বাচঁতে ‍দিল না অসহায় বিশ্বজিতকে

তামিম
Published : 9 Dec 2012, 03:30 PM
Updated : 9 Dec 2012, 03:30 PM

নির্দলীয় ততত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নিবার্চনের দাবীতে বিএনপির ডাকা দেশব্যাপি অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ছিল তৎপর আর তা প্রতিরোধে জন্য সরকার দলীয় বাহিনী ছিল পুলিশ থেকে আরও বেশি তৎপর। এর যথেষ্ট প্রমান মেলে বিভিন্ন মিডায় প্রকশিত খবর গুলো। আর এরকমই একটি কঠিন রোষানলে পড়ে বিশ্বজিত্ কুমার দাস নামের একজন সাধারন পথচারী। অবরোধ চলাকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার জজ কোর্ট এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের সমর্থিত আইনজীবীরা একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে গেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কবি কাজী নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আইনজীবীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় একটি তেলের পাম্পের কাছে তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা পাম্পের দিকে ধাওয়া দিয়ে যেতে থাকলে আতঙ্কে পথচারী বিশ্বজিত্ দৌড়ে সেখানকার একটি ডেন্টাল ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নেয়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে গিয়ে এলোপাতাড়ি রড দিয়ে বিশ্বজিতকে আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় পালাতে দৌড় দেয় বিশ্বজিত্ কিন্তু তাতেও রক্ষা পেল না এই নিরপরাধ যুবকটি। আহত ও রক্তাত বিশ্বজিতকে তখনো রড দ্বারা নির্মমভাবে পেটাচ্ছিল ছাত্রলীগের কর্মীরা। ছাত্রলীগের কর্মীদের হামলা থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছেন বিশ্বজিত। তবুও বাঁচতে পারল না অসহায় এই যুবক। তার ঠাই হল মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে।

বিশ্বজিত শাঁখারীবাজারে তাঁর টেইলার্সের দোকানে যাচ্ছিলেন। আয়ের উদ্দেশ্য বের হওয়া বিশ্বজিত আজ লাশ হলেন। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী বলবেন এটি একটি অনাকাংখিত ঘটনা?

বিশ্বজিতের মায়ের আহাজারি কেউ শুনতে আসবেনা। সন্তান হারানোর বেদনা নিয়ে চিরকাল থাকতে হবে এই মাকে।
যে রাজনীতি সাধারণ মানুষের জন্য মৃত্যুর কারন হয় সে রাজনীতিকে ধিক্কার জানাই।