যায় দিন হয় নতুন সূর্যোদয়। আসে ভোর, নিয়ে আসে নতুনের সম্ভার। নিয়ত তাই করি অবগাহন। ভাল লাগার আবেশে জড়াই। মাতি জয়ের আনন্দে। কখনো বা হেসে উঠি নির্মল কোন রঙ্গরসে। তবু সব ছাপিয়ে কখন যে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। বুকের মধ্যে দলা বেধে ওঠে কান্নার ঢেউ। শত কষ্টে চেপে রাখি। ইচ্ছে করেই চাইনা এ যন্ত্রনা এড়াতে। এরই মাঝে আমার সবটুকু সুখ, আমার প্রাপ্তি। বাবা আমি তোমাকে খুজে পাই আমার সকল বোধে সবসময়। কোন শ্রদ্ধাঞ্জলি নয় এ আমার উপলব্ধি-
একদিন প্রত্যুষে ঘুম ভেঙ্গে দেখি-
মাথার উপরে গনগনে রোদ, ঝলসে দিতে চায় যেন।
পায়ের তলায় তপ্ত বালু আর একাধারে বইছে লু হাওয়া।
আকণ্ঠ তৃষ্ণায় কাতর, নেই কোথাও একফোঁটা জলের চিহ্ন।
যে ছায়া সুনিবির মহিরুহ কোলে আজন্ম লালিত আমি
হঠাৎ ঝরে সমুলে উন্মীলিত সে।
প্রানহীন দেহ তার আছে পড়ে।
দুহাতে মুখ ঢেকে পড়ে থাকা নিথর আমারই দেহ পার্শ্বে
সহসা তার স্নেহা স্পর্শে চমকিয়া উঠি।
সেই নির্ভার কণ্ঠস্বর, সেই আশ্বাস বানী।
যেন বলছে আমায়, আজ তৈ্রী তুমি।
পুরুষোত্তম তুমি, বাবা আজ তুমি।
এমনি করেই সকল ঝরে, সকল দূর্যোগ সয়ে
সন্তানেরে দাও পরম নির্ভরতা।
পুরুষোত্তম তুমি, তুমি বাবা।
বহুদিন পড়ে আজো শুনি সেই ধ্বনি।
আজো স্নেহা স্পর্শে তার শিহরিত হই।
চিৎকার করে বলি, বাবা আমার কাছে পুরুষোত্তম তুমি।
সত্যি বলছি বাবা, হারিয়ে তোমায় পেয়েছি আরো কাছে। আরো বেশি প্রেরণার উৎসে আমার। আরো বেশি হয়েছি নির্ভার।