ব্যক্তিস্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত ভাবনা

তানজির খান
Published : 20 July 2017, 08:41 PM
Updated : 20 July 2017, 08:41 PM

কলেজ লাইফে যখন পড়তাম তখন প্রথম তাহসানের একটা গান শুনি 'দূরে তুমি দাঁড়িয়ে…'। তখন আমার ওয়াকম্যান ছিল। সেই গান ঘন্টার পর ঘন্টা শুনতাম। ক্যাসেটের ফিতা ঘুরতো আবার পিছিয়ে শুনতাম! তিনি ও ব্ল্যাক ব্যান্ড বাংলা ব্যান্ডের গানে আলাদা একটা স্বাদ এনে দিয়েছিলেন। মিথিলাকে চিনি ২০০৭ অথবা ০৮ সালে 'এক্স ফ্যাক্টর' নাটকের মাধ্যমে। সেই থেকে তার অভিনয়ের ভক্ত আমি। তারপর একদিন গান শুনলাম। বাধ্য হলাম তার গানের ভক্ত হতেও! পরে জেনেছিলাম তাহসান মিথিলা একে অপরের জীবন সঙ্গী , কী যে আনন্দ পেয়েছিলাম তা জেনে, তা বলে বোঝাতে পারবনা। নিয়মিত খবর রাখতাম তাদের পত্রিকা মারফত। একদিন জানলাম তারা যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন লেখাপড়া করতে। মুগ্ধতা বেড়ে গেলো আরও। সেলিব্রেটিরা আমাদের দেশে জ্ঞান অন্বেষণ করে না তেমন! একাডেমিক লেখাপড়া তো খুবই কম থাকে সাধারণত। কিছু ব্যতিক্রম আছেন অবশ্য। যেমন: অপি করিম। বছর দুয়েক পরে লেখাপড়া শেষ করে চলে এলেন তারা।

তারপর একদিন পত্রিকা খুলে জানলাম মিথিলা ব্রাক ইউনিভার্সিটি থেকে গোল্ড মেডেল পেয়েছেন কোনো এক মাস্টার্স প্রোগ্রামে। মনে হলো আমার আপন কেউ পেয়েছে সে পুরস্কার! তাদেরকে ভক্ত হিসাবে খুব ভালবাসি। যদি এমন হতো তারা শুধুই সেলিব্রেটি – গায়ক অথবা অভিনেত্রী তবে কি পছন্দ করতাম না? অবশ্যয়ই করতাম কারন তারা আসলেই গুণী। লেখাপড়ার প্রতি তাদের আগ্রহ হয়তো মুগ্ধতা বাড়িয়েছে আমার।

কাল শুনলাম মিথিলা-তাহসানের বিচ্ছেদ হয়েছে। সত্য মিথ্যা জানিনা। তাদের নিজেদের যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আছে। কিন্তু কিছুলোক এ নিয়ে নোংরা ট্রল করছে। যা খুবই নিচু মনের পরিচয়। সবার ব্যক্তিগত জীবন আছে। সেটা তাদের কর্মজীবন থেকে আলাদা। এটা আমাদের মাথায় রাখা উচিৎ।

সকলের ব্যক্তিস্বাধীনতার উপর শ্রদ্ধা থাকা উচিৎ। কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হাসাহাসি করা অথবা অযাচিত নাক গলানো নোংরামি।