মিডিয়া-রাজনীতি-ধর্ম

অহনা
Published : 12 Nov 2012, 04:09 AM
Updated : 12 Nov 2012, 04:09 AM

সাংবাদিকতা বিষয়টা পুরো জাতির আমানত স্বরুপ। ইন্ডিপেন্ডেন্ট, সময় টিভি, এটিএন নিউজ…. এদের সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা এবং ইনোভেটিভ আইডিয়া দেখে কিছুটা আশ্বস্ত হতাম বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের স্বকীয়তা ভেবে।

অথচ মুন্নী সাহার মত কিছু Sheer Idiot যখন দেখি আলতু ফালতু প্রশ্ন করে সৃজনশীল ব্যক্তিত্বদের অপ্রতিভ করার চেষ্টা করে তখন অবাক লাগে এত বড় সংবাদ মাধ্যমে কিভাবে এমন stereotype mentality'র ফাজিলরা জুড়ে থাকে? গত কয়দিন কিছু প্রোগ্রামে মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী এবং এম.এ. জলিল অনন্ত সাহেবদের যেভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করা হলো এটা মুন্নী সাহার মত নীচু মনের মানুষদের পক্ষেই সম্ভব।

কিভাবে হিলারি ক্লিনটনের সাথে 'বাংলাদেশের সাথে আড্ডা' প্রোগ্রামের উপস্থাপনা করে? অথচ ওর ইংলিশের কি দূরবস্থা! এক ঘন্টার মাঝে ৪০ মিনিট উম্ আম্ করে কাটিয়ে দেয়। বাংলাদেশে অসাধারণ মানের কিছু সাংবাদিক থাকতেও এই খাজা-কাঁঠালকেই কেনো আনতে হয় এই প্রোগ্রামের উপস্থাপনায়? আবার অনন্ত জলিলের ইংলিশ নিয়ে সমালোচনা করে।

ইন্ডিপেন্ডেন্টের নিরপেক্ষতা নিয়ে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত ছিলাম, কিন্তু আজকের প্রশ্নগুলো দেখে মনে হচ্ছে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল " দে আর লাইসেন্সড টু কিল অরগানাইজেশন।" ওরা পাপ করলেও সমস্যা নাই কারণ ধর্ম নামক 'আন্স্মার্টনেস' থেকে ওরা বাইরে আছে। আর কেউ 'ইসলাম' কথাটা সাথে লাগিয়ে কারো জীবন বাঁচালেও সেটা দন্ডনীয়…।

এমন প্রমিনেন্ট টিভি চ্যানেলের কাছে আমরা আরো নিরপেক্ষতা আশা করি। জামায়াত শিবির ভালো কি খারাপ সেটা ডিসাইড করবে দর্শকরা, টকশোর বিশ্লেষকরা, কিন্তু পার্শিয়াল প্রশ্ন করে মানুষকে প্রভাবিত করার কোনো মানে আমি দেখিনা।

আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যানারে দুনিয়ার সব পাপকে বৈধ করার মুখোশধারীদের মুখোশ খোলার দায়িত্বও ওদেরই নেয়া উচিত কারণ আপনারা তো দায়িত্ব নেয়া শুরুই করেছেন।

চোরায় না শোনে ধর্মের কাহিনী প্রবাদটা আমাদেরই প্রবাদ। অথচ এখন যে চেষ্টা চলছে তাতে শুধু চোরদেরকেই প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে, ধর্ম শব্দটা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সব পরিমন্ডল থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করার চেষ্টা চলছে। বেচারা ধর্ম মনে হয় পালাবার জায়গা খুঁজে না পেয়ে জামায়াতের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আর জামায়াতকে ইসলাম ধর্মের একমাত্র কপিরাইটেড অথরিটি বানিয়ে দিয়েছে। ললজ

ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আসলে কখনোই থাকা উচিত না, কারণ বর্তমান রাজনীতির, রাজনীতিবিদদের তো কোনো ধর্ম নাই। আপনি কি করতে চান করে ফেলেন। সব জায়েয। শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয়টা মনে না হলেও মুখে, আঙ্গুলে, কী-বোর্ডে মাঝে মাঝে ইউজ কইরেন। সব মামলা খালাস!!!! 😀 xD