একজন মানুষ নিজেকে যা ইচ্ছে তা বলে জাহির করলেই তিনি তা হয়ে যান না। ঘোষিত অবস্থানের পক্ষে তাঁর বিশেষ কিছু যোগ্যতা থাকা চাই। একজন ব্যক্তি সম্পাদক হিসেবে নিজেকে জাহির করতে গেলেও তাঁর সাংবাদিকতার মান, নৈতিকতা, বস্তুনিষ্ঠতা, পেশাদারিত্ব এ সব কিছু তাঁর প্রাক-যোগ্যতা বলে বিবেচিত হয়। সে বিচারে বাঁশের কেল্লার এডমিনকে কী করে প্রধান সম্পাদক বলা হয়? আপনারা ঠিক এভাবেই জেনে-বুঝে অথবা না বুঝেই প্রতিক্রিয়াশীলদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এমনকি পৃষ্টপোষকতাও!
এরপরে প্রধান সম্পাদক হওয়ার খায়েসে আগামীকাল থেকে যদি আরও পঞ্চাশটি বাঁশের কেল্লার জন্ম হয়। সে দায়টা কে নিবে? আমরা এর পূর্বেও দেখেছি এইসব উস্কানিদাতাদের একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠা পাইয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চালাতে। হয়ত একদিন এটাও দেখব আজকের এই ফাহাদই হয়ে উঠবে আরেক জন মাহামুদুর রহমান। আমার দেশের মত এমন অন্য কোন পত্রিকার সম্পাদক। কেননা তাকে এখনই প্রধান সম্পাদকের তকমাটা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।
দু'দিন পরেই হয়ত দেখব টিভি টক শো'তে চতুর আলোচকরা এসে আরেকজন সম্পাদকের নাম যুক্ত করে বলবেন সরকার সংবাদ মাধ্যমের গলা টিপে ধরেছে প্রধান সম্পাদকদের গ্রেফতার করে। পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পরে ফাহাদের হাস্যোজ্জ্বল মুখখানা দেখে তাকে পৃথিবীর অন্যতম সুখী মানুষ বলেই মনে হল। সুখী তাঁর হবারই কথা। ফেসবুকের একটি পেজের এডমিন থেকে একলাফে তিনি প্রধান সম্পাদক হয়ে গেছেন। আগামীতে যা আক্ষরিক অর্থেই বাস্তব রূপ লাভ করবে। সুখী তো তাঁর হবারই কথা। কিন্তু যারা তাকে এই অভিধায় অভিষিক্ত করলেন তাদের এটা বোঝা উচিৎ যে, একজন প্রধান সম্পাদক আর একটি ফেসবুক পাতার এডমিন প্যানেলের প্রধান বা একজন এডমিন এক নয়। তফাতটাও আকাশ-পাতাল।
kmgmehadi@gmail.com