ICETCESD2012-Online Discussion…আজকের বিষয়: ভূমিকম্প

সাঈদ তাশনিম মাহমুদ
Published : 16 Feb 2012, 08:32 AM
Updated : 16 Feb 2012, 08:32 AM

শাবিপ্রবিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া International Conference এবং গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে সেই অনলাইন আলোচনা। চলুন এই আলোচসায় অংশ নিয়ে নিজের মতামতকে সিদ্ধান্তে পরিনত করি।

আজকের বিষয়: ভুমিকম্প
এই লেখাটি তৈরী করেছেন।: সাঈদ তাশনিম মাহমুদ এবং ইয়াসীন আহমেদ, ১৩ তম ব্যাচ, সিইই বিভাগ, শাবিপ্রবি

আমাদের মধ্যে কম বেশী সবাই ভুমিকম্প সম্পর্কে জানেন। সম্প্রতি আমরা ছোট ছোট কয়েকটি ভুমিকম্পের সম্মূখিন হয়েছি। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ছোট ছোট ভুমিকম্পগুলো আসলে একটা বড় ভুমিকম্পের সম্ভাবনা তৈরী করে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বাংলাদেশ "ইন্ডিয়ান, মায়ানমার এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের" মিলনস্থলের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। হিমালয়েঙর পাদদেশে ইন্ডিয়ান এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের নড়াচড়া বহুবছর ধরে বন্ধ রয়েছে এবং এখানে শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে যখন প্লেটগুলো নড়েচড়ে উঠবে তখনই এই বিপুল শক্তি ভুমিকম্প আকারে মুক্ত হবে যা বাংলাদেশ, উত্তর ভারত এবং মায়নমারকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। অতএব বোঝাই যাচ্ছে ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থানের দিক থেকে আমরা কতটা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছি।

ডেইলি স্টারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভুমিকম্প বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. মেহেদী আনসারী বলেন, বুযেটের তৈরী করা একটি সিসমিক জোন ম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৪৩ শতাংশ এলাকা ভুমিকম্পের উচ্চঝুকির মধ্যে অবস্থান করছে।

ভয়ের বিষয় হলো, যদি মধ্যম মানের কোন ভুমিকম্প ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রামকে আঘাত করে তবে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাবে। একটি সাম্প্রতিক সরকারী জরিপে দেখা যায়, শুধু রাজধানীতেই যদি ৭.৫ মাত্রার একটি ভুমিকম্প হয় তাহলে একলক্ষ বত্রিশ হাজার মানুষ তাৎক্ষনিক মারা যাবেন এবং আরো ভয়াবহ সংখ্যক মানুষকে হাসপালালে ভর্তির প্রয়োজন হবে। এবং ভয়টা আরো বাড়ে যখন এই রিপোর্ট বলে এই ভুমিকম্পে ১০টি বড় হাসপাতাল এবং আরও ২৪১টি ক্লিনিক সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

গত তিন বছরে বাংরাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ৯০টি ভুমিকম্প রেকর্ড করেছে যার মধ্যে কমপক্ষে ৯টি ছিল ৫ মাত্রার উপরে। গত ১৭৫ বছরের হিসাব অনুযায়ী ৬ মাত্রার ২৫ টি, ৭ মাত্রার ১৮টি এবং ৮ মাত্রার ৪ টি ভুমিকম্প বাংলাদেশে হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুতাত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ.এস.এম মাকসুদ কামাল বলেন, গত ১৫০ বছরে আমরা মাত্র দুটি তীব্র ভুমিকম্পের সম্মুথীন হয়েছি, তাই এই বিরাট সময় ব্যাবধান আরও একটি তীব্র ভুমিকম্পের সম্ভাবনাকে প্রকট করে।

গ্রেট বেঙ্গল ভুমিকম্পের ১৫০ বছর পার হয়ে যাবার পর দেশ এখন ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন। এখন যদি কোন ভুমিকম্প হয় তবে তা ৮ মাত্রার চেয়ে বেশী হবে এবং যার ফলাফল হবে বর্ণনাতীত। সরকারের একার পক্ষে এই অবস্থা সামাল দেয়া অসম্ভব হবে। শুধু তাই না, বাংলাদেশের মতো একটা উন্নয়নশীল দেশের জন্যে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কয়েক দশক লেগে যাবে।

যদিও সম্পতি কিছু সচেতনতা তৈরী হয়েছে কিস্তু সেটা ভুমিকম্প প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থার তুলনায় নগন্য। আমাদের ভবনগুলোতে এখনও ভুমিকম্প প্রতিরোধে যথাযথ ভুমিকা নেয় হয় না। এ ব্যাপারে ভবন নির্মাতা এবং জনগন সকলের একান্ত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

ফেসবুকে আমাদের সাথে আলেঅচনায় অংশ নি চাইলে চলে আসুন- লিংক