সব … রাজাকার

তৌহিদুল ইসলাম
Published : 11 April 2015, 07:50 PM
Updated : 11 April 2015, 07:50 PM

রাজাকারের বিচার হউক , স্বৈরশাসক গোষ্ঠী নিপাত যাক । এই শ্লোগান তো কেউই মারেন না । দ্যাশেরে তো বাপদাদার সম্পদ বানায়া ফেলছে একেক জন, কই তাদের নিয়া তো কেউই সোচ্চার হন না । এই দ্যাশ তো আর আমাগোর না এই দ্যাশ কারো বাপের আবার কারো স্বামীর । তাইলে আমরা কি রিফিউজি? আজ আমরা শিক্ষার্থীরা ঠিক ভাবে ক্লাস করতে পারতেছি না পরীক্ষা দিতে পারতেছি না । এই যদি দ্যাশের হাল হয় তাইলে আর বেশি দিন না দ্যাশ নিলামে ওঠার । আর কয়দিন পর দেখা যাইব আইসিসি সংস্থার মতো এই বাঙলারেও ভারত কিন্যা লইছে । দুই  বড় রাজনৈতিক দলই বলে জনগন (তার বিরোধী রাজনৈতিক দলরে ) আর দেখতে চায় । আসলে জনগন কি চায় তা তো আর আম্নেরা জানেন না , জনগন চায় আম্নারা দুই পালের গোদাই যেন দ্যাশে না থাকেন একজন ভারত চইলা যান আর একজন পাকিস্থান  চইলা যান। দ্যাশতো ঠিকই স্বাধীন হইছে কিন্তু আমরা বাঙ্গালিরা স্বাধীন হইতে পারি নাই । আগে যেমন নির্যাতনের শিকার হইতাম এখনও হই আগে যেমন রিফিউজি ছিলাম এখনও তাই আছি । কি দিছেন আমাগোরে আম্নারা ?? দুই দলেতেই মন্ত্রীসভার সব সদস্যরাই "আমড়া কাঠের ঢেঁকি" । আর আমরা নিরীহ ভোলাভালা বাঙ্গালিরা সারা জীবন নেতা,এমপি,মন্ত্রীদের সেই ঢেঁকির চিপায় চ্যাপ্টা হয়ে যাইতেছি । দ্যাশের সকল নিরীহ বাঙ্গালির কাছে আমার একটাই প্রশ্ন এই স্বৈরশাসক গোষ্ঠীর কাছ থেকে কি আমরা আমৃত্যু মুক্তি পাইবো না ? এই দ্যাশের রাজনীতি নিয়া কবিতা লিখলে সেটা দাঁড়াইব এই রকম—,

"রাজনীতি"

সরকারী দলের রাজনীতির কথা

বিরোধী দলের মাথা ব্যথা ।।

ক্ষমতায় আসার নানান কথা

বাস্তবতার নাই সার্থকতা  ।।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি

মধ্যবিত্তের পেটে লাথি

বিরোধী দলের মাতামাতি ।।

ভোটের আগে বড় বড় কথা

ক্ষমতায় আসলে সবই বৃথা ।।

বিরোধী দলের মিছিল পটকা

সরকারী দলের পুলিশি হটকা ।।

সরকারী দলের সমালোচনা

বিরোধী দলের পর্যালোচনা

এটাই কি রাজনীতির আলোচনা ??