীন দেশে এ রকম অমানবিকতা কীভাবে হয়? এ ধরণের সহকারি পরিচালকরা মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে সরকারি কলেজ থেকে সহকারি পরিচালক হয়ে শিক্ষা ভবনে আসে। আর নিজেকে ১৯৪৭ সালের পূর্বের বৃটিশ সরকার মনে করে। তাঁরা এখানে এসে গোগ্রাসে ঘুষ খায়। মানুষকে মানুষ মনে করেনা।
শিক্ষকগণ কোন কাজে শিক্ষা ভবনে গেলে তাঁরা তাদের মনে করেন তার বাড়ির কামলা। এদের আচরণ এত খারাপ তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। তবে সবাই কিন্তু খারাপ নয়। ভাল আচরণের সহকারি পরিচালকও আছেন, সংখ্যায় কম। পরিশেষে বলা যায় যে, এ ঘটনাটির সঠিক তদন্ত করে, সঠিক বিচার করা উচিত। বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন মহাপরিচাক এ সমস্যার সমাধান করে, সঠিক পদক্ষেপ নিবেন বলে আমরা আশা করছি।