আমাদের গণমাধ্যমের বেশ বড় একটি অংশ এখন টেলিভিশন মাধ্যম।এখন প্রায় ২৪টি বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে, পাইপলাইনে আছে এমন আরও ১৫ থেকে ২০ টি চ্যানেল। কিন্তু সম্প্রচারে আসা এর কোন একটিরও অনুষ্ঠান নীতিমালা নেই । কখন যে কোন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয় বা হবে তাও নির্ধারিত নেই ।আর দুঃখের ব্যাপার হলো এই চ্যানেলগুলো এখন মোটের উপর দর্শক শূন্য। আরেকটি ভয়ানক খবর হলো এদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১/২ শতাংশ মানুষের বিনোদনের চাহিদা মিটে দেশীয় চ্যানেলের মাধ্যমে।আর বাকি ৯৮/৯৯ শতাংশ মানুষের চাহিদা পূরণ করে স্টার জলসা, স্টার প্লাস, জি- বাংলা, সনি আট ও সনি টিভির মতো গোটা কয়েক বিদেশী টিভি চ্যানেলেই । আমাদের মা বোনদের বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম ঐ বিদেশী চ্যানেলগুলো । যদিও এগুলো সম্পর্কে আমাদের বাজে মন্তব্য রয়েছে। কিন্তু দিন শেষে আমাদের টেলিভিশ মিডিয়া এদেশের দর্শকদের কথা ভাবেনি। আর তারা দর্শক ধরে রাখতে কিইবা করেছে?
একটি নাটক দেখার জন্য আগ্রহ নিয়ে টেলিভিশনের সামনে আমরা প্রায়শই বসি। কিন্তু ৩ মিনিট নাটক দেখানোর পর ১০ থেকে ১২ মিনিটের বিজ্ঞাপন বিরতি । কত ধরণের বরিতি আছে তা বলে শেষ করা যাবে না। এমন কি প্রত্যেকটি খবরের আলাদা আলাদা বিজ্ঞাপনের স্পন্সরও আছে । কেরামত লুঙ্গি সংবাদ শিরোনামে আপনাদের স্বাগত জানিয়ে শরু করছি, তারপর একের পর এক বিজ্ঞাপন, যেমন করিম ব্যাংক আন্তর্জাতিক সংবাদ ট্রিপল এক্স ইন্সুরেন্স বণিজ্য সংবাদ, । তাতেও আমাদের আপত্তি নেই, যদি শুদ্ধ বিনোদন পাওয়া যায়। তবে যা দেখানো এসব সবই বিরক্তিকর ব্যাপার । আমি বলছি না আপনারা (টেলিভিশন মালিকরা)ব্যবসা করবেন না। ব্যবসা তো করবেন-ই, তবে যে দর্শকদের দেখিয়ে বিজ্ঞাপন পাচ্ছেন, আর তাদেরকেই যদি হতাশ করেন, তাহলে কার অসিলায় বিজ্ঞাপন পাবেন। আর সেটা কত দিন? আর বিনোদনের ক্ষেত্রে আপনাদের কিপটেমি দেখলেও গায়ে জ্বালা ধরে যায়। যে নাটক দেখিয়ে পয়সা নেন তার জন্য ভাল বাজেটও দিতে চান না।তাহলে কি করে হবে!!!!! রাত এগারোটা পরে টকশোবিদদের নিয়ে বিনোদন দেয়ার এই অভিনব পদ্ধতিটাও আপনাদের দারুন আবিস্কারই বলবো। মোটর উপর এদেশের দর্শকরা বারংবার হতাশ করছেন আপনারা।