পাবলিক পরিবহন ও নাগরিক জীবন

দি চেঞ্জ
Published : 19 Oct 2011, 03:19 AM
Updated : 19 Oct 2011, 03:19 AM

আমাদের প্রিয় ঢাকা শহরের পরিধি ও জনসংখ্যা যেভাবে বেড়েছে সেভাবে আধুনিক নাগরিক সুযোগ সুবিধা সরকারের দেওয়া সম্ভব হয়নি। এই শহর হাজারও সমস্যায় জরজরিত তার মধ্যে একটি পাবলিক পরিবহন ব্যবস্থা। আমি একটি রুটের কথা উল্লেখ করছি- সায়দাবাদ- গাজিপুর রুট। এই রুটে চলাচলকারী গাড়িগুলো হচ্ছে বলাকা, সালসাবিল (গাজিপুর-পোস্তগোলা), অনাবিল (গাজিপুর-কাচপুর), তুরাগ (যাত্রাবাড়ি-টঙ্গী/চেরাগআলী)। এর মধ্যে তুরাগ ও বলাকা হচ্ছে লোকাল, সালসাবিল ও অনাবিল কাউন্টার সাভিস। লোকাল সাভিসে কিভাবে যাতায়াত করতে কি অবস্থা সেটা নতুন করে বলার নেই তবুও তারা ভালো কাউন্টার সাভিস থেকে। লোকাল গাড়ি থেকে ভাড়াও বেশী দুভোগও বেশী কাউন্টার যাত্রীদের।

১. কাউন্টার সাভিস এর কাউন্টার আছে কিন্তু গাড়িতে জায়গা নেই, প্রয়োজন অনুপাতে গাড়িও নেই।
২. ভাড়া লোকালের দেড়গুণ
৩. দীর্ঘক্ষণ রোদে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বেশীরভাগ সময়ই সিট খালি পাওয়া যায়না।
৪. লোকাল থেকে বেশী ঠাসাঠাসি কারন এই কাউন্টার গাড়িগুলো বেশীরভাগই বড় গাড়ি।
৫. চলাচলের গেট একটা হওয়াতে পিছন দিকে যে থাকে তার বের হতে দফারফা অবস্থা।
৬. ঢাকায় যানজটের যে অবস্থা এবং গাড়ির রুটের দুরুত্ব যতটুকু তাতে প্রতিটি গাড়িতে ফ্যান থাকা ফরজ।
৭. গাড়িগুলোর ভিতর সিট দেখলে বমি আসে কভার নেই/ ধোয়া হয় না, অনেকগুলো গাড়ির সিট নেই/ভাঙ্গা।

অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এগুলো তদারকির কেউ নেই। কিছুদিন বলাকার সিটিং সাভিস যার সেবা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ ছিল। কিন্তু কোন অদৃশ্য কারণে সরকার তা বন্ধ করে দেয়।

যতদিন যাচ্ছে এধরনের সমস্যা ঢাকার সবত্রই প্রকট হচ্ছে ।আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার হওয়ায় আমরা আছি উভয় সংকটে না পারি প্রাইভেট গাড়িতে চড়তে না পারি লোকাল বাসে উঠতে। আমাদের দেখার কি কেউ নেই? এমতাবস্থায় চাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের শুভদৃষ্টি ও সমাধান।