বাংলা সাহিত্যের একজন কিংবদন্তি হয়েই তিনি সাহিত্যাঙ্গনে বিচরণ করবেন। তিনি ছিলেন একজন কালোত্তীর্ণ সাহিত্যস্রষ্ঠা। এপার বাংলা অপার বাংলা একাকার হয়ে যায় একজন সুনীলের কাছে। পাঠকের, প্রেমিকের কিংবা স্রষ্ঠার কোন জাত থাকে না। তারা কোন স্থান বা কালে আবদ্ধ নন। আর তাই যে কেউই অনায়াসেই নিজেকে নিরার স্থানে নিয়ে যেতে পারে। এখানেই অনন্য সুনীল। যে কেউই মিল খুঁজে পায় তার মামা বাড়ির মাঝির সাথে নাদের আলীর। যে কোন প্রেমিক তার বরুনা'র জন্য খুঁজতে বের হয় নীলপদ্ম। এখনো অভাগার কণ্ঠে ঝরে আক্ষেপ -কেউ কথা রাখেনি।
মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর
খেলা করে!
নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ
ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়
তিন প্রহরের বিল দেখাবে?
বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০১ টি নীলপদ্ম, তবুকথা রাখেনি বরুনা। কেউকথা রাখেনা। ৩৩ বছর পেরিয়ে গেল, কেউ কথা রাখেনি।