মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর প্রকাশ্যে ধূমপান নিয়ে প্রথম আলোর মত পত্রিকাগুলো যেভাবে সরব হয়েছে লিড নিউজ করেছে। তার শতভাগের একভাগও যদি তার বদান্যতা নিয়ে করত এই সব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতাম না।
ঠিক একইভাবে ছোট্ট দুই শিশু কামিলের ব্লাড ক্যান্সার আর লাবণীর হার্টের ভাল্বের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের খবরটিও আসতে পারত পত্রিকার শিরোনাম হয়ে। হয়নি, কেন হয়নি তাও সহজেই অনুমেয়। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রীর সমাজ সেবার কথা যা একটু এসেছে তা ফেসবুকেই।
অথচ এই ধরনের মানুষেয় সমাজসেবার খবর অন্য অনেক সামর্থ্য বানদেরও সমাজসেবায় উৎসাহিত করে।
সবচেয়ে অবাক হয়েছি, যখন আজকের প্রথম আলোর প্রথম বা শেষ পাতায় তন্ন তন্ন করে খুঁজেও এই মানুষটির মৃত্যু সংবাদটা দেখতে পেলাম না। অবশেষে একজনের সহায়তায় চার এর পাতায় সাত এর কলামে সংবাদটা পাওয়া গেল। একজন মন্ত্রির সামান্যতম অস্বাভাবিক আচরন আমাদের সংবাদ পত্রের মুল ফিচার হতে পারে। কিন্তু তার হঠাৎ মৃত্যুর সংবাদটি পর্যন্ত ভেতরের পাতায় গুরুত্বহীন কলামে ঠাই পায় এটা সংবাদ পত্রের কি ধরনের ইথিকস?
অবাক লাগে যখন দেখি এরাই আবার সারাদিন ধরে নীতিবাক্য শোনায়!
kmgmehadi@gmail.com