গত শুক্রবার ৩০ মার্চ ৯টা ৩০ মিনিটে মৌচাক আসি। বাসে উঠে গুলিস্তান যাবো। রাস্তা পার হওয়ার জন্য একমাত্র অবলম্বন হল ফুট ওভারব্রিজ। ব্রিজের উপরে উঠে ডানদিকে তাকিয়ে দেখি সাইনবোর্ড পর্যন্ত জ্যাম। পশ্চিম দিকে অর্থাৎ বাম পাশে তাকিয়ে দেখি একই অবস্থা। শিমরাইল মোড় অর্থাৎ চিটাগাং রোড পর্যন্ত জ্যাম।
পরে জানতে পারলাম এ জ্যাম মেঘনা পর্যন্ত আছে। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো ঢাকার দিকে যাওয়ার লেন ফাঁকা ছিল। আমি ১২ মিনিটে গুলিস্তান চলে গেলাম।
মৌচাক ব্রিজ থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত। ছবিঃ সৈয়দ আনোয়ারুল হক
মৌচাক ব্রিজ থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত। ছবিঃ সৈয়দ আনোয়ারুল হক
সকাল ১০টায় মেয়েকে নিয়ে শিশু একাডেমী গেলাম। ক্লাস শেষ হলে এক ঘণ্টা পর চলে আসলাম।
সাইনবোর্ড মোড়ে আসার পর বেকার মিনিবাস আমাদের নামিয়ে দিয়ে চলে গেল দক্ষিণ দিকের রাস্তায়। যেহেতু তখনও প্রচণ্ড যানজট ছিল তাই এদের কিছু না বলে নেমে গেলাম।
১০ মিনিট অপেক্ষা করলাম কিন্তু জ্যাম ছাড়ার কোন লক্ষণ না দেখে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ হেঁটে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে আমার এক প্রতিবেশির কাছে জানতে পারলাম বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে এ যানজট শুরু হয়। কুমিল্লা থেকে আসতে উনার আট ঘণ্টা সময় লেগেছে।
এত বড় রাস্তায় এত বড় যানজট হওয়ার কারণ কী? প্রায়ই এ রকম হয়। এ রাস্তাটি বর্তমানে ৮ লেনে উন্নীত হলেও যানজট পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাওয়ার কারণ কী?
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় রাস্তায় সবচেয়ে বড় যানজট হওয়ার কারণ হলো ট্রাফিক পুলিশের অবহেলা, দায়িত্বহীনতা ও দুর্নীতি। তা না হলে এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে অহরহ।
আমরা আমজনতা সবাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন এ সমস্যার সমাধান করে জনগণকে যানজটের রাহুগ্রাস থেকে মুক্তি দেয়া হয়।